খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবদুল্লাহ আল নোমানের জানাজায় মানুষের ঢল

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:২৬ অপরাহ্ণ
আবদুল্লাহ আল নোমানের জানাজায় মানুষের ঢল

স্মরণকালের আরেকটি বড় জানাজার সাক্ষী হলো চট্টগ্রামের মানুষ। সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের নামাজে জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকে দূর-দূরান্তের মানুষ আসতে থাকেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে। মানুষের সব স্রোত এসে মিশে দামপাড়ায়। কারও হাতে ফুলের তোড়া, বুকে শোকের কালো ব্যাজ।দেখতে দেখতে মসজিদ কমপ্লেক্স ভরে যায় মুসল্লিতে। মাঠও কানায় কানায় ভরে যায় জুমার নামাজের আগে।

দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে শেষবারের মতো অনেকে জননন্দিত রাজনীতিক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের মুখটি দেখেন।

শুক্রবার জুমার পরে চট্টগ্রামে আবদুল্লাহ আল নোমানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জামায়াতের মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপি উত্তর জেলা আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, মাহবুবের রহমান শামীম, মীর মোহাম্মদ হেলাল, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, আবুল হাশেম বক্কর, মরহুমের ছেলে সাঈদ আল নোমান, জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, আনজুমানে রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

প্রয়াতের পরিবারের তরফে একমাত্র ছেলে সাঈদ আল নোমান তূর্য বলেন, “আমার বাবার রাজনৈতিক জীবন ৬৮ বছরের। আমার এই জীবনে যত মানুষের সাথে আমার দেখা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ কখনো না কখনো বলেছে, তারা নোমান ভাইয়ের দ্বারা কোনো না কোনো উপকার পেয়েছেন। কীভাবে তা জানি না!

“মাত্র ২ বার তিনি মন্ত্রী ছিলেন। এত স্বল্প সময়ে এত মানুষের কাজ কীভাবে করেছেন, আমি জানি না।”

নেতাকর্মীদের সঙ্গে শেষ জীবনে বিএনপি নেতা নোমানের যে ফোনালাপ হতো, তা তুলে ধরতে গিয়ে ছেলে তূর্য বলেন, “আমি পাশে থাকতাম, তাই জানি। তিনি বলতেন, ‘আমি নোমান, আবদুল্লাহ আল নোমান, ক্যান আছো? (কেমন আছো?) আমার সাথে মন খারাপ করেছ?’

“বলতেন, ‘নিশ্চয় আমার কোনো দোষ ছিল, না হলে কেন মন খারাপ হবে আমার উপর?’ অন্য কেউ যে তার প্রতি কোন দোষ করতে পারে, সেটা কখনো বলতেন না। অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন। কখনো নিজের ক্রেডিট নিতেন না।”

সাঈদ আল নোমান বলেন, “বাবা যখন ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, তখন লালদীঘিতে প্রথম বলেছিলেন, ‘আমাদের একটা বিশ্ববিদ্যালয় দরকার চট্টগ্রামে’। কর্ণফুলী তৃতীয় সেতুর জন্য বেগম খালেদা জিয়ার কাছে তিনি প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন। এই মসজিদকে তিনি খুব পছন্দ করতেন। বরাদ্দ এনেছিলেন। উনার প্রস্তাবনায় বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ঘোষণা করেছিলেন ১৬ দফা দিয়ে।

“তিনি চাইতেন, আমাদের দুই ভাইবোনের দ্বারা যেন শুধু মানুষের সেবা হয়। সেবা ছাড়া আর কিছু নয়। আপনারা সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন।”

নেতাকর্মীদের সঙ্গে শেষ জীবনে বিএনপি নেতা নোমানের যে ফোনালাপ হতো, তা তুলে ধরতে গিয়ে ছেলে তূর্য বলেন, “আমি পাশে থাকতাম, তাই জানি। তিনি বলতেন, ‘আমি নোমান, আবদুল্লাহ আল নোমান, ক্যান আছো? (কেমন আছো?) আমার সাথে মন খারাপ করেছ?’

“বলতেন, ‘নিশ্চয় আমার কোনো দোষ ছিল, না হলে কেন মন খারাপ হবে আমার উপর?’ অন্য কেউ যে তার প্রতি কোন দোষ করতে পারে, সেটা কখনো বলতেন না। অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন। কখনো নিজের ক্রেডিট নিতেন না।”

সাঈদ আল নোমান বলেন, “বাবা যখন ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, তখন লালদীঘিতে প্রথম বলেছিলেন, ‘আমাদের একটা বিশ্ববিদ্যালয় দরকার চট্টগ্রামে’। কর্ণফুলী তৃতীয় সেতুর জন্য বেগম খালেদা জিয়ার কাছে তিনি প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন। এই মসজিদকে তিনি খুব পছন্দ করতেন। বরাদ্দ এনেছিলেন। উনার প্রস্তাবনায় বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ঘোষণা করেছিলেন ১৬ দফা দিয়ে।

