বালীয়াডাঙ্গীতে ইউএনও’র অসদাচরণে ক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা,শহীদ মিনারে ফুল দেয়া বর্জন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়ে ফিরে গেছেন দেশের বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। সেই সাথে বর্জন করেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শহীদ মিনারে ফুল প্রদানসহ সকল কর্মসূচী।
একুশের প্রথম প্রহরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যেই বিষয়টি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে উপজেলা প্রশাসনের পর মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিটি জাতীয় দিবসে শহীদ মিনার এবং স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ হয়। কিন্তু এবারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন উপজেলা প্রশাসনের পর বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশকে ২ নম্বর এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ৩য় নম্বর করে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর কথা বলেন। এমন ঘোষণা পর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ মিনার ত্যাগ করে ফুল দেয়া বর্জন ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কার্যালয়ে চলে আসেন।
মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম, সলেমান আলীসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ইউএনও সাহেবের নতুন নিয়ম আমরা মানিনা। এ নিয়ম আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কোনদিন মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করে দেখেননি। আমরা শহীদ মিনারে ফুলের শ্রদ্ধা বর্জন করলাম। আগামী রবিবার আমরা ইউএনও’র বিরুদ্ধে কর্মসূচী গ্রহণের জন্য সভার আহবান করেছি।
মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেননি শহিদ মিনারে।
রাত সাড়ে ১২টায় সময় ইউএনও খায়রুল আলম সুমন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কার্যালয়ে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের পুনরায় ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে বলেন। এক পর্যায়ে ইউএনওকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কার্যালয়ে রেখে বাড়ীতে চলে যান মুক্তিযোদ্ধারা। পরে স্থানীয় আ.লীগের নেতাদের মধ্যস্থতায় মুক্তিযোদ্ধাদের গুটি কয়েক সন্তান রাত ১টায় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
উপস্থিত সুধী জনেরা জানান, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের বীর সন্তান। তাদের অগ্রাধিকার সবার আগে। এমনটা করা ইউএনও’র উচিত হয়নি।
বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এন এম নুরুল ইসলাম বলেন, মুজিববর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্ব না খুবই নিন্দনীয় কাজ। আশা করছি বিষয়টি তদন্ত করবে জেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন তাৎক্ষনিক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। পরে শুক্রবার তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি সাড়া দেননি।
আপনার মতামত লিখুন