খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তরুণীর ভারতে হারানো আইফোন উদ্ধার করল চট্টগ্রাম ডিবি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪, ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ
তরুণীর ভারতে হারানো আইফোন উদ্ধার করল চট্টগ্রাম ডিবি

ভারতীয় তরুণীর হারিয়ে যাওয়া একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে। গত ৬ জুন থানার রিয়াজউদ্দিন বাজারের জলসা মার্কেট থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)। এরপর আইনিপ্রক্রিয়া মেনে রোববার (৭ জুলাই) ভারতের কলকাতায় মোবাইলটি পৌঁছে দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

রোববার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে সিএমপির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইফোন ১৪ প্লাস মোবাইলটির মালিক পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বাসিন্দা দীপান্বিতা সরকার। তিনি একটি মেডিকেলে স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যা পৌনে ৬টা থেকে ৭টা ৫ মিনিটের মধ্যে কলকাতার মহেশতলা থানার এলাকায় তিনি মোবাইলটি হারিয়ে ফেলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দীপান্বিতা মহেশতলা থানায় একটি অভিযোগ করেন।

কিছুদিন পরে দীপান্বিতার কাছে একটি ই-মেইল যায়। এতে তিনি জানতে পারেন হারানো মোবাইলটি চট্টগ্রাম শহরে চালু হয়েছে। তখন তিনি সিএমপির অফিসিয়াল পেজে যোগাযোগ করে তার অভিযোগের কপি ও মোবাইল চালু হওয়ার লোকেশন পাঠান। ম্যাসেজ পেয়ে সিএমপির পক্ষ তাকে আশ্বস্ত করা হয় মোবাইলটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিএমপি জানায়, হারানো মোবাইল উদ্ধার করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় নগর ডিবির বন্দর ও পশ্চিম জোনকে। এ জোনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রবিউল ইসলাম ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেন।

এসআই মো. রবিউল ইসলাম বলেন, মোবাইলটিতে কোনো সিম ঢুকানো হয়নি। তাই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তদন্ত শুরু করা হয়। যেহেতু মোবাইলের লোকেশন রিয়াজউদ্দিন বাজারের জলসা মার্কেটে দেখানো হয়েছে, সেটিকে সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করি। প্রথমে রিয়াজউদ্দিন বাজারে কারা ভারত থেকে চোরাই মোবাইল আনে তার খোঁজ নিয়ে তালিকা প্রস্তুতি করি। এ তালিকায় চারজনের নাম পাওয়া যায়। এর মধ্যে তিনজনই তামাকুমুন্ডি লেন এলাকার। বাকি একজন হলেন জলসা মার্কেটের। এ কাজে আমার ৭-৮ দিন সময় লাগল।

তিনি আরও বলেন, শনাক্ত হওয়ার পর আমরা জলসা মার্কেটে টার্গেট করা দোকানে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত দোকানমালিক ফোনটি একজন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। গত ৬ জুন মোবাইলটি আমরা পাই। এরপর থেকে জলসা মার্কেটের ওই দোকানটি বন্ধ রয়েছে। আমরা শিগগিরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করব। এছাড়াও রিয়াজউদ্দিন বাজারে চোরাই মোবাইলের মার্কেটে বড় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এসআই রবিউল বলেন, একমাস আগে উদ্ধার হলেও ভারতীয় নীতিমালার কারণে কোনো মাধ্যমে মোবাইলটি ওই দেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ ভারতে ব্যবহৃত মোবাইল পাঠানোর নিয়ম নেই। একপর্যায়ে গত রোববার আমাদের বিশ্বস্ত এক লোকের মাধ্যমে মোবাইলটি ওই তরুণীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। হারানো মোবাইল অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে পেয়ে তিনি ভীষণ খুশি হয়েছেন এবং পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, সিএমপির পেজে মেসেজ পেয়ে আমরা বিষয়টি নিয়ে তৎপর হই। এ ঘটনায় ডিবির একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে মোবাইলটি উদ্ধার করেছে। রোববার ভারতীয় নাগরিকের হাতে মোবাইলটি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

Feb2

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।