চট্টগ্রামকে সুন্দর স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে ভোট যুদ্ধে নেমেছি : ডা.শাহাদাত

চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বুধবার (১১ মার্চ) সকালে নগরীর বহদ্দার হাট হক মার্কেট চত্বরে পথ সভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।
এই দিন ডা: শাহাদাত হোসেন নগরীর ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বহদ্দারহাট হক মার্কেটের সামনে থেকে গণ সংযোগ শুরু করে খাজারোড,চৌধুরী স্কুল,ইলিয়াছ মেন্বারের বাড়ী,গোলাম আলী নাজির বাড়ী,সানোয়ারা আবাসিক,বরিশাল বাজার,সিএনবি মোড়,মৌলভী পুকুর পাড়,শরাপত উল্লাহ প্রেট্টল পাম্প ও পশ্চিম ষোলশহর ৭ নং ওয়ার্ডের মুরাদপুর মোড়,মির্জারপুল,মোহম্মদপুর,খতিবের হাট,নাজিরপাড়া,হামজারবাগ,আতুরার ডিপু,আমিন কলোনি,মোহাম্মন নগর,আনন্দবাজার,বার্মা কলোনি,আলি নগর ও হিল ভিউ এলাকায় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ করেন।
এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, গণতন্ত্র এখন ধ্বংসের পথে। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে দেশমাতার মুক্তির বার্তা নিয়ে আমি হাজির হয়েছি আপনাদের দুয়ারে ধানের শীষের ভোট চাইতে।
আমি চট্টগ্রামকে সুন্দর স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে ভোট যুদ্ধে নেমেছি। আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নেমেছি । ভোট যুদ্ধে জয়ী হয়ে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন,নগরীর বিভিন্ন জায়গায় খবর পাচ্ছি প্রশাসনের লোকজন আমাদের নেতাকর্মীদের উপর বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। ভোটের মাঠে সবাইকে সমান সুযোগ করে দিতে ইসির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের নেতা কর্মীদের কে ভোটের মাঠে হয়রানি করলে আমরা বসে থাকব না কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো।
তিনি বলেন,জনগণের সাংবিধানিক অধিকার শেষ হয়ে গেছে।ভোট ও রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকার দিনের ভোট রাতে নেওয়ার কারণে মানুষ কেন্দ্রমুখী হচ্ছে না।আসুন চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশের মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করি।
তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ,রাষ্ট্রযন্ত্র ও ইসিতে মিলে এখন একাকার হয়ে গেছে। নির্বাচনে ইসিকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় চট্টগ্রামবাসী সমুচিত জবাব দেবে।
তিনি বলেন,ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর অফিসার ত্রুটি দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে হবে যেন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বুথে গিয়ে ভোট দিতে না পারে।তিনি বলেন,ভোটের দিন ভোটাররা যেন ভয় ভীতি ছাড়া কেন্দ্রে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে ইসিকে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যেন ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিতে না পারে সেজন্য কেন্দ্রের বাইরে প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে।
ভোটের দিন পাঁচটার মধ্যে ভোটের ফলাফল দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যথায় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার এবং প্রশাসনকে দায়ী থাকতে হবে। চট্টগ্রামের মানুষ শান্তিপ্রিয়।কিন্তু প্রয়োজনে চট্টগ্রামবাসী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তত। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে সূচনা হয়েছে। সিটি নির্বাচনে কারচুপি হলে চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলনের সূচনা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহনের মাধ্যমে আমরা নেত্রীকে মুক্তির জন্য পথে নেমেছি।২৯ মার্চ বিজয়ী হয়ে এই আন্দোলনের সফলতা নিয়ে ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত। সন্ত্রাসী –মাস্তান নিয়ে ইভিএম মেশিন নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা হলে দাতা ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।তিনি নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ব হয়ে কেন্দ্র পাহারা দিতে প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানান।
নগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন,চট্টগ্রামের-৮আসনের উপ নির্বাচনে আমাকে যে ভাবে হারানো হয়েছে,আগামী ২৯ মার্চ সিটি নির্বাচনে আমরা তা আর হতে দেবনা।যারা ভোট চুরি করতে আসবে তাদের কে সাধারণ ভোটারদের নিয়ে প্রতিহত করা হবে।মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজ পথে আছি থাকবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিষ্টাতা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,উওর জেলা বিএনপি নেতা এম এ হালিম,চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি হাজী মো: আলী,৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রর্থী মাহাবুবুল আলম,যুগ্ম সম্পাদক ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রর্থী ইসকান্দর মির্জা ,আর ইউ চৌধুরী শাহিন,ইয়াছিন চৌধুরী লিটন,মন্জুর আলম মন্জু,আনোয়ার হোসেন লিপু,গাজী সিরাজ উল্লাহ,আইন সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,সহ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ,ইদ্রিসআলি, খোরশেদ আলম কুতুবী,আবু মুছা,আবদুল হাই,থানা সম্পাদক মনির আহম্মদ চৌধুরী,শরিফ উদ্দীন খান,মহিলা কাউন্সিলার প্রর্থী শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু,জিন্নাতুন নেছা জিনিয়া,বিএনপি নেতা জসিম উদ্দীন,আবুল মনছুর রোমেল, ইলিয়াছ চৌধুরী,মো:আসলাম,এড. এফ এ সেলিম,মাসুদুল কবির রানা, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি,কাসরুল ইসলাম,অঙ্গ সংগঠনের নেতা মোশারফ হোসেন,মোহাম্মদ আলী সাকি,জিয়াউর রহমান জিয়া,গুলজার হোসেন,এরশাদ হোসেন,সেলিম উদ্দীন রাসেল,শহিদুল ইসলাম শহিদ, আসাদুজ্জাম রুবেল,মাহাবুবুর রহমান,ফকরুল ইসলাম শাহিন ,মোহাম্মদ হাসান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন