খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি মেয়র প্রার্থী শাহাদাত আসছেন কাল : চট্টগ্রাম পুরাতন রেল স্টেশনে গণসংবর্ধনা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৮:৪৯ অপরাহ্ণ
বিএনপি মেয়র প্রার্থী শাহাদাত আসছেন কাল : চট্টগ্রাম পুরাতন রেল স্টেশনে গণসংবর্ধনা

২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চসিক নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ২৬ ফেব্রুয়ারী বুধবার বেলা ২ টায় ঢাকা থেকে রেল যোগে চট্টগ্রাম আসছেন।

তার আগমন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেয়া হবে। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপি, থানা, ওয়ার্ড ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর ও সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান। আরো খবর : চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত

আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে চসিক নির্বাচন বিষয়ে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় এ আহবান জানান নেতাকর্মীরা।

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। কোন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেই তারা মনে করছে নির্বাচিত হয়ে গেছেন।

আমরা বলতে চাই, এ ধরনের ভ্রান্ত ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এত ভোট ডাকাতি ও কারচুপির পরও বিএনপি প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসছে। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে ব্যালটের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, ভোট হচ্ছে জনগণের পবিত্র আমানত। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। ভোট ডাকাতদের প্রতিহত করে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। তাই চসিক নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি চট্টগ্রাম পুরাতন রেলষ্টেশন চত্ত্বরে মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের গণসংবর্ধনায় চট্টগ্রামবাসীকে যোগ দেয়ার আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও মনোনয়ন বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এই মনোনয়নকে চট্টগ্রামবাসী ও বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা স্বাগত জানিয়েছে।

বুধবার চট্টগ্রাম পুরাতন রেলষ্টেশন চত্ত্বরে আমরা তাকে বরণ করে নেব। তাই এই বরণ অনুষ্ঠানকে লোকে লোকারণ্য করে প্রমাণ করতে হবে চট্টগ্রামের মাটি বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়ার ঘাঁটি। তিনি সাহসিকতার সাথে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বিএনপি প্রার্থীদের বিজয় ছিনিয়ে আনার আহবান জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন’র পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সামশুল আলম, হাজী মোহাম্মদ আলী, নাজিমুর রহমান, মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবু ফয়েজ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গির আলম দুলাল,
মনজুর আলম মনজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ মোহাম্মদ আলী মিঠু, মাঈন উদ্দিন মোহাম্মদ শহিদ, মাহমুদ আলম পান্না, হামিদ হোসেন, ফাতেমা বাদশা, ইব্রাহিম বাচ্চু, হেলাল চৌধুরী, ইয়াকুব চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম শহিদ, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর মো. আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, জেলী চৌধুরী, মো. শাহজাহান, ইসমাইল বাবুল, আলমগীর নূর, আবুল খায়ের মেম্বার, আলী আজম, সালাহ উদ্দিন লাতু, জাসাস কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জাকির হোসেন, শরীফ উদ্দিন খান, নূর হোসেন, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, কাউন্সিলর জেসমিনা খানম, মহসিন আলী চৌধুরী, আইয়ুব খান, শাহেদা বেগম, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, জিয়াউর রহমান জিয়া, মামুনুর রশিদ শিপন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, মো. সেকান্দর, জমির আহমেদ, মো. বেলাল, মনজুর আলম মঞ্জু, মো. হারুন, ফারুক আহমেদ, আবদুল্লাহ আল ছগির, ইলিয়াছ চৌধুরী, আলা উদ্দিন আলী নূর, মো. রফিক চৌধুরী, রাসেল পারভেজ সুজন, খাজা আলাউদ্দিন, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানচৌধুরী, এম এ হালিম বাবলু, জাহিদ উল্লাহ রাশেদ, হাজী মো. ইমরান, জসিম মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, নূর হোসেন নুরু, ফিরোজ খান, মামুন আলম প্রমুখ।

Feb2

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।