খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি’র লাগামহীন দুর্নীতির কারণেই ওয়ান ইলেভেন’র সৃষ্টি : তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
বিএনপি’র লাগামহীন দুর্নীতির কারণেই ওয়ান ইলেভেন’র সৃষ্টি : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র লাগামহীন দুর্নীতি এবং সরকার পরিচালনায় অব্যবস্থাপনার কারণেই ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, ‘তখন হাওয়া ভবন তৈরি করে সরকার পরিচালনা করা হয়। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, নৈরাজ্য, জঙ্গিবাদের উত্থানের কারণে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।’

তথ্যমন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ভাষাচিত্র প্রকাশনী আয়োজিত অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী রচিত ‘আমার দেখা ওয়ান ইলেভেন ’বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এর আগে তিনি গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবিরের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজের) মহাসচিব শাবান মাহমুদের পরিচালনায় এতে গ্রন্থের লেখক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, লেখক ও গবেষক সুভাষ সিংহ রায়, কবি শাহানা পারভীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা রাজনীতিকে বিরাজনীতি করতে চায় তারাই ওয়ান ইলেভেনের সুবিধাভোগী। এখনও একটি গোষ্ঠী রাজনীতিকদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে। বিরাজনীতি করনের প্রচেষ্টায় যারা যুক্ত ছিলেন তারা এখনও সক্রিয়। মাঝে মাঝে একত্রিত হয়।

তিনি বলেন, রাজনীতিকে বিরাজনীতি করার চক্রান্ত হিসেবে পাকিস্তানেও মার্শাল-ল জারি করা হয়। আমাদের দেশে ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজনীতি এবং রাজনীতিকদের জনসমুক্ষে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়, এটি সমীচিন নয়। তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রাণপন চেষ্টা করে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে তাকে হত্যা করা হয়।

এখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলের ও নেতৃত্বের গুনাবলীর কাছে হেরে গিয়ে তারা চক্রান্ত করছে। বিএনপি এবং তাদের দোসররা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখন ওয়ান ইলেভেনের কুশিলবদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।

তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যে কোনো উপায়ে তারা আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করতে চায় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতারা মাঝে মাঝে বলেন, শেখ হাসিনার পরিণতি পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্টের মতো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পান না।’

মন্ত্রী বলেন, ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনার মুক্তির পর গণতন্ত্রের মুক্তি হয়। শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশ আজ মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা এখণ শুধু আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি পৃথিবীর অনুকরনীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি বিশ্ব নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

তিনি বলেন, যে রাজনীতিবিদ সাহসী নন তিনি এক সময় রাজনীতি থেকে হারিয়ে যান। বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতিকে প্রচন্ড ভালো বাসতেন। সূর্যসেনকে একজন ডাকাত হিসেবে ফাঁসি দেয়া হয়। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় সূর্যসেন স্মরনীয় হয়ে আছেন।

ড.হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সঙ্গীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তীব্রভাবে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। এর দু’দিন পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একে একে অনেকে গ্রেফতার হন। আমি তখন আমার বাসায় না থেকে অন্য বাসায় থাকি। আমার স্ত্রীও বাসা ছেড়ে বাইরে থাকতেন।’

আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেফতারের পরে প্রতিপক্ষ মিষ্টি বিতরন করে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরেও পরবর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মিষ্টি বিতরন করা হয়। ওয়ান ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকেও গ্রেফতারের পরে মিষ্টি বিতরন করা হয়।’

অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে ‘আমার দেখা ওয়ান ইলেভেন’ শিরোনামে বই লেখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেদিন কি ঘটেছিল তা মানুষকে জানানোর জন্য এই ধরনের একটি বইয়ের প্রয়োজন ছিল।

সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে।

সাইফুল আলম বলেন, সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এ গ্রন্থটি রচনা করে সাহসী ভুমিকা রেখেছেন। এই গ্রন্থটি মানুষকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার সংগ্রামে শক্তি ও সাহস যুগাবে।

নঈম নিজাম বলেন, তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতার লালসায় গণতন্ত্র ধবংসের খেলায় মেতে ওঠেছিল। দেশে ভীতিকর অবস্থা তৈরি হয়েছিল। গনতন্ত্র আরও শুক্তিশালী করতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করতে হবে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।