খুঁজুন
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামকে সুন্দর স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে ভোট যুদ্ধে নেমেছি : ডা.শাহাদাত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১১ মার্চ, ২০২০, ৬:০০ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামকে সুন্দর স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে ভোট যুদ্ধে নেমেছি : ডা.শাহাদাত

চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

বুধবার (১১ মার্চ) সকালে নগরীর বহদ্দার হাট হক মার্কেট চত্বরে পথ সভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।

এই দিন ডা: শাহাদাত হোসেন নগরীর ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বহদ্দারহাট হক মার্কেটের সামনে থেকে গণ সংযোগ শুরু করে খাজারোড,চৌধুরী স্কুল,ইলিয়াছ মেন্বারের বাড়ী,গোলাম আলী নাজির বাড়ী,সানোয়ারা আবাসিক,বরিশাল বাজার,সিএনবি মোড়,মৌলভী পুকুর পাড়,শরাপত উল্লাহ প্রেট্টল পাম্প ও পশ্চিম ষোলশহর ৭ নং ওয়ার্ডের মুরাদপুর মোড়,মির্জারপুল,মোহম্মদপুর,খতিবের হাট,নাজিরপাড়া,হামজারবাগ,আতুরার ডিপু,আমিন কলোনি,মোহাম্মন নগর,আনন্দবাজার,বার্মা কলোনি,আলি নগর ও হিল ভিউ এলাকায় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ করেন।

এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, গণতন্ত্র এখন ধ্বংসের পথে। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে দেশমাতার মুক্তির বার্তা নিয়ে আমি হাজির হয়েছি আপনাদের দুয়ারে ধানের শীষের ভোট চাইতে।

আমি চট্টগ্রামকে সুন্দর স্মার্ট নগরীতে পরিণত করতে ভোট যুদ্ধে নেমেছি। আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নেমেছি । ভোট যুদ্ধে জয়ী হয়ে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব ইনশাল্লাহ।

গণসংযোগে ডা.শাহাদাত

তিনি বলেন,নগরীর বিভিন্ন জায়গায় খবর পাচ্ছি প্রশাসনের লোকজন আমাদের নেতাকর্মীদের উপর বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। ভোটের মাঠে সবাইকে সমান সুযোগ করে দিতে ইসির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের নেতা কর্মীদের কে ভোটের মাঠে হয়রানি করলে আমরা বসে থাকব না কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো।

তিনি বলেন,জনগণের সাংবিধানিক অধিকার শেষ হয়ে গেছে।ভোট ও রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকার দিনের ভোট রাতে নেওয়ার কারণে মানুষ কেন্দ্রমুখী হচ্ছে না।আসুন চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশের মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করি।

তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ,রাষ্ট্রযন্ত্র ও ইসিতে মিলে এখন একাকার হয়ে গেছে। নির্বাচনে ইসিকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় চট্টগ্রামবাসী সমুচিত জবাব দেবে।

তিনি বলেন,ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর অফিসার ত্রুটি দেখার জন্য দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে হবে যেন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বুথে গিয়ে ভোট দিতে না পারে।তিনি বলেন,ভোটের দিন ভোটাররা যেন ভয় ভীতি ছাড়া কেন্দ্রে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে ইসিকে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যেন ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিতে না পারে সেজন্য কেন্দ্রের বাইরে প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে।

ভোটের দিন পাঁচটার মধ্যে ভোটের ফলাফল দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যথায় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার এবং প্রশাসনকে দায়ী থাকতে হবে। চট্টগ্রামের মানুষ শান্তিপ্রিয়।কিন্তু প্রয়োজনে চট্টগ্রামবাসী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তত। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে সূচনা হয়েছে। সিটি নির্বাচনে কারচুপি হলে চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলনের সূচনা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহনের মাধ্যমে আমরা নেত্রীকে মুক্তির জন্য পথে নেমেছি।২৯ মার্চ বিজয়ী হয়ে এই আন্দোলনের সফলতা নিয়ে ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত। সন্ত্রাসী –মাস্তান নিয়ে ইভিএম মেশিন নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা হলে দাতা ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।তিনি নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ব হয়ে কেন্দ্র পাহারা দিতে প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানান।

নগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন,চট্টগ্রামের-৮আসনের উপ নির্বাচনে আমাকে যে ভাবে হারানো হয়েছে,আগামী ২৯ মার্চ সিটি নির্বাচনে আমরা তা আর হতে দেবনা।যারা ভোট চুরি করতে আসবে তাদের কে সাধারণ ভোটারদের নিয়ে প্রতিহত করা হবে।মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজ পথে আছি থাকবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিষ্টাতা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,উওর জেলা বিএনপি নেতা এম এ হালিম,চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি হাজী মো: আলী,৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রর্থী মাহাবুবুল আলম,যুগ্ম সম্পাদক ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার প্রর্থী ইসকান্দর মির্জা ,আর ইউ চৌধুরী শাহিন,ইয়াছিন চৌধুরী লিটন,মন্জুর আলম মন্জু,আনোয়ার হোসেন লিপু,গাজী সিরাজ উল্লাহ,আইন সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,সহ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ,ইদ্রিসআলি, খোরশেদ আলম কুতুবী,আবু মুছা,আবদুল হাই,থানা সম্পাদক মনির আহম্মদ চৌধুরী,শরিফ উদ্দীন খান,মহিলা কাউন্সিলার প্রর্থী শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু,জিন্নাতুন নেছা জিনিয়া,বিএনপি নেতা জসিম উদ্দীন,আবুল মনছুর রোমেল, ইলিয়াছ চৌধুরী,মো:আসলাম,এড. এফ এ সেলিম,মাসুদুল কবির রানা, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি,কাসরুল ইসলাম,অঙ্গ সংগঠনের নেতা মোশারফ হোসেন,মোহাম্মদ আলী সাকি,জিয়াউর রহমান জিয়া,গুলজার হোসেন,এরশাদ হোসেন,সেলিম উদ্দীন রাসেল,শহিদুল ইসলাম শহিদ, আসাদুজ্জাম রুবেল,মাহাবুবুর রহমান,ফকরুল ইসলাম শাহিন ,মোহাম্মদ হাসান প্রমুখ।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।