খুঁজুন
শনিবার, ৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সনাতনী যাতায়াত ব্যবস্থা সন্দ্বীপের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ
সনাতনী যাতায়াত ব্যবস্থা সন্দ্বীপের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় উন্নয়ন অগ্রগতির অপার সম্ভাবনার হাতছানি চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ। সন্দ্বীপের পশ্চিম অংশে জেগেছে বিশাল চর।যা কাজে লাগাতে পারলে উন্নত জনপদ হতে পারে সাগর কন্যা সন্দ্বীপ।

জাতীয় অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা ভূমিকা রাখছে। কিন্তু সব কিছু ছাপছি বিশদ সম্ভাবনার এ জনপদের প্রধান অন্তরায় সনাতনী যাতায়াত।

সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সাগরের তলদেশ দিয়ে গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছে সন্দ্বীপবাসী। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর বিদ্যুৎ পেয়ে আনন্দে আত্নহারা সন্দ্বীপের বাসিন্দারা। চারদিকে সাগরবেষ্টিত সাগরকন্যা খ্যাত দ্বীপ উপজেলাটি দূর্যোগপবন এলাকা তাই ব্লক দিয়ে বেড়ীবাঁধ নির্মাণ হচ্ছে।

দেলোয়ার খাঁ সড়ক ( মেইন রোড) প্রস্ততকরণের কাজও চলমান। আরসিসি জেটি নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্ভোধনের অপেক্ষায়।

সন্দ্বীপকে অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। এতো সব উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছে শুধুমাত্র নিরাপদ নৌ যাতায়াত না হওয়ায়। সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছাতে ১৫ কি.মি. সাগর পাড়ি দিতে হয় অনিরাপদ নৌযানে করে। প্রতিনিয়ত সন্দ্বীপের বাসিন্দাদের উপেক্ষা করতে হয় মৃত্যুর চোখ রাঙ্গানি।

বিশেযজ্ঞদের দাবী, স্বাধীনতার পর গত ৫ বছরে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন কর্মকান্ড হলেও শুধুমাত্র অনিরাপদ নৌ যাতায়াতের কারণে সবকিছু দুলিশ্চাৎ হয়ে যাচ্ছে অনিরাপদ নৌযাতায়াতে কারণে।

যথাসময়ে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছাতে না পেরে কেউ চোখ হারিয়েছেন। সংকটাপন্ন বহু প্রসূতি মাকে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিতে গিয়ে জীবিত অবস্থায় স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। অনেক মা আবার নদীর মাঝে ট্রলারে সন্তান প্রসব করে মৃত্যুবরণ করেছেন। সন্দ্বীপে এমন হাজারো ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়।

মূল ভূ-খণ্ড থেকে অনেক দূরে চারিদিকে জলরাশি বেষ্টিত এই দ্বীপের যাতায়াত ব্যবস্থার কাছে মানুষ যেন অসহায়। প্রাকৃতিক নানামুখী প্রতিকূলতায় বিপন্ন এই মানুষগুলোর চিকিৎসা সেবা নিয়তিনির্ভর।

যথাসময়ে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছাতে না পেরে চিরদিনের জন্য ডান চোখটি হারিয়েছেন ঘাট শ্রমিক নিজাম উদ্দিন। নিজের চোখ হারিয়ে তার এখন আর তেমন কোন দুঃখ নেই। তার দাবি, আর কাউকে যাতে এভাবে চোখ হারাতে না হয়, সে ব্যবস্থা যেন সরকার গ্রহণ করে।

নিজামউদ্দিন বলেন, ঘাটে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে ট্রলার থেকে বস্তা নামানোর সময় তার ডান চোখে আঘাত লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চলে চান সন্দ্বীপের উত্তরপ্রান্তে গাছুয়ায় অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য গুপ্তছড়া ঘাটে গিয়ে কোনো যানবাহন পেলেন না, রাত হয়ে যাওয়ায়। সেই চোখ নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। পরের দিন একটি বালুর ট্রলারে করে চট্টগ্রামে চক্ষু ডাক্তারের কাছে পৌঁছাতে বিকেল গড়িয়ে যায়। ডাক্তার জানান, এই চোখ ভালো করার কোনো সুযোগ নেই।

শুধুমাত্র মূলভূখন্ডের সাথে অনিরাপদ নৌযাতায়াতের কারণে এমন দুর্বিসহ কষ্ট সন্দ্বীপবাসীর। বার বার নৌ দূর্ঘটনায় মানুষের প্রানহানী ঘটে তবুও নিরাপদ হয়নি যাতায়াত ব্যবস্থার। ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল ১৮ জনের শরীর সমাধি আজও কাঁদায় সন্দ্বীপবাসীদের।

শুধু তাই নয় সন্দ্বীপ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে প্রয়াত সাংসদ দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমানের মা, বোনও মৃত্যুবরণ করেছেন।

কলেজ ছাত্র জোবায়ের হোসেন রাজু বলেন, বর্ষাকালে সন্দ্বীপ চ্যানেল খুব বেশি উত্তাল থাকে। ফিটনেসবিহীন স্পীডবোটে করে মৃত্যুর চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে আমাদের আসা যাওয়া করতে হয়। আমরা নিরাপদ নৌযান চাই।

সম্মিলিত সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপি বলেন, বর্তমান জনবান্ধব সরকার অবহেলিত সন্দ্বীপের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করেছেন। আমরা বিদ্যুৎ পেয়েছি, যা ছিল অকল্পনীয়। সরকারে সব উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে অনিরাপদ নৌযাতায়াতের কারণে।

সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, সন্দ্বীপে যাতায়াত ব্যবস্থার দূর্ভোগ লাঘোবে আমি কাজ করে যাচ্ছি। জরুরি প্রয়োজনে রাতের বেলায়ও যাতে মানুষ সাগর পাড়ি দিতে পারে সেজন্য বয়াবাতি দেয়া হবে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নৌযাতায়াত নিরাপদ করা হবে।

Feb2

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এ সময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া নিজের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মর্মে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিজের দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

জেএন/এমআর