খুঁজুন
শনিবার, ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমিরাতে ভাষা শহীদদের স্মরণে রক্তদান

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৫২ অপরাহ্ণ
আমিরাতে ভাষা শহীদদের স্মরণে রক্তদান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবীতে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২১শে ফেব্রুয়ারী পালন করেছে ফেসবুক ভি‌ত্তিক গ্রুপ এসএসসি ২০০২ এবং এইচএসসি ২০০৪ বাংলাদেশ। প্রায় ৪০,০০০ হাজার সদস্যের গ্রুপটি দেশে বিদেশে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এই ব্যাচ এরই মধ্যে গড়ে তুলেছে ০২-০৪ ব্লাড ব্যাংক, যার কার্যক্রম চলছে দেশের প্রায় সকল জেলায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত উক্ত গ্রুপের উদ্যমী বন্ধুরা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে, বরাবরের মতো এবারও উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, একুশের চিত্রাংকন, গান ও কবিতা আবৃত্তির প্রতিযোগীতা।

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাস সংলগ্ন বাংলাদেশ সমিতির কার্যালয়ে।

নূর জাহেদের সভাপতিত্বে ও মোস্তাফিজ রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ০২ ও ০৪ বাংলাদেশের কার্যক্রম ও লক্ষ্য উদ্দেশ্য তুলে ধরেন ইয়াসিন আরাফাত সোহাগ।

ব্যাতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ডাক্তার আজুজা,মোহাম্মদ হাজ্ ইউনুস, দিদার আলম তালুকদার প্রমুখ।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার দায়িত্বে ছিলেন মুনিরা,নজরুল ও হাসান নূর এবং গান, কবিতা আর আবৃত্তির বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন তৌফিক, মুনির ও শাখাওয়াত।

বিশেষ করে রক্তদান কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে । এ যেন রক্তের দামে অর্জিত বাংলা ভাষার শহিদের প্রতি সম্মান জানাতে মানুষের জন্য রক্ত দানের এক অনন্য অনুভূতি। গ্রুপের সদস্য ছাড়াও অনেকেই এই আয়োজনে সাড়া দিয়ে রক্ত দিয়েছেন। আবুধাবি ব্লাড ব্যাংক টিম এবি পজেটিভ এবং বি পজেটিভ ব্লাড সংগ্রহ না করলেও সর্বমোট ৪২ জন রক্তদান করেন।

কবিতা আবৃতি ও একুশের চিত্রাংকনের মাধ্যমে মাতৃভাষার জন্য বাঙালিদের সেই মহান আত্মত্যাগ আর অশ্রুভেজা সে বীরত্বগাথা হৃদয়ে ধারণ করে শিশুদের তুলিতে ফুটে উঠে মহান ভাষা আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি। কবিতা, গান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ৫৬ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে । তার মধ্যে চিত্রাঙ্কনে ৬ জন, গানে ৩ জন ও কবিতায় ৩ জনকে পুরস্কিত করা হয় এবং অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানটির আয়োজনে মেডিকেল পার্টনার ছিলো আবুধাবী ব্লাড ব্যাংক ও সহযোগিতায় ছিল মেডিক্লিনিক মিডল ইস্ট। যদিও এই দিনটি ছিল আমাদের বেদনার অশ্রূসিক্ত, আবার এই দিনটি আমাদের গৌরবের আনন্দের, আর এই উৎসব মুখর চিত্রটি ফুটে উঠেছিল পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে বাংলাভাষী শিশু কিশোর সহ সকলের স্বতঃস্পুর্ত অংশগ্রহণে, এযেন মরুর বুকে একটুকরো বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানের সুন্দর বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতায় ০২ ও ০৪ গ্রুপের বন্ধুদের মধ্যে যারা অক্লান্ত শ্রম দিয়েছে তারা হলো, ওমর ফারুক, মোঃ ইলিয়াস, মোঃ মনির, শাহেদ চৌধুরী, দিল মোহাম্মদ মামুন, হেলাল উদ্দিন ও রানা। এছাড়াও ০২ ও ০৪ গ্রুপের সকল বন্ধুদের পারষ্পরিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সুন্দর ও সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।

আর্থিক সহযোগিতায় গ্রুপের পাশে ছিলেন সংযুক্ত আরব-আমিরাতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ সাইফুল ইসলাম।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তা জানিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই বিমানে কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন।

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।