খুঁজুন
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জব্দ করা ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে মানচিত্র, বিতর্কে বিজিবি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ
জব্দ করা ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে মানচিত্র, বিতর্কে বিজিবি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কুষ্টিয়ায় জব্দ করা ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র বানিয়েছে। এ ঘটনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা ও বিতর্ক।

মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ার মিরপুরে ‘৪৭ বিজিবি’ জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংসের অনুষ্ঠানে এ কাণ্ড ঘটায়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জব্দকৃত ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রের আদলে একটি প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়। প্রতিকৃতির ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট হলে তা দ্রুত ভাইরাল হয়।

বিজিবি’র পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করা হলেও বিশিষ্টজনরা সমালোচনা করে বলছেন, অজ্ঞতা ও দেশপ্রেমের বোধ যাদের নেই তারাই এমনটা করতে পারে। জাতীয় মর্যাদাকে যারা লাঞ্ছিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইন তৈরি করে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা দরকার।

৪ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় বিভিন্ন সময়ে ৪৭ বিজিবি’র আটক করা ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। ওই দিন দুপুরে জেলার মিরপুরে ৪৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) অভ্যন্তরে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করে। এর আগে আটক মাদকদ্রব্য (ফেনসিডিলের বোতল) দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করা হয়।

এর আগে ২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আটক করা বিপুল পরিমাণ মদ ও ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কুষ্টিয়া সেক্টর। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই এমনটা করা হয়েছে বলে দাবি তাদের।

তবে মঙ্গলবারের এমন ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিজিবি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্ম কতোটা যুক্তিসংগত, এমন প্রশ্নও তোলা হয় সেখানে। এমন কাজের জন্য দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে বলেও লেখেন তারা।

জীবন রহমান মোহন নামের এক ব্যক্তি নিজের পোস্টে লিখেছেন: ‘অবৈধ ফেনসিডিল দিয়ে দেশের মানচিত্র, সেটা কোন যুক্তিতে করলো বিজিবি আমার মাথায় আসে না। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের বাংলাদেশের মানচিত্র। কুষ্টিয়ার মিরপুর মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিজিবি ক্যাম্প কর্তৃক মাদকদ্রব্য ধ্বংসের পূর্বে ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র বানানোর যৌক্তিকতা কি দেখাবেন কুষ্টিয়া মিরপুর বিজিবি ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ? এমন ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড দেশের মানচিত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে কিনা? একটা মানচিত্র মানে একটা দেশ, একটা সার্বভৌমত্ব, সেই দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে এমন তামাশা বাংলাদেশের মানচিত্রের অবমাননার শামিল।’

মো. আকবর হুসেন লিখেছেন: ‘স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করলো ফেন্সিডিলের বোতল দিয়ে!’

আ. রহমান চৌধুরী তুহিন লিখেছেন, ‘চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে…মানচিত্রে এক বিন্দু জায়গাও খালি নাই, প্রতিটি কোনায় কোনায় মাদক দখল করে ফেলেছে!!! ফেনসিডিল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র…!!!’

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মতো বিশিষ্টজনরাও বিজিবি’র এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন: বিজিবি অবশ্যই নিন্দনীয় কাজ করেছে। এটা করার বুদ্ধি তাদের কে দিয়েছে? আমাদের মনে রাখতে হবে, এ মানচিত্র আমরা অর্জন করেছি ৩০ লাখ শহীদের রক্তের মূল্যে। পৃথিবীর কোনো জাতি স্বাধীনতার জন্য এতো মূল্য দেয়নি যা আমরা দিয়েছি।

তিনি বলেন: আমরা মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশের মানচিত্র নিয়ে এমন তামাশা বরদাশত করা উচিত না।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা এবং ‘৭৫-এর প্রতিরোধী যোদ্ধা বীরপ্রতীক সরদার নাজিমুদ্দিন আহমেদ গেরিলা বলেন: এমন কর্মকাণ্ড কাণ্ডজ্ঞানহীন, অজ্ঞতা ও অবজ্ঞার ব্যাপার। যাদের দেশপ্রেমের বোধটুকু নেই তারাই এ ধরনের কাজ করতে পারে।

‘দেশের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ, মমত্ববোধ থাকতে হয়’ জানিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন: দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে ঠিকই। কিন্তু উন্নয়নকে ধরে রাখার জন্য যে মজবুত কাঠামো দরকার সেটা আমাদের তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন: দেশকে অসম্মান করে, দেশের প্রতি ভালোবাসাকে বহি:প্রকাশের জন্য আমরা বিকৃত কর্মকাণ্ড করি তাহলে আমাদের ষোলোআনাই মিছে হয়ে দাঁড়াবে।

ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র নির্মাণ করায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত জানিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন: দেশের মানচিত্রকে, দেশের জাতীয় পতাকাকে, দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে যারা অশ্রদ্ধা করে তাদের শাস্তির জন্য বিশেষ আইন তৈরি করা দরকার।

জাতীয় মর্যাদাকে অবমাননা করা হয় এমন বিষয়ে বিশেষ আইন করার প্রস্তাব ২০১৬ সালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি করেছে। সংস্থাটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন: মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃত ইতিহাস ও অস্বীকার আইন প্রণয়নের জন্য প্রস্তাবটা আমরা আইন কমিশনকে লিখিতভাবে দিয়েছি। পরে তারা খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।

তিনি বলেন: এই আইনে আমাদের জাতীয় মর্যাদাকে কেউ যদি অবমাননা, লাঞ্ছিত ও অবমূল্যায়ন করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

২০১৫ সালেও ফেনসিডিল ও মদ দিয়ে বিজিবি বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করেছিল

এ ধরনের কাজ যারা করেছে তারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শামিল অপরাধ করেছে জানিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন: আমরা বারবার আইন মন্ত্রণালয়কে বলছি আইনটি দ্রুত পাশ করার জন্য। আইনটি বাস্তবায়ন হলে অপরাধীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়ে যাবে।

ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে মানচিত্র তৈরির বিষয়ে বিজিবি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন: বিষয়টি ভুলে করা হয়েছে। এমন ভুলের জন্য বিজিবি দুঃখপ্রকাশ করছে।

 

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।