খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চসিকের ‘একুশে পদক’ পেলেন সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৬:৫০ অপরাহ্ণ
চসিকের ‘একুশে পদক’ পেলেন সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার

২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক ও সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী পেলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিকে) একুশে পদক-২০২০। চসিকের বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত এবারের বইমেলায় সাংগঠনিক ক্যাটাগরিতে ‘মুজিব বর্ষ একুশে পদক’ পেলেন তিনি। পদক তুলে দেন সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিন।

সবচেয়ে কমবয়সেই তিনি পেলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের(চসিকে) এই পদক । এবার একুশে পদক পেলেন ১১জন, সাহিত্য পদক পেলেন ৪ জন। শুধু এবার নয়, এযাবতকালে চসিকের যতবার একুশে ও স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়েছে, তন্মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে প্রাপ্তির স্বীকৃতি জুটল রিয়াজের ।

বিষয়টিকে চট্টগ্রামের তরুণ সংগঠকরা বেশ ইতিবাচকভাবে দেখছেন । সংগঠক ও তরুণদের মধ্যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে। পারিবারিক পর্যায় থেকেই আওয়ামী ঘরানার এই সংগঠক চট্টগ্রামে প্রগতিশীল বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দের কাছেও নানা ভাবে গ্রহনযোগ্য। নেতৃত্বে ও পেশায় সফলতার সিঁড়িতে পা রাখা এই সংগঠক একই সাথে তিনটি সংগঠনের শীর্ষ নেতা ।

কর্মক্ষেত্রেও একাধারে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সফল । রাজনীতি, অর্থনীতি, অপরাধ ও সংস্কৃতি নিয়েই লেখালেখির কারনেও পাঠকপ্রিয় নাম রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। টেলিভিশনের টকশো সঞ্চালনা করেও তৈরি করেছেন নিজস্ব বলয়।

রাজনীতি-সংস্কৃতির মাঠে সক্রিয় প্রতিবাদি এই সংগঠক শিক্ষক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর সংগ্রামে ব্যাপক সম্পৃক্ত। জীবনের পদাঘাত তাকে করেছে সমকালীন অন্য অনেকের চেয়ে আলাদা, সফল এবং আত্মপ্রত্যয়ী।

বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচিত সহ-সভাপতি ছাড়াও চট্টগ্রামের নাগরিক উদ্যোগের তিনি আহবায়ক। এছাড়া প্রগতিশীল পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সমন্বিত মোর্চা ‘পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদে’র সাধারণ সম্পাদকও এই সাংবাদিক নেতা। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য তিনি। বাংলাদেশের সবচে বেশি প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ।

দায়িত্বশীল সাংগঠনিক ঘনিষ্ঠরা জানান, শুধু এবারের একুশে পদক প্রাপ্তিই নয়, সব সাংগঠনিক অর্জনই সবচেয়ে কম বয়সেই করেছেন তিনি।‌ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে এই পেশাজীবী সংগঠক বারেবারে ঝুঁকি নিয়েছেন, হামলারও শিকার হয়েছেন।

প্রায় তিন দশক ধরেই টানা সাংগঠনিক চর্চায় যুক্ত রিয়াজ। ২০বছর ধরেই নির্বাচন করেছেন সাংবাদিকদের অঙ্গনে। সাংবাদিকদের মধ্যে একমাত্র রিয়াজই গত ১৮বছর ধরে প্রগতিশীল পেশাজীবী মোর্চার নেতৃত্বে রয়েছেন। এই সংগঠক চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সবচেয়ে কম বয়সেই দফায় দফায় সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত সভাপতি (২০১৬-২০১৮), দু’দফায় সাধারণ সম্পাদক (২০০৬-২০০৮, ২০১২-২০১৪) ও দু’দফায় সাংগঠনিক সম্পাদক (২০০২-২০০৩, ২০০৩-২০০৪) ।

ওয়ান-ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে তাঁর মুক্তি দাবি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদ , ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলন-গণজাগরণ ও বিএনপি-জামায়াত শিবিরের হরতাল অবরোধ নৈরাজ্য, পেট্রোল -বোমা জ্বালাও-পোড়াও আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও জাতীয় নানা ইস্যুতে বরাবরই মাঠে থেকেছেন এই পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক।

বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশের কোথাও যখন জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো হতো না তখনই সাহসী কাজটা করেন সাংবাদিক নেতা ও পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। শুধু তাই নয়, জাতির একটি ক্রান্তিকালে বঙ্গবন্ধুকন্যার নামে তিনি উদ্ভাবন করেন এক নতুন স্লোগানও।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে যখন দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দু’ভাগে বিভক্ত তখন ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় পেশাজীবী সম্মেলনে চট্টগ্রাম থেকে অংশ নেয়া পেশাজীবী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বদানকারী রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’র সাথে ‘জয় শেখ হাসিনা’ যুক্ত করে একটি নতুন শ্লোগানের উদ্ভাবন করেন ।

সেসময়ে দেশের এক পক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে, অন্যপক্ষ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে অনড়। বহির্বিশ্বের চোখ ছিল এদেশের নাগরিক পেশাজীবী শক্তির দিকেও। এমনি সময়ে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় পেশাজীবী সম্মেলন ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

ঠিক এমন অবস্থায় জাতীয় পেশাজীবী সম্মেলনটিতে রিয়াজ প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও সারা দেশের পেশাজীবী নেতাদের সামনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেন। শুধু তাই নয় সরকারের সে সময় চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া ও দেশের কালিমামুক্ত করার মতো যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখায় পেশাজীবীদের পক্ষে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে কৃতজ্ঞতাও জানান ।

চট্টগ্রামের তিনিই প্রথম সাংবাদিক নেতা, যিনি বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজের জন্য অসামান্য অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর কার্যালয়ে গিয়ে কৃতজ্ঞতা ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

২০১৮ এর একাদশ জাতীয় সংসদ জাতীয় নির্বাচনের আগে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান উপলক্ষে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা; নৌকা পারে, নৌকাই পারবে’ শীর্ষক প্রচারপত্রটিও রচনা করেন তিনি।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় নাগরিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক রিয়াজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে ২০০৫ , ২০১০ সালে সক্রিয় ছিলেন।

২০১৫ সালে সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দীনের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটিরও আহ্বায়ক ছিলেন। নির্বাচনটিতে চট্টল মেয়রের যেন ছায়াসঙ্গীই ছিলেন।

২০১৮ এর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম সদর আসনে পেশাজীবী-নাগরিক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের এই মনোনয়ন প্রত্যাশীর মনোনয়ন না মিললেও সেই আসনে মনোনয়ন পাওয়া জননেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র ব্যারিস্টার চৌধুরী মহিবুল হাসান নওফেল সহ চট্টগ্রাম শহর ও শহরযুক্ত ৬টি আসনের প্রার্থীদের জন্য প্রচারণায় তিনি ‘পেশাজীবী-নাগরিক স্কোয়ার্ড’ গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নৌকা প্রতিকের প্রার্থীদের পক্ষে টানা প্রায় সপ্তাহব্যাপী প্রচারণা শেষে চট্টগ্রাম শহীদ মিনার চত্বরে মহাসমাবেশ করেন।

তৃণমূল থেকে উঠে আসা এ সংগঠক ২০০১এর জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এলে চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি মানিকছড়ি বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাঠে ছিলেন। এছাড়াও রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা-অগ্নিসংযোগ, পাথরকাটা, ফতেয়াবাদস্থ বিভিন্ন স্থানে সনাতনী সম্প্রদায়ের উপর হামলা-নির্যাতনের উপর হামলা নির্যাতনের প্রতিবাদ আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।

প্রায় ৬০ বছরের পুরনো সংগঠন সিইউজে’র ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হন। অংশ নেন দুশতাধিক দেশের প্রতিনিধিত্বে ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ন্যাম সম্মেলনে(২০১২)।

সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রশিক্ষক হিসেবেও সমাদৃত এই সাংবাদিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, মালয়েশিয়ার ট্যুরিজম বোর্ডসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সনদ স্বীকৃতি লাভ করেন। একাধিক গ্রন্থ প্রণেতা এই সাংবাদিক ইউরোপ ও এশিয়ার দেশ ঘুরে রাজনীতি-পর্যটন নিয়েও দারুণ লিখেছেন। তাঁর ‘ইউরোপের পথে পথে’ শীর্ষক প্রতিবেদন দেশের সবচে বেশি প্রচারিত কাগজ ‘বাংলাদেশ প্রতিদিনে’ ধারাবাহিক প্রকাশ হলে পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়।

তিনি দুইবার জাপান সফরসহ পেশাগত ও সাংগঠনিক সফর করেন জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ন্যাদারল্যান্ডস, ইরান, তুরস্ক, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া ও ভারতসহ ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্র। নেতৃত্ব, সাংবাদিকতা, গবেষণা, গদ্য পদ্যে যেন যুথবদ্ধ পথ চলেছেন রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

বর্ণাঢ্য পেশাগত জীবনের সিংহ ভাগ সময়েই তিনি একাধারে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কাজ করেন। কখনো পূর্বকোণে কাজ করলেও পাশাপাশি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক বাংলা স্যাটেলাইট টিভি এসটিভিইউএস,(STVus), একুশে টেলিভিশন কিংবা যমুনা টেলিভিশনে , আবার কখনো বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাজ করলেও যুক্ত হন স্যাটেলাইট টেলিভিশন নিউজ টুয়েন্টিফোরে(NEWS24)।

টেলিভিশনে চট্টগ্রাম থেকে ব্যাপক জনপ্রিয় এই মুখ রোজ সকালে চট্টগ্রামের সংবাদপত্রগুলোর সংবাদ বিশ্লেষণ লাইভের যাত্রা শুরু করেও গড়ে তুলেন নিজস্ব ভক্তবলয়। গণমাধ্যমে যেন নতুন পালক যুক্ত করে এ সংবাদ বিশ্লেষণ।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি, কমিউনিটি পুলিশিং চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রিয়াজ । চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)’র নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিষয়ক নাগরিক পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং চসিকের উদ্যোগে চট্টগ্রামের প্রথম সর্বজনীন অমর একুশে বইমেলা ২০১৯, মুজিববর্ষ চট্টগ্রাম অমর একুশে বইমেলা ২০২০ এর উপদেষ্টা, চট্টগ্রামের সর্বজনীন মুজিব জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম কলেজ প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি।

সংবাদত্রসেবী ঐক্য পরিষদের সচিব (২০০৬-২০০৮)ছিলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি, মা- শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের স্থায়ী সদস্য, জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন চাঁদের হাট, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, পূর্বাশার আলো, পরিবর্তন উপদেষ্টা সহ শতাধিক সংগঠনে নানাভাবে যুক্ত ।

বিশেষ প্রতিনিধি ও ব্যুরো প্রধান হিসেবে এক দশক ধরে কাজ করছেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে। সিনিয়র রিপোর্টার ছিলেন চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণে। এতে কাজ করেন প্রায় এক যুগ। দৈনিক রূপালী, দৈনিক খবর ও দৈনিক বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয়েও কাজ করেন । দৈনিক সংবাদ, দৈনিক প্রথম আলো , আজকের কাগজ , দৈনিক আজাদী, দৈনিক নয়াবাংলা,দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ, দৈনিক পূর্বদেশ, খবরের কাগজ, দেশচিন্তা সহ অসংখ্য কাগজে লেখা ছাপা হয় এই কবি সাংবাদিক ও গবেষকের।

১৯৯৫ সালেই তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় দেশ চেতনার কাগজ ‘বঙ্গজ’।কৈশোরে আবৃত্তি চর্চায় যুক্ত রিয়াজ বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র চালু হলে সেখানে একুশের প্রথম কবিতার প্রথম একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন। কেন্দ্রের প্রথম শ্রেণির তালিকাভুক্ত এই উপস্থাপক গ্রন্থনায়ও পারদর্শী। কেন্দ্রটি চালুর আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন রিয়াজ।

সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ আদায় ও বাস্তবায়ন ছাড়াও হকার্স এবং কম্পিউটার অপারেটরদের অধিকারের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

চট্টগ্রামের জ্ঞানজ্যোতি ভিক্ষু হত্যা ও অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা, শিক্ষাবিদ ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা, সাংবাদিক শামসুর রহমান কেবল, হুমায়ূন কবির বালু, সাগর-রুনি-শিমুল হত্যার প্রতিবাদ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। সিলেটে মৌলবাদিদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবাল অনশন-ধর্মঘটের ডাক দিলে সেখানেও ছুটে যান ।

যশোরে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আক্রান্ত হলে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছুটে যান সেখানেও। বিডিআর বিদ্রোহ’র নামে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের হত্যা করা হলে প্রতিবাদে মাঠে ছিলেন । এ নিয়ে লিখেছেনও প্রচুর। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু এবং চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টমস নিয়ে বিভিন্ন আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন।

এছাড়া একুশের প্রথম কবিতার জনক চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান ‘সীমান্ত’ সম্পাদক মাহবুব উল আলম চৌধুরীর প্রয়াণের খবর শুনে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছুটে যান তিনি। চট্টগ্রামের সংগঠক হিসেবে একমাত্র পূস্পার্ঘ্য দেন।

একইভাবে নাট্যগুরু সেলিম আল দীনের প্রয়াণেও ছুটে গিয়ে যেন বনপোড়া হরিণের মত আর্তনাদ করেন এই সংগঠক। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক লিখেনও।

এই অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক বহু রাজনৈতিক প্রতিবেদনের জন্য আলোচিত। শুধু রিপোর্টিং নয় প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও কাব্য প্রচেষ্টায়ও তিনি সমধিক পরিচিত।

১৯৯৪ সালে ঘাতক গোলাম আযমের লালদীঘি মাঠের জনসভা প্রতিরোধ প্রচেষ্টার পূর্বাপর সময়ে মুক্তিযোদ্ধা ছাত্রকমান্ডের এই সাহসী কর্মী শৈশব থেকেই বেড়ে উঠেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাশ্রিত পরিবেশে।

২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের পুলিশের বেধড়ক হামলার প্রতিবাদে ন্যায্য বিচার চেয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে পেশাজীবী সাংবাদিকদের সফল আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন । সেসময় ঘটনার জন্য তিন মন্ত্রণালয় বৈঠকে ডেকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তৎকালিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
২০০১ সাল।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াত জোট নেত্রী বেগম জিয়ার প্রতিশ্রুতির ব্যত্যয় তুলে ধরে রাজনৈতিক-সামাজিক ও গণমাধ্যম অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেন অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। বেগম জিয়া মহান জাতীয় সংসদে ৬ মাসের সন্ত্রাস বিরোধী কর্মসূচি ঘোষণা দেন সে বার। কিন্তু সেদিনই টপটেরর শিবির ক্যাডার নাছির কুমিল্লা কারাগার থেকে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে পুলিশি পাহারায় চকবাজারে গোপন বৈঠক করে সহযোগী সন্ত্রাসীদের সাথে। সরকারের এই স্ববিরোধীতা রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই সুনিপুণ অনুসন্ধানে সংবাদপত্রের পাতায় তুলে ধরেন একমাত্র রিয়াজই।

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আর প্রগতির ব্যানারে ছদ্মবেশে থাকা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর হামলা-মামলার টার্গেট এই সাংবাদিক পথ চলেন মৃত্যু হুমকি উপেক্ষা করে। হামলায় আক্রান্ত হয়ে দুই বার মরতে মরতে বেঁচেও যান। যুদ্ধাপরাধি কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবির মধ্য দিয়ে সৃষ্ট গণজাগরণে চট্টগ্রামের প্রধানতম এই সংগঠক হামলার শিকার হন।

অল্পের জন্যই প্রাণে বেঁচে যান। ২০১৮’র নভেম্বরে ফের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলে সে ঘটনাকে ঘিরে পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজ আন্দোলন গড়ে তোলেন। গোপন আততায়ীরা চট্টগ্রামের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. অনুপম সেন ও পেশাজীবী সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরীসহ পাঁচ বিশিষ্টজনকে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেও উড়ো চিঠি দেয়।

