খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের ব্যায়ামাগার ‘পাহারা দেয়’ কুবি ছাত্রলীগ!

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
শিক্ষার্থীদের ব্যায়ামাগার ‘পাহারা দেয়’ কুবি ছাত্রলীগ!

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যায়ামাগার এখন অনেকটাই শাখা ছাত্রলীগের অঘোষিত ‘দলীয় কার্যালয়’।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সরাসরি কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় নিজেদের ইচ্ছেমতো খুলে এখানে বসেই নিয়মিত সাংগঠনিক কার্যক্রম চালান শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

তবে দলীয় অফিস নয়, বরং ব্যায়ামাগারটি রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিয়মিত পাহারা দিয়ে দেখভাল করেন বলে দাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির। যদিও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পূর্বে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এটিকে ‘দলীয় কার্যালয়’ বলেই উল্লেখ করেছিলেন।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের উত্তরপাশে অবস্থিত ব্যায়ামাগারটি উদ্বোধন করেন। প্রায় ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৭টি ব্যায়ামের যন্ত্র কেনা হয় ব্যায়ামাগারটিতে।

কিন্তু উদ্বোধনের কিছুদিন পরই শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ব্যায়ামাগারটিতে নিজেদের দলীয় স্টিকার সম্বলিত টেবিল এবং চেয়ার ঢোকালে ব্যায়ামের জায়গা আরও সংকীর্ণ হয়ে পড়ে।

ব্যায়ামাগারটি পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা যায়, ব্যায়ামাগারের একপাশে ছাত্রলীগ নেতাদের বসার জন্য চেয়ার-টেবিল পাতা, শাখা ছাত্রলীগের পদধারী কয়েকজন ব্যায়ামাগারের ভেতর বসিয়েছেন আড্ডা, চলে ধূমপানও।

ব্যায়ামাগারে চেয়ার-টেবিল পেতে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোয় ব্যায়ামাগারের জায়গা সংকীর্ণ হয়ে এসেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি ব্যায়ামাগারে আসতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন বলেও অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

ব্যায়ামাগারের সুবিধাবঞ্চিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম ইনজামাম জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি একটি ব্যায়ামাগার খোলা হলেও সেখানে প্রশাসনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নেই। পর্যাপ্ত জায়গাও নেই ব্যায়ামাগারে। কুবির ব্যায়ামাগার একটি নামমাত্র প্রতিষ্ঠান।’

এদিকে অভিযোগ উঠেছে ব্যায়ামগারটি প্রায়শই তালাবদ্ধ থাকে। যার চাবি থাকে শুধুমাত্র শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের কাছেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কারও হাতে নেই এর চাবি বা নিয়ন্ত্রণ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মনিরুল আলম বলেন, ‘প্রশাসন থেকে ব্যায়ামাগার পরিচালনার কোনো নির্দেশনা বা কোনো চাবি আমাকে দেওয়া হয়নি। আমাকে শুধুমাত্র এর জিনিসপত্র কেনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো এবং আমি বাজেটের আলোকে তা কিনে দিয়েছি। বাদবাকি কে কিভাবে ব্যায়ামাগার চালাচ্ছে আমার জানা নেই।’

এমন অবস্থায়, ছাত্রলীগ নেতাদের ইচ্ছামতো এটি খোলা এবং বন্ধ করা হয়। প্রায় সময়ই নেতারা ভেতরে বসে আড্ডা দেন, এবং দলীয় কার্যক্রম করে থাকেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। গত ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ব্যায়ামাগারের সামনে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকতা পালন করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি থেকে শুরু করে অনেক নেতাকর্মীকে ব্যায়ামাগারটিকে ‘দলীয় কার্যালয়’ উল্লেখ করে প্রচার করতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘এমনিতেই গাদাগাদি এবং তার উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাদের ব্যায়ামাগারে কর্তৃত্ব দেখে আর ওখানে যাওয়ার আগ্রহ হয় নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায়ামাগার কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের অফিস কিভাবে হয় তা আমার বোধগম্য নয়।’

উপর্যুক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘এটা আসলে আমাদের অফিস না, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামও (ব্যায়ামাগার) না। আমরা কিছু ছেলে আবেদন করে জিমের কিছু জিনিসপত্র আনিয়েছি প্রশাসন থেকে। এটা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তার কাজের লোকদের লেবার শেড হিসেবে তৈরি হয়েছিল। পরে আমরা এটাকে জিম করে দিতে বলেছি। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই আসে, খেলে, ব্যায়াম করে আর আমরা এটা পর্যায়ক্রমে নিজেদের ছেলেদের দিয়ে পাহারা দিয়ে রাখি। না হয় জিমের জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাবে।’

ব্যায়ামাগারের জিনিসপত্র পাহারার দায়িত্ব ছাত্রলীগের কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর জন্য লোক দেয় না বলেই আমরা এটা নিজেরা পাহারা দেই। এটি বাংলাদেশের একমাত্র জিমনেশিয়াম যেটা আমাদের পাহারা দেওয়ার জন্য এর কোনো জিনিস হারায়নি। প্রশাসনের লোক না থাকায় আমরা নিজেরা নিজেদের জিনিস দেখে রাখছি।’

যখন-তখন ব্যায়ামাগার বন্ধ করে রাখেন এবং খুলেন, এতে করে শিক্ষার্থীরা কিভাবে ব্যায়াম করতে পারে?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি একইসুরে জানান, ‘আমরা ২৪ ঘন্টা খুলে দিয়ে চলে গেলে তো জিনিসপত্র চুরি যাবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এ বিষয়ে বলেন, ‘ব্যায়ামাগারকে ছাত্রলীগ তাদের অফিস হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না। এটা শারিরীক শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্বে থাকবে। ব্যায়ামাগার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর এবং এটি সবাই ব্যবহার করবে সমভাবে। এর ব্যত্যয় হয়ে থাকলে আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।’

Feb2

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ও টি২০ থেকে আগেই অবসর নেওয়ায় শুধু ওয়ানডে খেলতেন ৩৯ বছর বয়সী এ ব্যাটার। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ঘোষণায় ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বললেন তিনি। তাঁর ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হলো- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে।’

আগের দিন মঙ্গলবার জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি এ দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মার্চ মাস থেকে চুক্তিতে না রাখার অনুরোধ করেছেন মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলায় এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাবেন তিনি। ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম মার্চ থেকে অবনমিত হবেন ‘বি’ ক্যাটেগরিতে। মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা না দিলেও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ হতে পারে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছেন না।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার আগে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজাও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। মাশরাফি আনুষ্ঠানিক বিদায় না বললেও তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশফিক।

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।