খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ডে কেয়ার সেন্টার’ নিয়ন্ত্রণে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:০৯ অপরাহ্ণ
‘ডে কেয়ার সেন্টার’ নিয়ন্ত্রণে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

শিশুদের দিবাযত্ন কেন্দ্রেগুলোকে একটি আইনী কাঠামোয় আনা এবং বিশেষ করে এসব স্থাপনায় তালিকাভুক্ত কর্মজীবী নারীর শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন, ২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আজ সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে ‘লক্ষ্মীপুর এবং বগুড়ায় আরো দুটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রণীত আইনের খসড়াও নীতিগত অনুমোদন প্রদান করা হয়।

বৈঠকের বিষয়ে আজ বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের অবহিতকরণকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আইনটি প্রণীত হলে নারীর ক্ষমতায়নের সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি শিশুর পরিচর্যাও সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।’

তিনি বলেন, যেহেতু যৌথ পরিবার কমে যাচেছ এবং মহিলারা বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছেন তাই তাদের শিশুদের যাতে কর্মস্থানের আশাপাশের কোথাও লালন-পালন করা যায় সেজন্যই যেসব ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ গড়ে উঠছে, যেগুলো সঠিকভাবে পরিচালনার জন্যই এই আইন।

এই আইনের ৭টি অধ্যায়ে ২৫টি ধারা আছে। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হচ্ছে-
চার ধরনের শিশু ডে কেয়ার সেন্টারের কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- প্রথমত, সরকার কর্তৃক ভর্তুকি প্রদান। দ্বিতীয়ত, সরকার অথবা সরকারি কোন দপ্তর বা অধিদপ্তর বা পরিদপ্তর অথবা সংবিধিবব্ধ সংস্থা বা কোন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা কর্তৃক বিনামূল্যে পরিচালিত, তৃতীয়ত, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত এবং চতুর্থত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা বেসরকারি সংস্থা বা সংঘ বা সমিতি বা কর্পোরেট সেক্টর বা শিল্প খাত কর্তৃক অলাভজনক উদ্দেশ্যে পরিচালিত।

সচিব বলেন, আইনের ১৭ ধারায় প্রতিটি দিবাযত্ন কেন্দ্রে মাতৃ দুগ্ধ পানকারি শিশুদের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত অবকাঠামো সুবিধাসম্পন্ন মাতৃ দুগ্ধ পানের স্থান রাখার বিষয় রয়েছে। এছাড়া, ১৮ ধারায় প্রতিটি দিবাযত্ন কেন্দ্রে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত অবকাঠামো সুবিধা রাখা হয়েছে।

নতুন আইনে জরিমানা বা দন্ডের বিধান সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিশুর নিরাপত্তা বিঘ্ন ও ঘাটতির জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং কোন সংক্রামক রোগের তথ্য গোপন করলে তাকে ৬ মাসের কারাদন্ড এবং অনুর্ধ্ব এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। এছাড়া, নিবন্ধন না করে এই ধরণের সেন্টার স্থাপন করলে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সনদ প্রদর্শন না করা পর্যন্ত দৈনিক ৫ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত হারে জরিমানা প্রদান করতে হবে।

লক্ষ্মীপুর ও বগুড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এজন্য ‘লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’ ও ‘বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খন্দকার আনোয়ার জানান, প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্মীপুর জেলায় লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বগুড়া জেলায় বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য দুটি আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর ও বগুড়া জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হলেও এখনো স্থান নির্ধারণ করা হয়নি বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

দুটি খসড়া আইনে ৫৫টি ধারা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও সংজ্ঞা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলোর মধ্যে ৯ ধারায় বিশ্ববিদ্যায় চান্সেলর, ১০ থেকে ১১ ধারায় ভাইস চ্যান্সেলর, ১২ ধারায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ১৩ ধারায় কোষাধ্যক্ষ, ১৮ থেকে ২০ ধারায় সিন্ডিকেট, ২১ থেকে ২২ ধারায় একাডেমিক কাউন্সিল, ২৯ থেকে ৩০ ধারায় অর্থ কমিটি সম্পর্কিত বিধান সন্নিবেশিত আছে।’

এছাড়া আইনের আলোকে ২১টি অনুচ্ছেদ সংবলিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির খসড়া আইনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ইউজিসি’র তথ্য মতে-বর্তমানে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৪৪টি। নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৬টিতে। অন্যদিকে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১০৫টি। এর মধ্যে ৯০টিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত ২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-’এর কনফারেন্স পার্টিজ-’এর ২৫তম বার্ষিক অধিবেশনের শীর্ষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।

এছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইতালি ও গ্রীস সফর, আসেম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ সহ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দুটি বিদেশ সফর এবং দুটি সেমিনারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয় বলেও সচিব জানান।

Feb2

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ও টি২০ থেকে আগেই অবসর নেওয়ায় শুধু ওয়ানডে খেলতেন ৩৯ বছর বয়সী এ ব্যাটার। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ঘোষণায় ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বললেন তিনি। তাঁর ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হলো- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে।’

আগের দিন মঙ্গলবার জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি এ দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মার্চ মাস থেকে চুক্তিতে না রাখার অনুরোধ করেছেন মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলায় এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাবেন তিনি। ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম মার্চ থেকে অবনমিত হবেন ‘বি’ ক্যাটেগরিতে। মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা না দিলেও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ হতে পারে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছেন না।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার আগে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজাও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। মাশরাফি আনুষ্ঠানিক বিদায় না বললেও তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশফিক।

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।