খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাল শেষ টস করতে নামবেন মাশরাফি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০২০, ৭:০১ অপরাহ্ণ
কাল শেষ টস করতে নামবেন মাশরাফি

বাংলাদেশের কিংবদন্তী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে অনেকদিন ধরেই। তবে কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি জানিয়েছিলেন, অবসর না নিলেও দ্রুতই অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাবেন মাশরাফি।

বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণাই দিলেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফির নামের পাশে কালকের পর থেকেই বসে যাবে সাবেক অধিনায়ক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচটির আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমনটায় জানিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস,

‘অধিনায়ক হিসাবে কালকে আমার শেষ ম্যাচ। আজকে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাচ্ছি। আগামীকাল জিম্বাবুয়ের সাথে তৃতীয় ওয়ানডে আমার অধিনায়ক হিসাবে শেষ ম্যাচ।’
বাংলাদেশের পরবর্তী অধিনায়ককে শুভকামনা জানানোর পাশাপাশি সুযোগ পেলে তাকে সকল প্রকার সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন মাশরাফি, ‘সুযোগ আসলে খেলোয়াড় হিসাবে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। আমার শুভকামনা থাকবে পরবর্তী অধিনায়কের জন্য। আমার বিশ্বাস তারা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। এবং আমি দলে থাকলে আমিও চেষ্টা করব তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার।’

এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মাশরাফি, ‘আমার প্রতি এতদিন আস্থা রাখার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই আমার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলে যারা খেলেছে তাদের সবাইকে। আমি নিশ্চিত, এই প্রক্রিয়াটা এত সহজ ছিল না গত ৪-৫ বছরে। টিম ম্যানেজমেন্ট যারা ছিল যাদের অধীনে আমি খেলেছি, অধিনায়কত্ব করেছি, তারা সবাই আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। সিদ্ধান্তটা আমি নিজেই নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার অধিনায়কত্ব শেষবারের মতো শুরু হয় হাথুরাসিংহের অধীনে, তারপর খালেদ মাহমুদ সুজন, স্টিভ রোডস; এখন ডমিঙ্গো দিয়ে শেষ হচ্ছে। নির্বাচক এবং বোর্ডের কর্মকর্তা, বোর্ডের সকল স্টাফকে। আপনাদের মিডিয়া কর্মীদেরকেও ধন্যবাদ, আপনারাও সহযোগিতা করেছেন। সবশেষে সমর্থক, বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণ, আপনাদের সবার সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব হতো না।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৮৭টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। যারমধ্যে ৪৯টি ম্যাচে দলকে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। হিসাব করলে দেখা যায়, ওয়ানডে অধিনায়ক হিসাবে তার জয়ের হার ৫৭.৬৪, যা কিনা বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের পক্ষে তিনি খেলেছেন ২১৭টি ওয়ানডে ম্যাচ যেখানে জয়ে দেখেছেন মোট ৯৬ বার।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।