খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুভ জন্মদিন মাশরাফি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ
শুভ জন্মদিন মাশরাফি

.jpg

মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। তারই হাত ধরে নতুনভাবে পথ চলতে শুরু করেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটকে যিনি নিয়ে গেছেন সম্মানজনক এক উচ্চতায়। সেই লড়াকু সৈনিক বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক,বর্তমান সাংসদ নড়াইল এক্সপ্রেসখ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজার শুভ জন্মদিন আজ।

১৯৮৩ সালের আজকের এই দিনে নড়াইলের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। তবে শুধু মাশরাফিরই নয়, মজার বিষয় হলো ছেলে সাহেলের জন্মও একই দিনে। ২০১৪ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্ম হয় তার ছেলে সাহেলের। একই দিন পিতা-পুত্রের জন্মদিন।

ব্যাট আর বল হাতে টিম টাইগারদের নেতৃত্বদানকারী এ ক্যাপ্টেন ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছেন ৩৬টি বসন্ত। আজ শনিবার তার ৩৭তম বসন্তে দিলেন।

মাশরাফি ও ছেলে সোহেলর আজ একই দিন জন্মদিন

মাশরাফি প্রতিটি পদক্ষেপ হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয় সবার, তার একটুখানি থেমে যাওয়ায় থেমে যায় পুরো দেশ। বল হাতে তিনি দৌড়ালে আনন্দে উদ্ভাসিত হয় প্রতিটি মানুষ। সাধারণ মানুষকে কেউ পছন্দ করে, কেউবা অপছন্দ করে। এটাই স্বাভাবিক। তবে এই মানুষটিকে অপছন্দ করে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তিনি কোটি বাঙালির ভালোবাসার মানুষ।

ডানহাতি ব্যাটসম্যান, বোলিংয়ের ধরন ডানহাতি মিডিয়াম পেশ বোলার মাশরাফি। এ দেশের ক্রিকেটকে অন্যতম এক স্তম্ভে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্বের দাবিদার যে মানুষগুলো তাদের মধ্যে অন্যতম একজন মাশরাফি। ডাক নাম কৌশিক হলেও ম্যাশ, সুপারম্যাশ, নড়াইল এক্সপ্রেস, পাগলা, গুরু… এমন হরেক নামেই ভক্তকুলের কাছে পরিচিত তিনি।

নানাবাড়িতেই মাশরাফির বড় হওয়া। নিজের বাসা থেকে নানাবাড়ি ৫ মিনিট দূরত্বের হওয়ায় বিশেষ কোনো অসুবিধাও হয়নি থাকতে। খেলার প্রতি মাশরাফির আগ্রহ ছিল ছোটবেলা থেকে। বাড়ির পাশের স্কুল মাঠে বড়দের ক্রিকেট খেলতে দেখে ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয় তার। দাঁড়িয়ে থাকতেন উইকেট কিপারের পাশে। ছোট মানুষ আহত হবে ভেবে বড়রা তাকে সরিয়ে দিত। হয়ত তখন থেকেই শিশু মাশরাফি ভবিষ্যতের চিত্রপটে সাজাতেন বাংলাদেশ ক্রিকেট জগতকে!

ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন বেশ পছন্দ করতেন মাশরাফি। পছন্দের কাজের তালিকায় ছিল চিত্রা নদীর বুকে দাপিয়ে বেড়ানো আর সাঁতার কাটা। বাইক চালাতে ভালো লাগে মাশরাফির। আর তাইতো প্রায়ই নড়াইলের স্থানীয় ব্রিজের এপার ওপার বাইকে চক্কর দেন। নিজের শহর, শহরের মানুষগুলোকে ভীষণ ভালোবাসেন মাশরাফি। প্রতিদানে নিজেও পেয়েছেন নিখাদ ভালোবাসা। তাইতো নড়াইলে খ্যাতি মিলেছে ‘প্রিন্স অব হার্টস’ উপাধির।

যার বোলিং নৈপুণ্যে বার বার হতবাক হই আমরা সেই মাশরাফি কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে পছন্দ করতেন ব্যাটিং। যদিও বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম সারির উইকেট শিকারি বোলার তিনি এবং সমর্থকদের কাছে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামে পরিচিত।

২০০১ সালে টেস্টের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে মাশরাফির। ২০০৯ পর্যন্ত এই ফরম্যাটে খেলেছেন মোট ৩৬টি ম্যাচ। আদায় করেছেন ৭৮টি উইকেট। অবসরের ঘোষণা না দিলেও টেস্টে হয়তো আর ফিরবেন না তিনি।

একই বছর ওয়ানডেতে অভিষেক ঘটে এই গতি তারকার। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল পর্যন্ত ২১৭টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে তুলে নিয়েছেন ২৬৬টি উইকেট। ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টিতে অবসর নেওয়া মাশরাফির সংগ্রহ ৫৪ ম্যাচে ৪২টি উইকেট।

