প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ফল কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আইন না মেনে গত ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত ফলাফলে ১৮ হাজার ১৩৭ জন শিক্ষককে নিয়োগের সুপারিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। প্রাথমিক শিক্ষা সচিব, ডিজিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে ১৮ হাজার ১৩৭ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।
আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান রিটকারীদের আইনজীবী মো. কামাল হোসেন।
মৌখিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ২০ জনের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন এ আইনজীবী।
রিটকারী আইনজীবী কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, নিয়োগ ২০১৩ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করা হয়নি, মানা হয়নি নারী-পুরুষ কোটা। এছাড়াও উপজেলা ভিত্তিক নিয়োগ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি; জেলা ভিত্তিক ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এমন কয়েকটি অনিয়মের কারণে এই রুল জারি করা হয়েছে।
গত বছরের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশ থেকে ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। পরে চার ধাপে পরীক্ষা নেয়া হয়। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন ও চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর গত সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের এ লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষায় ৮০ ও মৌখিক পরীক্ষার ২০ নম্বর মিলিয়ে ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর মিলিয়ে এ ফল তৈরি করা হয়। ফল তৈরির কাজটি করে বুয়েট।
গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে বুয়েট থেকে এ ফল প্রকাশ করা হয়। ফল প্রকাশকালে বুয়েটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, সচিব আকরাম আল হোসেন, অধিদফতরের মহাপরিচালক এএফএম মনজুর কাদিরসহ নিয়োগ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন