খুঁজুন
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 মন কেন স্মৃতির পাহাড় হাতড়ায়?

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
 মন কেন স্মৃতির পাহাড় হাতড়ায়?

মানুষের জীবন খুব অদ্ভুত। যার আঁকে-বাঁকে ভরপুর বিচিত্রতা। আর এই বিচিত্র জীবনে ঘটে অসংখ্য সব বিচিত্র ঘটনা। হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, দুঃখ-সুখ, ভালো-মন্দের মিশেলে এগিয়ে চলে জীবন খরস্রোতা নদীর মতো। কখনো মুক্ত পাখির মতো, কখনওবা চুপসে যাওয়া ফুলের মতো। হারিয়ে যায় কত চেনা মুখ, কতশত স্মৃতি। নীল নীলিমায় দূরে কোথায় মন যে হারায় ব্যাকুলতায়। একটা কথা-ই মন জানতে চায়, ‘মন কেন স্মৃতির পাহাড় হাতড়ায়’

মানুষের জীবন তো একটাই। অথচ এ জীবনে কত কিছুই না ঘটে যায়। জীবনের একেকটা মুহূর্ত যেনো একেক রকম মনে হয়। কখনো জমাট বরফের মতো কষ্টগুলো বুকের মধ্যে জমতে থাকে। জীবনটা বড় অসহ্য মনে হয় তখন। মনে হয় এ জীবনের কী দরকার ছিলো? আবার কখনো জীবন ভরে যায় অনাবিল সুখ আনন্দে; তখন মনে হয় জীবন কেন দ্রুত ফুরিয়ে যায়!

একটা সময় জীবনের পুরনো অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। মনে হয় পুরনো দিনগুলিই বুঝি সুন্দর ছিলো। মনের পর্দায় এসব স্মৃতি হাতড়াতে বড় ভালো লাগে, একা আনমনে। মনটা বাস্তবে ফিরে আসতে চায় না।

কিন্তু বাস্তবে তো আসতেই হবে। আসলে বাস্তবই সব, কল্পনা নিছক একটা মায়া। কল্পনা যদি সত্যি হতো, মানুষের দুঃখ-কষ্ট কিছুই থাকতো না। তবে কষ্ট যে সবসময় খারাপ লাগে তা নয়। অনেক সময় কষ্ট পেতেও অনেক ভালো লাগে। কেন ভালো লাগে তা জানি না।

এবার আমার জীবনের সংক্ষিপ্ত গল্প শেয়ার করি >>> আমার জম্ম গ্রহণ ছিল সাদামাটা মধ্যবিত্ত পরিবারে।পরিবারের আকাশচুম্বী নাম ডাক না থাকলেও ছিলনা কলঙ্কময় কোন অধ্যায়, আল্লাহর কাছে অশেষ মেহেরবানি।

শৈশব কৈশর কেটেছে গ্রামীণ জনপদে যেখানে ছিল আবেগ ভালোবাসা ও প্রকৃতির সাথে। শিক্ষা জীবনের অনেক বছর নিজ জম্মস্থানের বাইরে অতিবাহিত হয়েছে। এসএসসির গণ্ডি পেরিয়ে চট্টগ্রাম শহরে আগমন, আবারো পড়ালেখার যুদ্ধে নেমে পড়ি পাশাপাশি শুরু হয়ে যায় কর্মজীবন।
একটা সময় শুরু হয়ে যায় জীবন নামক যুদ্ধ, চলতে থাকে অবিরাম বছরের পর বছর। কর্মজীবনে অনেক গুলো বাস্তবতার কথা মনে পড়ে যেমন, ‘মানুষ বহুরূপী’
মানুষ আপনার সামনে যে ভালোবাসা দেখায় সেটা প্রকৃত ভালোবাসা না, তার পিছনে আরেক রুপ। আমি এমনই দেখেছি আমার সামনে সে আমার জন্য অনেক ত্যাগী কিন্তু দীর্ঘ ১০/১২ বছর পরে জানতে পারি সে আমার ক্ষতির মুল নায়ক ছিলেন।

এই অল্প জীবনে অনেক গুলো দেশে ভ্রমণ করার সুযোগ হয়েছে, আগামী দিন গুলোতে আরো অনেক গুলো দেশ ভ্রমণ করার স্বপ্ন আছে, বিভিন্ন দেশের কালচার কালচার জীববৈচিত্র ও প্রকৃতি দেখার ও জানার ইচ্ছা আছে।

বাস্তবতা হচ্ছে, ‘জন্ম ও মৃত্যু একটি অপূর্ণাঙ্গ সত্য’ পার্থিব জীবনের পর মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে এক অন্তহীন জীবন। যে জীবন অন্তহীন, অনন্ত। পৃথিবীর প্রায় সব ধর্মে মৃত্যু-পরবর্তী এ জীবনের স্বীকৃতি আছে। একজন বিশ্বাসী মানুষ পার্থিব জীবনে পরকালীন সে জীবনের জন্য প্রস্তুত হয়। কেননা মৃত্যু অপরিহার্য এবং পরকালীন মুক্তিই সাফল্যের মাপকাঠি। ইরশাদ হয়েছে, ‘জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে। কিয়ামতের দিন তোমাদের কর্মফল তোমাদের পরিপূর্ণভাবে আদায় করা হবে। যাকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূরে রাখা হয়েছে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই সফলকাম। পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ছাড়া কিছুই না।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৮৫।

জীবনটা খুবই ছোট, আমার মনে হয় প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করা উচিত। যখন যেটা ভালো লাগে তখন সেটা করা উচিত। সব সময় পরে করবো পরে করবো বলে আমরা অনেক কিছুই করি না। অনেক ইচ্ছা থাকে সেগুলো পূরণ করা হয় না।

মানব জীবন বড়ই বিচিত্র। প্রত্যাশা প্রাপ্তির বিষয়গুলো বেশ জটিল। কার জীবনে কখন কীভাবে কী ঘটবে সেটা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ বলতে পারে না। সব সময় যোগ্যতা দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা দিয়ে জীবনের সব প্রাপ্তি অর্জন সম্ভব নয়, চেষ্টা করলে মানুষ সব কিছু অর্জন করতে পারে না। তারপরও চেষ্টা করতেই হয়, সব গ্লানিকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হয় বীরদর্পে। তবেই মিলবে জীবনের সার্থকতা।

আজ জীবনের অনেক গুলো সময় অতিবাহিত করে মনে হয়, জীবন জীবনের গতিতে অবিরত চলছে। সে নির্দেশিত পথ চিনে না, শুধু জানে তার নির্ধারিত গন্তব্য। আমি না চাইলেও জীবন ঠিক পৌঁছে যাবে সময়ের নৌকোয় ভেসে তার কাঙ্খিত গন্তব্যে। আমি জানিনা সে পথচলা কবে, কখন, কোথায় স্থিরতা পাবে। হয় তো কেউ জানে না কার চলা কোথায় শেষ হবে। বড় বিচিত্র জীবন চক্র, কখন ফোরাবে এ নিত্য আসা যাওয়া তা আল্লাহ ভালো জানেন।

জাহাঙ্গীর আলম
সাংবাদিক ও কলামিস্ট –
ব্যুরো প্রধান চট্টগ্রাম,
আজকের বিজনেস বাংলাদেশ
সাধারণ সম্পাদক,
রেলওয়ে জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন
সদস্য, চট্টগ্রাম রিপোটার্স ফোরাম

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।