শরীরের জোর থেকে যার মনের জোর বেশি তিনি মাশরাফি। নিজের প্রচণ্ড কঠিন মানসিক শক্তির বলে বার বার থেমে গিয়েও আবার সামনে এগিয়েছেন। ইনজুরি নামক ক্যারিয়ারঘাতী বিপদকে অভিষেক থেকে সঙ্গী করে চলছেন এই পেশার। বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন ইনজুরিকে। হাসপাতালের ভয়ানক ছুরি-কাঁচি আর সার্জারিকে তোয়াক্কা না করে বারবার নামছেন সবুজ গালিচার মাঠে। দৌড়ে যাচ্ছেন নিজের দলের জন্য, নিজের দেশের জন্য।

কোনো দলের বিপক্ষে যত বার মাঠে নেমেছেন তার চেয়ে বেশি বোধহয় দাঁড়িয়েছেন ইনজুরির বিপক্ষে। কতশত বার যে মাশরাফি ইনজুরিতে কাতরাতে কাতরাতে মাঠ ছেড়েছেন তার হিসেব করলে ভুল করবেন যে কেউ। তবু বারবার ফিরে এসেছেন তিনি, নতুন শক্তিতে, নতুন উদ্যমে। অবশ্য যে মানুষটির প্রতিটি হৃৎস্পন্দন জুড়ে দেশ আর দেশের মানুষ, এমন দুঃসাহস তো তাকেই মানায়!

বার বার বাদ পড়ে দলে ফেরত আসার জন্য ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে ‘কামব্যাক কিং’ নামে ডাকা হর। বার বার ইনজুরিতে পড়েও বীরদর্পে প্রত্যাবর্তন করা মাশরাফিকে তবে কী বলে ডাকা উচিত?

মাশরাফির চিকিৎসক অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদ ডেভিড ইয়াং। ২০০৩ সাল থেকে মাশরাফির দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। প্রতিবার মাঠে খেলতে নামেন মাশরাফি আর চমকে ওঠেন ডেভিড। অবিশ্বাস্য চোখে বলে ওঠেন, এও কী সম্ভব! এমন ইনজুরি থেকে সদ্য সেরে ওঠা একজন মানুষ কিনা ফাস্ট বোলিং করছে! রান বাঁচাতে হুট-হাট লাফঝাঁপ দিচ্ছে! তিনি হতবাক হয়ে যান আর পরের বার মাশরাফি ফের ইনজুরিতে পড়লে হয়ত মনে মনে হেসে বলেন, আমাকে আরেক বার হতবাক কর, পাগলা। বার বার অবাক করে দাও।

আসলে ইনজুরিতে পড়ে বারবার ফিরে আসার মন্ত্র জানেন মাশরাফি। সেই অদৃশ্য মন্ত্রের জোরে জয় করেন সব বাঁধা। দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে জিতেছেন, দলকে জিতিয়েছেন। আর তাইতো মাশরাফি কেবল ক্রিকেটার পরিচয়ে আটকে থাকেন না। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি হয়ে যান সুপারম্যানের মতো সুপারম্যাশ। হয়ে ওঠেন অনুপ্রেরণা আর সাহসের উৎস।

কী মন্ত্রের জোরে ইনজুরিতে পায়ের নিচে পিষে খেলেন মাশরাফি? তিনি নিজেই জবাব দেন, ‘বার বার ইনজুরি থেকে ফিরে আসার প্রেরণা পাই, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে। এমনও ম্যাচ গেছে আমি হয়তো চোটের কারণে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না। দুই তিনটা বল করেই বুঝতে পারছিলাম সমস্যা হচ্ছে। তখন তাদের স্মরণ করেছি। নিজেকে বলেছি, হাতে-পায়ে গুলি লাগার পরও তারা যুদ্ধ করেছিলেন কীভাবে? তোর তো একটা মাত্র লিগামেন্ট নেই! দৌড়া…’

এই পাগলা আসলেই দৌড়ে যাচ্ছে। কাঁধে তার দেশের মানুষের ভালোবাসার বেশ বড় বোঝা নিয়েই দৌড়ে চলছে অবিরত। মাঠে সঙ্গীদের পরামর্শ দিচ্ছেন, এক সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ছেন, প্রয়োজনে একটু শাসনও করে নিচ্ছেন বড় ভাই বা অভিভাবক হিসেবে। ড্রেসিং রুমের বারান্দা থেকেও মাঠে থাকা সতীর্থদের নানা অঙ্গভঙ্গিতে সাহস দিচ্ছেন, নির্দেশনা দিচ্ছেন। তা লুফেও নিচ্ছেন সবাই। গুরুর চোখের ভাষা, হাতের ভাষা সবকিছু যে মুখস্থ সবার!

২০১৪ সালের এই দিনে মাশরাফি বিন মর্তুজা-স্ত্রী সুমনা হক সুমির কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে আসে ছেলে সাহেল।

বাবা ও ছেলের জন্য ‘২৪ ঘন্টা নিউজ’ পরিবার থেকে রইলো জন্মদিনের অকৃত্রিম শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। শুভ জন্মদিন মাশরাফি, শুভ জন্মদিন সাহেল। খেলে যাক মাশরাফি, জিতে যাক তার পাহাড়সম মানসিক মনোবল। আমাদের ক্রিকেট ট্রফি হিসেবে মাশরাফি বিন মুর্তজা আলোকিত করে রাখুন ক্রিকেটাঙ্গনের সাজানো শোকেস।

 

 

Feb2

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।