খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাইরাল “হ্যালো রোহান”র হোতা চিকিৎসক আদনান রিমান্ডে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০, ৬:৫১ অপরাহ্ণ
ভাইরাল “হ্যালো রোহান”র হোতা চিকিৎসক আদনান রিমান্ডে

২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসে চট্টগ্রাম মেডিকেলে মৃত্যুর গুজব ছড়ানো ভাইরাল হওয়া অডিও “হ্যালো রোহান”র মূল হোতা চিকিৎসক ও যুবদল নেতা ইফতেখার মোহাম্মদ আদনানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গত ২১ মার্চ শনিবার সন্ধায় নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিকিৎসক আদনানকে গ্রেফতারের পর পুলিশ ২২ মার্চ রবিবার দুপুরে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। মহানগর হাকিম আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমানের আদালত শুনানি শেষে ইফতেখার মোহাম্মদ আদনানকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) নিয়ে গুজব ছড়ানোর অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পাঁচলাইশ থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চিকিৎসক ও যুবদল নেতা ইফতেখার মোহাম্মদ আদনানকে রবিবার দুপুরে আদালতে আনা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আরো খবর : হ্যালো রোহান শিরোনামে গুজব সৃষ্টির নায়ক চিকিৎসক আদনান গ্রেফতার

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, করোনা ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আতংককে পুঁজি করে জনমনে ভীতি তৈরি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে ডা. ইফতেখার আদনান করোনায় মৃত্যুর মিথ্যা তথ্য সম্বলিত একটি অডিও ক্লিপ তৈরি করেন।

পরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সেই অডিও ক্লিপ ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেন। অডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশ তদন্তে নামে।

অবশেষে গত ২১ মার্চ শনিবার বিকেলে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে চিকিৎসক আদনানের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। একই দিন মধ্যরাতে পাঁচলাইশ থানায় পুলিশ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই মামলায় চিকিৎসক ও যুবদল নেতা আদনানকে রবিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং পুলিশের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেইট মেয়র গলিতে চিকিৎসক আদনানের বসবাস। তিনি বিএনপির (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক। ইউএসটিসি থেকে এমবিবিএস পাশ করে আদনান আবুল খায়ের গ্রুপ ও মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৩৫ সেকেন্ডের একটি অডিও ভাইরাল হয়। যেখানে টেলিফোনে রোহান নামে একজনকে সতর্ক করা হচ্ছিল। ওই অডিওতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ থেকে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২৪ ঘন্টা/আর এস পি

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।