ধানের শীষের প্রার্থী নিশ্চিত পরাজয় জেনে পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে:সুজন

চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক ৫নং মোহরা ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্ব মোহরার আওতাধীন সরলিয়া পাড়া ও হিন্দুপাড়ায় গণসংযোগ এবং রাত্রে কেন্দ্র কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
এ সময় সুজন বলেন সরকারের অব্যাহত উন্নয়ন কর্মকান্ডে বিএনপি নেতৃবৃন্দের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে তাই তারা সুষ্টু ধারার রাজনীতির বিরুদ্ধে গিয়ে সবসময়ই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে পৃষ্টপোষকতা করে। আন্দোলনের নামে তারা যেভাবে জ্বালাও পোড়াও করে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে, দেশের সম্পদ পুড়িয়ে নষ্ট করেছে তাতে ১৯৭১ সালের পাকিস্তানিদের গণহত্যার চেহারা ভেসে ওঠে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে দেশের জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন। তাই এই আসনের ভোটাররাও কোনভাবেই বিএনপিকে ভোট দিবে না এটা বুঝতে পেরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা নির্বাচনের পরিবেশ বানচাল করতে চায়। কথায় কথায় জনগণকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের যে পদ্ধতি বিএনপি অনুসরণ করছে তা আগামী ১৩ তারিখের নির্বাচনে জনগন ব্যালটের মাধ্যমে প্রমাণ করবে বলে মন্তব্য করেন সুজন বলেন, ধানের শীষের প্রার্থী নির্বাচনের দাপ্তরিক কর্মকান্ড থেকে দূরে থেকে শুধুমাত্র লোক দেখানো সভা, সমাবেশ এবং কাল্পনিক মিথ্যাচারের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপকৌশলে লিপ্ত রয়েছে তা কোনদিনই সফল হবে না।
গণসংযোগ এবং মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন ইকবাল, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ ইলিয়াছ, মোহরা ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ রফিকুল আলম, যুগ্ম-আহবায়ক যথাক্রমে নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, খালেদ হোসেন খান মাসুক, আলী রিয়াজ রক্সি, অনির্বাণ দাশ বাবু, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, নির্বাচনী কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির আহবায়ক, যুগ্ম-আহবায়ক, সদস্য সচিবসহ বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ এবং শ্রমিক লীগ নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন