খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হুকুম দখলের জায়গা লীজ কিংবা বিক্রয় করা চলবে না : সুজন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:০১ অপরাহ্ণ
হুকুম দখলের জায়গা লীজ কিংবা বিক্রয় করা চলবে না : সুজন

হুকুম দখলের জায়গা লীজ কিংবা বিক্রয় করা চলবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

তিনি আজ রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর জামালখানস্থ প্রেস ক্লাব চত্বরে রেলওয়ে কর্তৃক হুকুম দখলকৃত জায়গা বাণিজ্যিক লীজ প্রদানের প্রতিবাদে নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

এ সময় সুজন বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে চট্টগ্রামবাসীর ৬০ ভাগ সম্পত্তি রাষ্ঠ্রীয় কাজে হুকুম দখল করেছে সরকারী এবং স্বায়ত্বশাসিত বিভিন্ন সংস্থা। হুকুম দখলের সময় শর্ত ছিল হুকুম দখলকৃত জায়গা ১২ বছরের মধ্যে যে উদ্দেশ্যে হুকুম দখল করা হয়েছে সে উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা না হলে হুকুম দখলকৃত জায়গা স্ব স্ব মালিককে ফেরত প্রদান করা হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় এই যে বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক চট্টগ্রামের আদি বাসিন্দাদের জায়গা হুকুম দখল হতে হতে আজ ক্রমান্বয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামবাসী আজ নিজ দেশে পরবাসী। যাদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল তারা হয়তো পূণরায় জায়গা জমি ক্রয় করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে কিন্তু বেশীর ভাগ জায়গার মালিকই মানবেতর জীবন যাপন করছে। দেখা যাচ্ছে যে হুকুম দখলকৃত জায়গা যে উদ্দেশ্যে হুকুম দখল করা হয়েছে সে উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিকট লীজ কিংবা বিক্রয় করে দেওয়া হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ হুকুম দখলের শর্ত বিরোধী কাজ বলে আমরা মনে করি। এজন্য জনগনের অধিকার আদায়ে নাগরিক উদ্যোগ অতীতের ন্যায় জনগনের পাশে এসে দাড়িয়েছে। যে কোন প্রকার নাগরিক দুর্ভোগ কিংবা অসুবিধায় নাগরিক উদ্যোগ জনগনকে সাথে নিয়ে জনগনের দাবী আদায়ে সর্বদা সোচ্চার থাকবে।

সম্প্রতি আমরা জানতে পারলাম বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বেসরকারি হাসপাতালের জন্য ৬ একর জায়গা বরাদ্ধ করে রেখেছে। সিআরবি এলাকায় রেলওয়ের জমিতে গড়ে তোলা হবে ৫০০ শয্যার একটি বেসরকারি হাসপাতাল। অথচ ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে একটি বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করার। সেই হাসপাতালটি বাস্তবায়নে কাজও শুরু করেছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। কিন্তু দু একর জায়গা নির্বাচনের অভাবে সে প্রকল্প আলোর মুখ দেখছে না। আমরা আরো জানতে পেরেছি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া সরকারি জমিতে হাসপাতালটি নির্মিত হলেও এর ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা হবে সম্পূর্ণ বেসরকারি মালিকানায়। যার ফলে এ হাসপাতালের চিকিৎসাব্যয়ও থাকবে সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে। এতে করে স্বাস্থ্য খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যকরী দিক নির্দেশনা পুরোপুরি উপেক্ষিত হবে এবং সাধারন জনগন পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই চট্টগ্রামের জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই আরো একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা প্রয়োজন এবং তা হতে হবে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায়। কোনভাবেই জনগনের হুকুম দখলকৃত জায়গার উপর বেসরকারি ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় হাসপাতাল নির্মিত হতে পারে না।

আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সবিনয় আহবান জানাবো উক্ত জায়গাগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নিকট হস্তান্তর করা হোক যাতে নগরবাসীকে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবা দিতে চট্টগ্রামে একটি ১০০০ শয্যা বিশিষ্ঠ বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা যায়।

