খুঁজুন
শনিবার, ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে দেশবাসীর বন্দর কেন্দ্রিক উৎকন্ঠা,সরজমিনে দেখতে গেলেন সুজন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০২০, ৬:৫১ অপরাহ্ণ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে দেশবাসীর বন্দর কেন্দ্রিক উৎকন্ঠা,সরজমিনে দেখতে গেলেন সুজন

সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ এবং প্রকৃতির অপার মহিমান্বিত কর্নফুলী নদীর পাড় ঘেষে সৃষ্ট চট্টগ্রাম বন্দর। বাংলাদেশের অর্থনীতির সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁস এই বন্দর। স্বাভাবিকভাবেই বৈশ্বিক মহামারী সৃষ্টিকারী এ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে উৎকন্ঠায় দেশের আপামর জনগন।

আর এই উৎকন্ঠায় করোনাভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে চট্টগ্রাম বন্দরের গৃহীত ব্যবস্থার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে আজ সোমবার (২২ মার্চ) চট্টগ্রাম বন্দরে গিয়ে হাজির হন বর্তমান সময়ে চট্টগ্রামের আলোচিত সামাজিক সংগঠন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য, প্রশাসন ও পরিকল্পনা মোঃ জাফর আলম।

পরে তার অফিস কক্ষে মতবিনিময় সভায় সুজন বলেন বাংলাদেশের বাণিজ্যের প্রধান প্রবেশদ্বার হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। এই বন্দরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার গাড়ী প্রবেশ করে। প্রতিটি গাড়ীর সাথে একজন চালক এবং একজন সহকারী থাকে। এছাড়া পণ্য ডেলিভারিসহ অন্যান্য কাজে বন্দরে আরো প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষের বন্দরে প্রবেশ। তাছাড়া জাহাজে করে বিদেশ থেকেও প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে নাবিক এবং ক্রু বন্দরে প্রবেশ করে থাকে। স্বাভাবিকভাবে এতো বিপুল সংখ্যক জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে সারাদেশের মানুষের মতো আমরাও উদ্বিগ্ন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্যাটাগরীর শ্রমিকরা প্রতিদিনই বন্দরের অপারেশনাল কাজে বিদেশী জাহাজে প্রবেশ করে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনৈতিকভাবে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্টান। এ বন্দরের কাছে চট্টগ্রামবাসীর অনেক চাওয়া পাওয়া রয়েছে। আমরা আশা করবো চট্টগ্রাম বন্দর একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্টান হিসেবে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বিশেষ করে বন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবহারকারী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকদের কাজে যোগদানের পূর্বে মাস্ক, তরল সাবান অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার এবং হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করানোর আহবান জানান তিনি।

এছাড়া বন্দরের সকল প্রবেশ পথে থার্মাল মিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করার জন্যও বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। এছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য নগরীর অন্যান্য হাসপাতালের পাশাপশি চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালিত হাসপাতালেও আইসুলেশন ব্যবস্থা রাখার জন্য অনুরোধ জানান সুজন।

তিনি বন্দর হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিকেল, আয়াদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পিপিই সরবরাহ করারও আহবান জানান।

প্রয়োজনবোধে বন্দর হাসপাতাল থেকে অন্যান্য হাসপাতালে পিপিই সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুতি রাখার অনুরোধ করেন। তাছাড়া বন্দরের আশেপাশে বিভিন্ন বস্তি এবং নিম্ন আয়ের লোকজনদের মাঝেও মাস্ক, তরল সাবান এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করার আহবান জানান। বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও প্রবেশ মুখ প্রতিনিয়ই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং নিয়মিত ব্লিচিং পাউডারও ছিটানোর অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, আমরা সবাই যদি মানবিক দিক বিবেচনায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করি তাহলে আমরা অবশ্যই এ দেশের মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারবো।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তা জানিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই বিমানে কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন।

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।