খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চসিক নির্বাচনে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ
চসিক নির্বাচনে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দলটি।

কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পেলেন যারা :
১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড: সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি

২নং ওয়ার্ড জালালাবাদ: মো. ইয়াকুব, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি।

৩নং ওয়ার্ড পাঁচলাইশ : মো. ইলিয়াছ, সভাপতি, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপি।

৪নং ওয়ার্ড চান্দগাঁও: মাহাবুবল আলম, সহ-সভাপতি, মহানগর বিএনপি

৫নং ওয়ার্ড মোহরা : মো. আজম, সভাপতি চান্দগাঁও থানা বিএনপি।

৬নং ওয়ার্ড পূর্ব ষোলশহর: মো. হাসান লিটন, সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড বিএনপি

৭নং ওয়ার্ড পশ্চিম ষোলশহর : মো. ইসকান্দর মির্জা, যুগ্ম সম্পাদক, মহানগর বিএনপি

৮নং ওয়ার্ড শুলকবহর: হাসান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড বিএনপি

৯নং ওয়ার্ড উত্তর পাহাড়তলী: আব্দুস সাত্তার সেলিম, সভাপতি, আকবরশাহ থানা বিএনপি

১০ নং ওয়ার্ড উত্তর কাট্টলী : মো. রফিক উদ্দীন চৌধুরী, সভাপতি, ওয়ার্ড বিএনপি

১১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ কাট্টলী: মো. সোহরাব হোসেন চৌধুরী, সাবেক সভাপতি, ওয়ার্ড ছাত্রদল

১২ নং ওয়ার্ড সরাইপাড়া: সামশুল আলম, সহ-সভাপতি, মহানগর বিএনপি

১৩ নং ওয়ার্ড পাহাড়তলী: জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সম্পাদক, মহানগর বিএনপি

১৪ নং ওয়ার্ড লালখান বাজার: আবদুল হালিম (শাহ আলম), যুগ্ম সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি

১৫ নং ওয়ার্ড বাগমনিরাম: চৌধুরী সাইফুদ্দিন রাশেদ চৌধুরী, সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি

১৬ নং ওয়ার্ড চকবাজার: এ.কে.এম সালাউদ্দিন কাউসার লাবু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি

১৭ নং ওয়ার্ড পশ্চিম বাকলিয়া: একেএম আরিফুল ইসলাম, সদস্য, ওয়ার্ড বিএনপি

১৮ নং ওয়ার্ড পূর্ব বাকলিয়া: আলহাজ্ব মো. মহিউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড বিএনপি

১৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বাকলিয়া: ইয়াছিন চৌধুরী আছু, সহ-সাধারণ সম্পাদক, মহানগর বিএনপি

২০ নং ওয়ার্ড দেওয়ান বাজার: হাফিজুল ইসলাম মজুমদার মিলন, সহ-সভাপতি, ওয়ার্ড বিএনপি

২১ নং ওয়ার্ড জামালখান: আবু মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী, সাবেক পরিবার সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি

২২ নং এনায়েত বাজার: এম এ মালেক, সদস্য, মহানগর বিএনপি

২৩ নং উত্তর পাঠানটুলী: মোহাম্মদ মহসীন, আহবায়ক, ওয়ার্ড বিএনপি

২৪ নং ওয়ার্ড উত্তর আগ্রাবাদ: এস এম ফরিদুল আলম, আহবায়ক, ওয়ার্ড বিএনপি

২৫ নং ওয়ার্ড রামপুর: শহীদ মোহাম্মদ চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি

২৬ নং ওয়ার্ড উত্তর হালিশহর: মোহাম্মদ আবুল হাশেম, যুগ্ম সম্পাদক, মহানগর বিএনপি।

২৭ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ আগ্রাবাদ: মোহাম্মদ সেফায়াত, সভাপতি, ডবলমুরিং থানা বিএনপি

