খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালদীঘির মহাসমাবেশে লাখো জনতার সমাগম হবে: মেয়র নাছির

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
লালদীঘির মহাসমাবেশে লাখো জনতার সমাগম হবে: মেয়র নাছির

মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যৌতুক ও দুর্নীতি প্রতিরোধে কাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য লালদীঘির মহাসমাবেশে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

এই সমাবেশে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ও সিএমপি কমিশনার অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

আজ বুধবার বিকেলে টাইগারপাসে চসিক সম্মেলন কক্ষে মহাসমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চসিক আইন শৃংখলা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এইচএম সোহেল। এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ জাবেদ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ,চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার ও জাহানারা ফেরদৌস প্রমূখ।

সিটি মেয়র বলেন, ‘মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যৌতুক ও দুর্নীতিকে না বলুন” নিরাপদ ও বাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়ে তুলুন’ স্লোগানে এ মহাসমাবেশের আয়োজন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এই সমাবেশে সকল পেশার মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যৌতুক ও দুর্নীতি প্রতিরোধে শপথ পাঠ করানো হবে।

তিনি বলেন, জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধান অন্তরায় মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যৌতুক ও দুর্নীতি। এই সকল বাধা সমূহ দূরীকরনে ২০১৭ সালে চসিকের ৫ম নির্বাচিত পরিষদের ২০ তম সাধারন সভায় কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে ৩০ এপ্রিল ২০১৭ সালে থিয়েটার ইনস্টিটিউটে এক সভার মাধ্যমে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের তালিকা পুলিশ কমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডে সভা করে অক্টোবর ২০১৯ এর মাধ্যমে ওয়ার্ড পর্য্যায়ে সভা সমাপ্ত হয়।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চসিক মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যৌতুক ও দুর্নীতির মত কালো ব্যাধি থেকে সমাজ ও নগরকে মুক্ত করার উদ্দেশ্য নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রতিটি ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণের সাথে এই সভার আয়োজন করে। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যৌতুক ও দুর্নীতি জাতীয় অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখিন। উন্নয়নের অগ্রযাত্রার অন্যতম শক্তি দেশের তরুন সমাজ। মাদক, সন্ত্রাসের ভয়াবহতা দূর্নীতি ও জঙ্গিবাদের ছোবল তরুন সহ সমগ্র সমাজের সর্বনাশ ডেকে আনছে।

এমতাবস্থায় দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিকে দমন করার কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তারই প্রেক্ষিতে চসিক প্রত্যেক ওয়ার্ডে সমাবেশ করে এবং এইসব সমাবেশে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মাদক অধিদপ্তরে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন শৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা অনস্বিকার্য। তারই প্রেক্ষিতে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে এই মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা পুলিশ প্রশাসনকে প্রদান করা হয়। ফলে তালিকাভুক্ত অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়। এই সমাবেশের মাধ্যমে সাধারন মানুষের সাথে পুলিশ প্রশাসনের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পায়। ওয়ার্ড ভিত্তিক মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী সভা করার ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সাথে মতবিনিময়,তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমে গতি সঞ্চার হয়েছে।

তিনি বলেন, এর ফলে মাদকের বেপরোয়া অবস্থা থেকে নগরে পরিবর্তন এসেছে। মাদক কারবারিদের আস্ফালন নেই।

চসিকের সেবার পরিধি বাড়ানোর অংশ হিসেবে এই সমাবেশ করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বছরে মুজিব জন্মশত বার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। এই মুজিব বর্ষকে উপলক্ষ করে চসিক তার নগরকে মাদকমুক্ত নগর গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

মেয়র বৃহষ্পতিবারের মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যৌতুক ও দুর্নীতি প্রতিরোধ সমাবেশের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ আয়োজনের উদ্যোগে নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এতে ব্যানার, ফেষ্টুন, প্লে-কার্ড নিয়ে ৪১ ওয়ার্ডে সন্ত্রাস,মাদক,জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী গঠিত কমিটির আহ্বায়কের নেতৃত্বে ‘সন্ত্রাস,মাদক,জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিকে না বলুন, নিরাপদ ও বাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়ে তুলুন’ শ্লোগান সম্বলিত মিছিল সহকারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণসহ সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, কলামিষ্ট, সাংবাদিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং সর্বস্তরের নগরবাসী এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন।

সমাবেশের জন্য লালদিঘীর দক্ষিণ অংশে একটি বৃহৎ আকারের পেন্ডেল, মঞ্চে কার্পেট, ভিআইপি টেবিল বক্স, বক্তব্য ডাইস, কুসুম চেয়ার, কাঠের চেয়ার, ভিআইপি সোফাসহ মাঠে মহিলা ও মুরব্বিদের জন্য ৭ হাজার চেয়ার বসানো হবে। তবে সড়কে থাকবেন পুরুষরা। সমাবেশে আগতদের দেখার সুবিধার্থে মাঠের ভিতরে ৫টি বড় এলইডি স্কিন, কোতোয়ালী মোড়, জেলা পরিষদ মার্কেট, সোনালী ব্যাংক, লালদিঘীর পূর্ব পাশ ও সিনেমা প্যালেস মোড়ে এলইডি স্কিন বসানো সহ আন্দরকিল্লা ও নিউমার্কেট মোড় পর্যন্ত পর্যাপ্ত মাইক বসানো হবে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের অবহিত করেন। এই সমাবেশ সফল ও সুষ্ঠ প্রচারে মেয়র সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।