এছাড়া চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হচ্ছে নগরীর সল্টগোলা হতে পতেঙ্গা পর্যন্ত। বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং সিইপিজেড কেইপিজেডসহ বিভিন্ন ভারী এবং হালকা শিল্প ঐ অঞ্চলে অবস্থিত। ঐ এলাকায় প্রায় ৫ লক্ষাধিক নারী জীবন ও জীবিকার তাগিদে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে এখানে বসবাস করে। এতো বিপুল সংখ্যক নারীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য এখানে নেই কোন প্রকার হাসপাতাল কিংবা মাতৃসদন। ফলত কোন অসুখ বিসুখ কিংবা সন্তান জন্মদানের জন্য ঐ অঞ্চলে বসবাসরত নারীদের কাঠখড় পুড়িয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে রাস্তায় সন্তান জন্মদানের মতো অমানবিক পরিস্থিতির মুখেও পড়তে হয়েছে সন্তান সম্ভবা মা দের। অথচ সল্টগোলা ক্রসিং মোড়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি বিশাল বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে যা মোটেও কাম্য নয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কোন অবস্থাতেই সামাজিক দায়বদ্ধতা এড়াতে পারে না।

আমরা আজকের এই মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই অবিলম্বে উক্ত বাণিজ্যিক স্থাপনাটিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট হস্তান্তর করা হোক। যাতে ঐ এলাকায় বসবাসরত বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত স্বাস্থ্য সেবার সুফল পেতে পারে। আমরা আরো আহবান জানাই বিভিন্ন সময় দেখতে পাই যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মাঝেমাঝে লোকদেখানো কিছু উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের গরীব মানুষদের উচ্ছেদ করে সেসব জায়গা জমি ধনীদের বরাদ্ধ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাই আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাই হাসপাতালের নামে বাণিজ্যিক লীজ প্রদান বাতিল করা হোক এবং সেই জায়গাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট হস্তান্তর করা হোক। যদি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অতিসত্বর প্রস্তাবিত ঘোষণা থেকে সরে না আসে সেক্ষেত্রে জনগনের অধিকার আদায়ে যে কোন প্রকার কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করবে নাগরিক উদ্যোগ। এই নগরীতে বসবাসরত সকল নাগরিকবৃন্দকে নাগরিক উদ্যোগের নিয়মতান্ত্রিক সকল কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করার সবিনয় অনুরোধ জানান সুজন। তিনি জনগনের প্রাপ্য হক আদায়ে জনপ্রতিনিধিগণকেও সোচ্চার হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান।

নাগরিক উদ্যোগের অন্যতম উপদেষ্টা হাজী মোঃ ইলিয়াছ এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এস.এম.আবু তাহের, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন, নগর যুবলীগ যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল হক সুমন, নগর সৈনিক লীগ আহবায়ক শফিউল আজম বাহার, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, ডা. অঞ্জন দাশ, হাফেজ মোঃ ওকার উদ্দিন, এজাহারুল হক, শেখ মামুনুর রশীদ, এ.এস.এম জাহিদ হোসেন, অনির্বাণ দাশ বাবু, সোলেমান সুমন, হারুন উর রশীদ, মোঃ জাহাঙ্গীর, মোঃ আলমগীর, সাইফুল্লাহ আনছারী, রকিবুল আলম সাজ্জী, আশিকুননবী চৌধুরী, মহানগর নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরী, মিনহাজুল আবেদীন সানী, ওমর ফারুক, শফিকুল আলম পারভেজ, ফয়সাল অভি, আরাফাত রুবেল, মোঃ ওয়াসিম, মোঃ বেলাল, হাসান হাবিব সেতু, মোঃ কাইয়ুম, সৈয়দ তৌহিদ, ফরহাদ সায়েম, শহীদুল আলম, রাকিবুল ইসলাম, মীর মোঃ ইমতিয়াজ, ফয়সাল সাব্বির, সৈয়দ ইবনে জামান ডায়মন্ড, আব্দুল্লাহ আল নোমান সাইফ, মোঃ আলী মিঠু, আরমান সাজিদ, আব্দুল হাবিব বাপ্পী, মিজানুর রহমান প্রমূখ।

Feb2

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ও টি২০ থেকে আগেই অবসর নেওয়ায় শুধু ওয়ানডে খেলতেন ৩৯ বছর বয়সী এ ব্যাটার। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ঘোষণায় ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বললেন তিনি। তাঁর ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হলো- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে।’

আগের দিন মঙ্গলবার জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি এ দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মার্চ মাস থেকে চুক্তিতে না রাখার অনুরোধ করেছেন মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলায় এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাবেন তিনি। ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম মার্চ থেকে অবনমিত হবেন ‘বি’ ক্যাটেগরিতে। মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা না দিলেও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ হতে পারে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছেন না।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার আগে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজাও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। মাশরাফি আনুষ্ঠানিক বিদায় না বললেও তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশফিক।

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।