খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহাদাত নগরবাসীর ভোটের মর্যাদা নিশ্চিতভাবে রক্ষা করবেন:মীর নাছির

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০, ৮:৫২ অপরাহ্ণ
শাহাদাত নগরবাসীর ভোটের মর্যাদা নিশ্চিতভাবে রক্ষা করবেন:মীর নাছির

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ও মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজ সেবক ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করার জন্য সর্বস্তরের নগরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

মীর নাছির আজ শনিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে তাঁর নগরীর চট্টেশ্বরী রোডের বাস ভবন ডালিয়া কুঞ্জের সম্মুখস্থ মাঠে চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন এর ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থনে আয়োজিত এক উঠান-বৈঠক সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখছিলেন।

তিনি বলেন, আপনারা ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিন। তিনি আপনাদের ভোটের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিতভাবে রক্ষা করবেন।

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে একজন অতিশয় ভদ্রলোক, ন্যায় পরায়ন, ধর্মভীরু ও কর্মবীর আখ্যা দিয়ে সাবেক মেয়র মীর নাছির বলেন, স্মার্ট, আধুনিক ও হেলদি সিটি গড়ে তুলতে তাঁর মতো একজন উন্নত মন-মানসিকতা সম্পন্ন, রুচিশীল ব্যক্তিত্বকে মেয়রের আসনে বিজয়ী করা নগরবাসীর নৈতিক দায়িত্ব। সে লক্ষ্যে আগামী ২৯ মার্চ সকল বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে প্রতিটি ভোটারকে তাদের মূল্যবান রায় ধানের শীষ প্রতীকে প্রদানের জন্য তিনি আহবান জানায়।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার বিএনপি’র আহবায়ক ও মহানগর বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ও নগর বিএনপি সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক চাকসু এজিএস মাহাবুবুর রহমান শামীম, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক- আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, দক্ষিণ জেলার বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান।

মীর নাছির বলেন, ডাঃ শাহাদাত চিকিৎসার সেবার পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে নিজেকে ইতোমধ্যে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ক্ষমতা অধিষ্ঠিত না হয়েও স্বউদ্যোগে, স্বেচ্ছাশ্রমে নিজের অর্থায়নে নগরবাসীর সেবায় তিনি নিজেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিয়োজিত রেখেছেন। সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে তাঁর মতো একজন প্রখর মেধাসম্পন্ন কর্মবীর মানবমুখী মানুষের প্রয়োজন। তাই আসন্ন নির্বাচনে ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করতে পাড়ায়-মহল্লায় কেন্দ্র কমিটি গঠন করে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগের ব্যবস্থার করার জন্য মীর নাছির দলীয় নেতা কর্মীদের প্রতি দৃঢ়ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।

প্রধান বক্তা মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, চেয়ারের মোহে নয়, বরং আত্মার টান থেকে এই নগরবাসীর সেবা করতে আমি দৃঢ় অঙ্গিকারাবদ্ধ। আপনারা আমাকে ভোট দিন, আমি নিজেকে আপনাদের খাদেম হিসেবে গড়ে তুলবো। আমার কাজের হিসাব কড়ায় গন্ডায় নগরবাসীকে বুঝিয়ে দেবো। সকল দূর্নীতি-স্বজনপ্রীতি, লোভ-লালসার উর্দ্ধে ওঠে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহাবুবুর রহমান শামীম বলেন, বিএনপি সাধারণ জনগণের সংগঠন। ডাঃ শাহাদাত গণমানুষের জন্য দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁকে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করলে নগরবাসী উপকৃত হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষ ২৯ মার্চের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন। নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না করে জালজালিয়াতে আশ্রয় নিলে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, ডাঃ শাহাদাত হোসেন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তাঁর গায়ে কোন প্রকার কালীমার চিহ্ন নেই। একজন পরিশ্রমী কর্মবীর হিসেবে তাঁকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে তিনি চট্টগ্রামকে একটি নিরাপদ স্মার্ট ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।

নগর বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন ও মাহাবুব রানার পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দক্ষিণ জেলার বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, উত্তর জেলার বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, বিএনপি নেতা আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী, বদরুল খায়ের চৌধুরী, জিএম আইয়ুব খান, জহির আহমদ, ইছাক চৌধুরী আলীম, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এয়াকুব চৌধুরী, ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সালাহ উদ্দিন কায়সার লাভু, আবু মুছা, জসিম উদ্দিন মিন্টু, আব্দুল কাদের জসিম, ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ ইলিয়াছ, ১৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুদ্দীন মোঃ রাশেদ. ৩০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান, বিএনপি নেতা আকতার খান, মোঃ শফিকুল ইসলাম, তৌহিদুস সালাম নিশাত, জামাল আহমদ, শাহ আলম, শামছুল আলম, গাজী মোঃ ইউছুফ, চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ আবু, আবদুর রহিম, মঞ্জুর আলম, আবু আহমদ, আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফয়েজ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

Feb2

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।