খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চসিক নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিতে নীল নকশার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:০২ অপরাহ্ণ
চসিক নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিতে  নীল নকশার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে

আগামী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি যাতে অংশ নিতে না পারে সে জন্য এখন থেকে নানা ষড়যন্ত্র, হামলা মামলার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রেখে যেনতেন ভাবে ২০১৮ সালের মত নীল নকশার নির্বাচন বাস্তবাযনের কাজ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।

আজ শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে চট্টগ্রামের নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযাগ করেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের মতবিনিময় চলাকালে কোন কারণ ছাড়াই পুলিশী হামলা, ককটেল হামলা ও গুলি চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করে কেন্দ্রিয় ছাত্রদল নেতাসহ কয়েজনকে গ্রেফতারের পর উল্টো অসংখ্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. শাহাদাত বলেন, আগামী সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নীল নকশা বাস্তবায়নে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে সিএমপির কতিপয় এক বির্তর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা। যিনি ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে যেভাবে গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছিল।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. শাহাদাত আরো বলেন, গত ২৮ জানুয়ায়ী মঙ্গলবার চট্টগ্রামে সফররত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের তৃনমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল থেকে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচী চলাকালে কোতোয়ালী থানা ও ডিবি পুলিশ বিনা কারণে কার্যালয়ে ঢুকে নেতাকর্মীদের উপর বর্বর হামলা চালায়। এতে পুলিশ মারমুখি হয়ে নেতা কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং গুলি চালায়। এসময় পুলিশ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। যা শিষ্টাচার বহির্ভূত।

পুলিশের গুলিতে এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মাইনুদ্দীন শহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ. এম. রাশেদ খান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কে. এম আব্বাস ও গাজী শওকত সহ ১০/ ১২ জন নেতা কর্মীসহ আহত হয়। তাদেরকে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদ আলম সর্দ্দার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দীন নিলয়, চট্টগ্রাম মহানগর
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম খলিল, মোঃ বেলালকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিম চট্টগ্রামের বিভিন্ন ইউনিটে ছাত্রদল নেতাদের সাথে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ সম্পূর্ণ বিনা কারণে ছাত্রদল নেতাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে আবার তাদের নামে ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ঐ সময়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন গণ মাধ্যমে স্বীকার করেন পুলিশ চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। অথচ পরের দিন ছাত্রদল নেতা কর্মীরা পুলিশকে ককটেল হামলা করেছে অভিযোগ এনে ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল না এমন নেতাদের নামও মামলায় আসামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ চূড়ান্ত মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ পদোন্নতির আশায় ছাত্রদলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনে এবং গণমাধ্যমে তা প্রচার করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় আবারও ষড়যন্ত্রমূলক অপ তৎপরতা শুরু করেছে। তথাকথিত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে যেভাবে গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ঠিক তেমনিভাবে কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা আবারও গ্রেপ্তার নির্যাতন শুরু করেছে। নির্বাচনের আগে দায়ের হওয়া গায়েবী মামলায় নেতাকর্মীরা হাইকোর্টের জামিনে থাকলেও নিন্ম আদালত জামিন বাতিল করে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা মনে করি, বিএনপির বলিষ্ঠ নেতাকর্মীরা যাতে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাজ করতে না পারে সে জন্য তারা এই গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে।

এইভাবে নেতা কর্মীদের যদি মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। তাই আমরা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতনভোগি পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ করব, জনবান্ধব পুলিশ হউন, কোন গোষ্ঠির স্বার্থ রক্ষাকারী পেটুয়া বাহিনী হিসেবে চি‎হ্নিত হবেন না। আমরা ছাত্রদল নেতা কর্মকমীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি যাতে অংশ নিতে না পারে সে জন্য এখন থেকে নানা ষড়যন্ত্র, হামলা মামলার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রেখে যেনতেন ভাবে ২০১৮ সালের মত নীল নকশার নির্বাচন বাস্তবাযনের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, আগামী সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নীল নকশা বাস্তবায়নে সিএমপির অতিউৎসাহী কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এখন থেকে মাঠে নেমেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছিল। আবারো সে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, আর. ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হামিদ হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম সরওয়ার আলম, নগর মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফাতেমা বাদশা, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিম স্বপন, সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, সহ স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক আরিফ মেহেদী, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নগর বিএনপির সদস্য জাকিরহোসেন, মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।