‘মহিউদ্দিনের আইয়ের’ : ওয়ান ইলেভেনের আগের কথা। ‘মহিউদ্দিনের আইয়ের’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদনে তীব্র আলোড়ন তোলেন তিনি। প্রতিবেদনটিতে সে সময়ের মেয়র জননেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তুমুল তুখোড় সাহসী অবস্থান তুলে ধরেন।-এমন অসংখ্য আলোচিত প্রতিবেদনের জনক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পেশাজীবী নেতা।

জীবনের বৈভব : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিয়াজের জন্ম ঢাকাই হলেও ব্যাংকার পিতার বদলী সুত্রে শৈশব থেকেই বসতি চট্টগ্রামে। অবশ্য উত্তর চট্টগ্রামের হালদা পাড়ের হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শা গ্রামের চৌধুরী বাড়িই পৈতৃক নিবাস। শহর ও গ্রামের জল হাওয়া, সমুদ্রের ঢেউ আর পাহাড়ের মৌনতা তাকে দিয়েছে জীবনের বৈভব।

কৈশোর থেকে লেখালেখির প্রবল নেশা তার। আর এই নেশা তাকে সহসা পেশাদারও করে তোলে। স্নাতককালীন সময়ে যুক্ত হন পেশাদার সাংবাদিকতায়, পরবর্তীতে স্নাতকোত্তর সময়ে গতি পায় নৈমিত্তিক চাকুরীজীবন, সমানে চলে বিদ্যার্জন ও লেখার নেশা।

ভাষার লড়াই-শেখের বেটি: ভাষা সংগ্রাম ও এতে বঙ্গবন্ধুর অবদানের পথ ধরে বাংলার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার অবদানকে এক মলাটে সংযুক্ত করে ২০১১ সালে কবি সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর প্রকাশিত প্রথম গবেষণাগ্রন্থ ‘ভাষার লড়াই’।

২০২০ এ প্রকাশিত তাঁর কাব্য গ্রন্থ ‘শেখের বেটি’ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলা ছাড়িয়ে বিশ্ব জয়ের অদম্য অগ্রযাত্রায় দেশের রাজনীতি, সমাজ মননের বদলে যাওয়া, অথচ শংকাময় জনগোষ্ঠীর হৃদয়ের উথালপাতাল ঢেউয়েরই সমাহার।

এতে বাঙালি মানসের আবেগ আশাবাদ ফুটে উঠেছে। তারুণ্যের দেশচেতনা, প্রেম, স্বপ্ন ও স্বপ্ন ভঙ্গের কাব্যিক শব্দসুর সংযুক্ত হয়েছে। রাজনীতি, প্রকৃতি ও প্রেমের এক অনন্য মিশেলের চেষ্টা করেছেন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার আলোচিত মুখ রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

কবি সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ‘শেখের বেটি’ গ্রন্থে শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে তুলে এনে পুরো বাংলাদেশ, তার ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ করেছেন কাব্য ছন্দে। রিয়াজ দেখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যার মুখে দুঃখিনী বর্ণমালার পোড়াচিহ্ন। লক্ষ স্বজন হারার আর্তনাদ। তিনি ভাবেন, শেখের বেটি শেখ হাসিনা মানেই শোষকের রক্ত চক্ষু ডিঙ্গিয়ে যাওয়া গণমুক্তির নাম।

শব্দ শ্রমিক : সব ছাপিয়ে শব্দ শ্রমিক হিসেবেই রিয়াজের এগিয়ে চলা। মঞ্চ মাঠে ময়দানে সক্রিয়তা আর সাংবাদিকতা- কার্যত শব্দেরই কাজ। কারো কারো দৃষ্টিতে হয়তো এমন সব্যসাচী অবস্থান বেঢপ। ঈর্ষার কারণও । তবুও প্রগতি পথের এই সারথির অগ্রযাত্রা রয়েছে অদম্য।

Feb2

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এ সময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া নিজের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মর্মে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিজের দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

জেএন/এমআর