“তিনি চাইতেন, আমাদের দুই ভাইবোনের দ্বারা যেন শুধু মানুষের সেবা হয়। সেবা ছাড়া আর কিছু নয়। আপনারা সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন।”

স্মৃতিচারণ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি সভাপতি শাহ আলম বলেন, “নোমান ভাইয়ের সাথে একসঙ্গে গ্রেপ্তার হই ১৯৬৮ সালে। এরপর ৮ মাস জেলে ছিলাম আমরা। কত স্মৃতি। উনি যেন জান্নাতবাসী হন।”

বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, “উনার সাথে এরশাদবিরোধী আন্দোলন করেছি, উনার দিক নির্দেশনায়। আজ এমন একজন নেতাকে হারিয়ে পুরো বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “গণমানুষের নেতা নোমান ভাই দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চলে গেছেন। চট্টগ্রামের স্বার্থে উনি অনেক কিছু করেছেন।

“তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু, শিক্ষা বোর্ড, এই জমিয়তুল ফালাহর উন্নয়নসহ অনেক কাজ তিনি করে গেছেন।”

চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, “’৬৯ এ একসাথে আন্দোলন করেছি। সেই থেকে তিনি আমার নেতা। ব্যক্তি হিসেবে সমাজে সাধারণ মানৃষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এক নেতা তিনি। “উনার কর্মময় জীবন যেন নেতাকর্মীরা অনুসরণ করেন।”

স্মৃতিচারণায় অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহসহ নেতারা।

এর আগে, বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে শেষবারের মতো নিয়ে যাওয়া হয় আবদুল্লাহ আল নোমানের মরদেহ। সেখানে চট্টগ্রামের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

এতে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আবদুল্লাহ আল নোমান একজন পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। উনি সার্বক্ষণিকভাবে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। নোমান ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা চট্টগ্রাম মহানগরের রাজনীতি করেছি। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে, আন্দোলন, সংগ্রামে রাজপথে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই নাসিমন ভবনে পুলিশের আক্রমণ, টিয়ার গ্যাসের শিকার হয়ে আমরা আশ্রয় নিয়েছি। নোমান ভাই ছাত্ররাজনীতি করেছেন, শ্রমিক রাজনীতি করেছেন, বিএনপির রাজনীতি করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংগঠিত করার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণসহ এই অঞ্চল এবং যেখানেই দলের ডাক দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে সেখানে ছুটে গেছেন। ওনার রক্তের সঙ্গে রাজনীতি মিশে গেছে। নোমান ভাইয়ের সঙ্গে চট্টগ্রামের রাজনীতি ও কেন্দ্রীয়ভাবে অনেক স্মৃতি আছে। সুখ-দুঃখ, ভালো-খারাপ সময় আমরা অতিক্রম করেছি।’

এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা যে আপসহীন রাজনীতি, দীর্ঘ সময় আত্মত্যাগের মাধ্যমে, জীবন দিয়ে, গুম হয়ে, খুন হয়ে, জেলে গিয়ে, চাকরি হারিয়ে, ব্যবসা হারিয়ে যে ত্যাগের রাজনীতি বিশেষ করে গত ১৬ বছর রোদে পুড়ে আমরা খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছি। এটা বিএনপির সম্পদ। এ সম্পদ কেউ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আমরা যে ত্যাগের মাধ্যমে পরিণত হয়েছি এটা পরিপূর্ণ ও পরিণত রাজনীতি। সেখানে নোমান ভাইয়ের অবদান ছিল।’

নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি রাউজান উপজেলার গহিরায়। রাউজান গহিরা হাইস্কুল মাঠে বাদ আসর মরহুমের শেষ নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি ইন্তেকাল করেন আবদুল্লাহ আল নোমান (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। ঢাকায় তিন দফা নামাজে জানাজা শেষে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে হেলিকপ্টারে মরদেহ চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আনা হয়। এরপর কাজীর দেউড়ি ভিআইপি টাওয়ারের বাসভবন প্রাঙ্গণে নেতাকর্মী ও স্বজনদের দেখার জন্য মরদেহ রাখা হয়।

১৯৪৫ সালে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে জন্ম নেওয়া নোমান একসময় বাম রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন, কারাবরণও করেন।

মেননপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।

ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে নোমান যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন।

১৯৭১ সালে তিনি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে ন্যাপের রাজনীতিতে তার পথ চলা। এরপর ১৯৮১ সালে যোগ দেন বিএনপিতে।

১৯৯১ ও ২০০১ সালে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নোমান। খালেদা জিয়ার দুই সরকারের আমলে মৎস্য ও পশু সম্পদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, বন ও পরিবেশ এবং খাদ্য মন্ত্রণায়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব তিনি পালন করেন।

Feb2

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এ সময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া নিজের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মর্মে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিজের দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

জেএন/এমআর