২৮ নং ওয়ার্ড পাঠানটুলী : এস এম জামাল উদ্দীন জসিম, সভাপতি, ওয়ার্ড বিএনপি

২৯ নং ওয়ার্ড পশ্চিম মাদারবাড়ি: মো. সালাহ উদ্দিন, সভাপতি, সদরঘাট থানা বিএনপি

৩০ নং ওয়ার্ড পূর্ব মাদারবাড়ি: হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, সদরঘাট থানা বিএনপি

৩১ নং ওয়ার্ড আলকরন: দিদারুর রহমান লাভু, সভাপতি, ওয়ার্ড বিএনপি

৩২ নং ওয়ার্ড আন্দরকিল্লা: সৈয়দ আবুল বসর, সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড বিএনপি

৩৩নং ওয়ার্ড ফিরিঙ্গী বাজার : আকতার খাঁন, সভাপতি, ওয়ার্ড বিএনপিৎ

৩৪ নং পাথরঘাটা: ইসমাইল বালি, আহবায়ক, ওয়ার্ড বিএনপি

৩৫ নং ওয়ার্ড বক্সিরহাট:এড তারিক আহমদ, উপদেষ্টা, মহানগর বিএনপি

৩৬ নং ওয়ার্ড গোসাইলডাঙ্গা: মো. হারুন (ডক) সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, বন্দর থানা বিএনপি

৩৭ নং ওয়ার্ড উত্তর মধ্যম হালিশহর: মো. ওসমান, সাংগঠনিক সম্পাদক, বন্দর থানা বিএনপি

৩৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর: হানিফ সওদাগর, সভাপতি, বন্দর থানা বিএনপি

৩৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ হালিশহর: সরফরাজ কাদের, সভাপতি, বন্দর থানা বিএনপি

৪০ নং ওয়ার্ড উত্তর পতেঙ্গা: মো. হারুন, সভাপতি, ওয়ার্ড বিএনপি

৪১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পতেঙ্গা মো: নুরুল আফছার (সভাপতি, পতেঙ্গা থানা বিএনপি)।

সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মনোনীত যারা

১,২,৩ ওয়ার্ড রোকসানা বেগম (সহ প্রচার সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দল)।

৪,৫,৬ ওয়ার্ড শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু (সভাপতি, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা শ্রমিকদল)।

৭,৮ ওয়ার্ড জিন্নাতুন নেছা জিনু (সাধারণ সম্পাদক, পাঁচলাইশ থানা মহিলা দল)।

৯,১০,১৩ ওয়ার্ড সকিনা বেগম (সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দল)।

১৪,১৫,২১ মনোয়ারা বেগম মনি (সভানেত্রী, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দল)।

১৭,১৮,১৯ মাহমুদা সুলতানা ঝর্ণা (সভাপতি, ১৭ ওয়ার্ড মহিলা দল)।

১৬, ২০, ৩২ এডভোকেট পারভীন আক্তার চৌধুরী (সমাজ কল্যান সম্পাদক, নগর বিএনপি)।

২২,৩০,৩১ আরজুন নাহার মান্না (যুগ্ম সম্পাদক, নগর মহিলা দল)।

১২,২৩,২৪ খালেদা বোরহান (সহ-সভাপতি, নগর মহিলা দল)।

১১,২৫,২৬ জেসমিনা খানম (সহ-সভাপতি, নগর মহিলা দল)।

২৮,২৯,৩৬ কামরুন নাহার লিজা (সাংগঠনিক সম্পাদক, নগর মহিলা দল)।

২৭,৩৭,৩৮ সাহিদা খানম (সহ-সভাপতি, নগর মহিলা দল)।

৩৩,৩৪,৩৫ মনোয়ারা বেগম (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, নগর মহিলা দল)।

৩৯,৪০,৪১ জাহিদা হোসেন (মহিলা দলনেত্রী)।

 

Feb2

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।