খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে টাকা পাচার,আটক ১৬

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:০১ অপরাহ্ণ
অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে টাকা পাচার,আটক ১৬

সারাদেশে হাইকোট অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ করার পর ফের জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন।

অনলাইন জুয়া খেলার ওয়েব সাইট বেট থ্রি সিক্সটি ফাইভের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সর্বশেষ গত তিন মাসে এধরণের জুয়া খেলায় দু’শ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এ জুয়া খেলায় কোটি টাকা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেকে।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে টানা অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটকের পর চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য বের হয়ে আসছে।

গতকাল গভীর রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তামাকুমিন্ড লেইন থেকে শুরু হয় অন লাইন জুয়ারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের এই অভিযান। দু’টি জুয়ার স্পট থেকে আটক করা হয় ১৬ জনকে।

পুলিশ জানায়, আটককৃতদের মধ্যে ১১ জন সাধারণ জুয়াড়ি হলেও ৩ জন হলো এজেন্ট। যারা দ্বিতীয় একটি পক্ষের হয়ে এসব সাধারণ জুয়াড়িদের কাছ থেকে বাংলাদেশি টাকা নিয়ে তা ডলারে কনভার্ট করে জুয়ায় অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দিতো। মূলত তাদের আন্তজাতিক একাউন্টের মাধ্যমে সাধারণ জুয়াড়িরা টাকা বিনিয়োগের সুযোগ পেয়েছে। আর বাকি দু’জন হলো জুয়ার স্পটের মালিক।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের-সিএমপি দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার শাহ মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের কাছে খবর আসছিলো অন লাইনে জুয়ার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। সে অনুযায়ী অনুসন্ধানে নামে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম। প্রথমে তামাকুন্ডি লেইনের জুয়াড়িদের আটক করা হয়।

পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আটক করা হয়েছে দলের বাকি সদস্যদের। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের কেউ’ই কিন্তু জুয়ায় টাকা বিনিয়োগ করে জিততে পারেনি। তাতে বুঝা যায় টাকাগুলো বিদেশ চলে যাচ্ছে। আরেকটি বিষয় হলো এই বিট থ্রি সিক্সটি ফাইভ ওয়েব সাইটটি নিয়ন্ত্রন হচ্ছে দেশের বাইর থেকে।’

আটককৃতের তথ্য এবং পুলিশের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসছে, গত এক বছর ধরেই চলছে বিট থ্রি সিক্সটি ফাইভের মাধ্যমে জুয়া খেলা। আর গত ৩ মাসে অন্তত দু’শ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে এই সাইটে। বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই জুয়া নিয়ন্ত্রন হলেও চট্টগ্রামের জুয়ারীরা তৃতীয় এবং চতুর্থ পাটি হিসাবেই পরিচিত ছিলো।

আটক ইমান আলী মিঠু জানান, তারা সরাসরি এই জুয়ায় অংশ নিতেন পারেন না। অন্যজনের একাউন্ট দিয়ে তাদের জুয়া খেলতে হয়। তবে এক জুয়াড়ি স্বীকার করেছে, গত এক বছরে তার অন্তত এক কোটি ক্ষতি হয়েছে এই জুয়ায়।

জুয়াড়িদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মোবাইলে হিসাব দেখে অনেকটা বিস্মিত পুলিশ প্রশাসন।

কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য রয়েছে এসব একাউন্টে। অধিকাংশ জুয়ারীই এখানে টাকা হারিয়েছে। এমনকি কোটি টাকা হারানোর নজির রয়েছে। গত কয়েকমাস আগে জুয়া হেরে আত্মহত্যা করেছেন হাজারী গলির এক যুবক।

কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘এসব জুয়ারীরা বুঝে না বুঝে এর সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। অন লাইনের এই জুয়া খেলে লাভবান হয়েছে এমন কোনো নজির নেই।’

পুলিশ জানায়, ভারতের আইপিএল, বাংলাদেশের বিপিএলের পাশাপাশি অষ্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ নিয়েও জুয়া খেলেছে তারা। মূলত টেলিভিশনে লাইভ দেখানো ফুটবল এবং ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে চলে এসব জুয়া। নগরীর অন্তত ১০টি পয়েন্ট রয়েছে যেখানে নিয়মিত অন লাইনে এধরণের জুয়া খেলা চলছে। বিভিন্ন চাকরিসহ ব্যবসা বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্তরা লোভের বশীভূত হয়ে এই জুয়া খেলা জড়িয়ে পড়ছে।

অভিযানে অংশ নেয়া কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক সঞ্জয় কুমার দাশ জানান, জুয়াড়িরা বিট থ্রি সিক্সটি ফাইভ ওয়েব সাইটের পাশাপাশি টাকা বিনিময়ের জন্য আরো কয়েকটি অ্যাপস এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করছে।

 

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।