খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাস্তি পাচ্ছেন এসএসসি পাস করে নিয়োগ পাওয়া সেই প্রকৌশলী

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:১৫ অপরাহ্ণ
শাস্তি পাচ্ছেন এসএসসি পাস করে নিয়োগ পাওয়া সেই প্রকৌশলী

এসএসসি পাস করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুবা আইরিনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।

অভিযুক্ত আমির আবদুল্লাহ খান বর্তমানে চসিকে বিদ্যুৎ শাখার সহকারী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- চসিকের বিদ্যুৎ শাখায় কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমির আব্দুল্লাহ খান ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি যোগদান করলেও তিনি মূলত ২০১৪ সালে পরীক্ষা দিয়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন। তার দাখিলকৃত সাময়িক সনদপত্রটি ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল তারিখের। যোগদানকালীন সময়ে তিনি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেননি।

এছাড়া ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি তারিখের নিয়োগ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে উপসহকারী পদে যোগদানকালীন সময়ে দাখিলকৃত কোর্স কমপ্লিশন সার্টিফিকেট ডিপ্লোমা পাসের সনদ নয়। তার কার্যকলাপ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চাকুরি বিধিমালা-২০১৯ মোতাবেক অসদাচরণের শামিল। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নিয়োগ বিধিমালার ৩ (২) উপধারায় উল্লেখ রয়েছে, কোনো ব্যক্তিকে কোনো পদে নিয়োগ করা হইবে না, যদি এটির জন্য তার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আমির আব্দুল্লাহ খান ডিপ্লোমা পাস না করেও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ার তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিতকরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

জানা গেছে, সম্প্রতি আমির আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আমির আবদুল্লাহ খানের জালিয়াতি তদন্ত করার জন্য চসিককে নির্দেশ দেয়। ৩ ডিসেম্বর আইন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত জেলা জজ) মহিউদ্দিন মুরাদকে প্রধান করে কমিটি গঠন করে চসিক। ওই কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন চসিকের শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার এবং সদস্য ছিলেন চসিকে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম। কার্যক্রম শেষে তারা প্রতিবেদন ১৮ ডিসেম্বর জমা দেন। এরপর এটি চসিকেই পড়ে থাকে দীর্ঘদিন। কয়েকদিন পর প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে না পাঠানোর বিষয়টি জানাজানি হয়৷ এরপর তড়িঘড়ি করে ৭ জানুয়ারি প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ের শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

একটি কোর্স কমপ্লিট করার কাগজ দিয়ে ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল বাতি পরিদর্শক হিসেবে চসিকে যোগদান করেন আমির আবদুল্লাহ। তিনি তখন নিজেকে ডিপ্লোমা পাস বলে উল্লেখ করেন। যদিও তখনো কাগজে-কলমে এসএসসি পাস। ২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাতি পরিদর্শকের বেতনে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান আমির আবদুল্লাহ। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি আগের সব নিয়োগ বাতিল করে তাকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ দেয় চসিক। তখনো তার এসএসসির ওপরে আর সনদ ছিল না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমির আবদুল্লাহ খান ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ডিপ্লোমা পাস করতে পারেননি। ২০০১ সালে তিনি সিটি কর্পোরেশনের বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে নগরের চকবাজার আলী প্লাজায় ‘হাসান এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি টিভি সার্ভিসিং সেন্টার খুলেন। যেখানে টিভি, ফ্রিজ, আইপিএস মেরামত করা হয়। চসিকে নিয়োগের আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বেপরোয়া হয়ে উঠেন অভিযুক্ত আমির আবদুল্লাহ খান। নিজেকে শ্রমিক লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

এ বিষয়ে চসিকে সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন বলেন, মন্ত্রণালয়ে জমা হওয়া একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিত চসিকের সহকারী প্রকৌশলী আমির আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। তদন্ত শেষে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন পাঠানো হয়। এরপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে অভিযুক্ত আমির আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।