খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাফ চ্যাম্পিয়নের শিরোপা হাতে পেল বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৬:২৯ অপরাহ্ণ
সাফ চ্যাম্পিয়নের শিরোপা হাতে পেল বাংলাদেশ

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের নাটকীয় ফাইনালের টস কাণ্ডের পর বাংলাদেশ ও ভারত যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ভারত চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ে। আর বাংলাদেশ নয় দিন পর আজ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, মেডেল বুঝে পেয়েছে। টুর্নামেন্টের সেরা ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সাগরিকা।

সাফ কয়েক দিন আগেই পুরস্কারগুলো বাফুফের কাছে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাফুফের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হস্তান্তরের কথা জানানো হয় সাফকে। বাফুফে ভবনের সামনের মাঠে আজকের আয়োজনটি ছিল একেবারে সাদামাটা। জিমের পাশে একটি বোর্ড দাঁড় করিয়ে এবং সামনে ছোট্ট কার্পেট বিছিয়ে সাজ-সজ্জা শেষ।

এমনকি অনুষ্ঠান উপস্থাপনে সাফের এক্সিকিউটিভ কয়েক দফা মাইক নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। শেষ পর্যন্ত খালি গলায় ঘোষণা চালিয়ে যান। চ্যাম্পিয়ন দলের অনেক ফুটবলার এসএসসি পরীক্ষার্থী। তাই আজ ট্রফি গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৩ জন।

পুরস্কার প্রদানের পর বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান ও ফেডারেশনের প্রভাবশালী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণকে সাদামাটা অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী ট্রফিটা আমরা পাই। যেহেতু তারা খেলায় আসেনি। ট্রফিটা যেমন সেক্রেফাইস করেছি-তেমনি এটাও। অনেক খেলোয়াড়কে আমরা পাচ্ছি না পরীক্ষার কারণে।’

আজকের অনুষ্ঠান খানিকটা রংহীন হলেও সামনে বেশ কয়েকটি আনন্দের উপলক্ষ্য থাকছে আফিদাদের জন্য, ‘ইতোমধ্যে ওয়ালটন আমাদের দলের প্রত্যেককে একটা করে টিভি উপহার দেয়ার কথা বলেছিল ফাইনালে। আরো অনেক প্রতিষ্ঠানও আগ্রহী। আমরা এগুলো ধারাবাহিকভাবে জানাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারী ফুটবল নিয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ওদের পুরস্কার নিয়েও আমরা কাজ করব।’

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ মূলত বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সাগরিকাময়। দু’টি ম্যাচের জয়ের নায়ক এবং ফাইনালে শেষ মুহূর্তে সমতাসূচক গোলটিও তার। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্ট সেরা সাগরিকা। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে আগত মিডিয়ার সবার আগ্রহ টুর্নামেন্ট সেরা ও সর্বোচ্চ গোলদাতা পুরস্কার পাওয়া সাগরিকাকে ঘিরে। মাঠে প্রতিপক্ষকে তেড়েফুড়ে গোল করলেও সাংবাদিকদের সামনে একেবারে ভিন্ন সাগরিকা। খুব স্বল্প শব্দে উত্তর। টুর্নামেন্টে ব্যক্তিগত দুই পুরস্কার নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া, ‘ভালো লাগছে। আমি দু’টি পুরস্কার পেয়েছি। আমি জানতাম না আমি পুরস্কার পাব। আজ সকালে শুনেছি।’

গতি, শটের পাওয়ার ও গোল করার ক্ষমতায় অনেকেই তার মধ্যে জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনার ছায়া খোঁজে পাচ্ছেন। দুই জনের পজিশনও প্রায় একই। জুনিয়র সাফের সেরা খেলোয়াড় হয়েও অগ্রজ সাবিনাকে অনেক উপরেই রাখলেন, ‘সাবিনা আপুর জায়গায় যেতে পারব না। তারপরও চেষ্টা করব।’ কেন যেতে পারবেন না এমন সম্পূরক প্রশ্নে খানিকটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সাগরিকা, ‘আপুর খেলা আর আমার খেলা তো এক না। উনি অনেক সিনিয়র। তার জ্ঞান ও আমার জ্ঞান আলাদা। ঐ জায়গায় যেতে আমার অনেক পরিশ্রম করতে হবে।’

দ্বিতীয় সাবিনা হওয়া সময় সাপেক্ষ হলেও জাতীয় দলে নিজের জায়গা করে নিতে চান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই তারকা ফুটবলার, ‘আমি আরো সামনে এগিয়ে যেতে চাই। এজন্য আরো বেশি ভালো খেলে জায়গা তৈরি করতে চাই।বাংলাদেশের ফুটবলে এখন পরিচিত নাম সাগরিকা। টুর্নামেন্টের আগে-পরে কেমন পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সাগরিকা বলেন, ‘টুর্নামেন্টের আগে সাগরিকাকে কেউ চিনত না। এখন অনেকে চিনে।’

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকারও সাগরিকার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন, ‘সাগরিকা অত্যন্ত ভালো খেলোয়াড়। আমাদের আস্থা ছিল সে গোল করবে এবং করেছেও।’ নারী দলের কোচ হিসেবে প্রথম সাফল্য পেলেন সাইফুল বারী টিটু। তিনিও খানিকটা তৃপ্ত, ‘ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, এমন একটা বোঝা ছিল আমার ওপর। চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেই দায়িত্বটা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে আরো ভালো লাগতো।’

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।