খুঁজুন
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবাসীদের প্রতি এনআরবি’র চেয়ারপারসন সেকিল চৌধুরীর চিঠি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০২০, ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ
প্রবাসীদের প্রতি এনআরবি’র চেয়ারপারসন সেকিল চৌধুরীর চিঠি

আরব আমিরাত প্রতিনিধি : করোনা পরিস্থিতিতে দুর্বিপাকে পড়া প্রায় সোয়া কোটি প্রবাসীর প্রতি সেন্টার ফর এনআরবি’র চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরী কিছু অনুরোধ, আহ্বান এবং আবদার করে একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন। যার সূচনাতে সবার প্রতি সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে অকল্পনীয় করোনা সঙ্কট ব্যাখ্যা করেন। বলেন, এটা নিশ্চিত যে আপনারা এক কঠিন সময় পার করছেন। গোটা জাতি, দেশ ও বিশ্ব আজ অভিন্ন অবস্থার মুখোমুখি।

বিদেশে আপনারা চরম মানসিক কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। কারো আপনজন দেশে, নিজে বিদেশে, এ এক অসহনীয় অবস্থা। বহু দেশে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আপনারা অনেকে আর্থিক কষ্টে রয়েছেন, দৈনন্দিন জীবন-যাপন কঠিন হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় প্রবাসী ও দেশের অর্থনীতির জন্য করণীয় কি এ নিয়ে আমরা গত ২দিন বিভিন্ন খাতের অভিজ্ঞ মানুষ ও প্রবাসীসহ শ’দুয়েক মানুষের সাথে এক টেলি-কনফারেন্সের আয়োজন করি যাতে অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সংসদ সদস্য, সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, চিকিৎসক ও সমাজসেবীরা যোগদান করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা দেশের প্রতি প্রবাসীদের অবদান স্মরণ করেন এবং বিপদের সময় তাদের পাশে থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। আলোচনায় প্রবাসী ও দেশের অর্থনীতি বিষয়ে উঠে আসা প্রস্তাবগুলি আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরার ব্যবস্থা নিয়েছি।

বিশ্ব পরিস্থিতি বিশেষ করে চীন, ইতালি, ইউরোপ, বৃটেন ও আমেরিকার অবস্থা ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জীবন বাঁচানোর জন্য কতিপয় অবশ্য পালনীয় বিষয় আপনাদের নজরে আনতে চাই যা আপনি, আপনার পরিবার, প্রতিবেশী ও দেশের কল্যাণে সহায়ক হবে।

১. আপনারা যারা ইতিমধ্যে দেশে এসে গেছেন তারা স্থানীয় প্রশাসনকে আপনাদের অবস্থান সম্পর্কে জানান, অন্যথায় বিপদকালীন সময়ে সহায়তা থেকে বঞ্চিত হবেন।

অবশ্যই ১৪ দিন পর্যন্ত অন্য সবার থেকে আলাদা থাকুন এবং রোগের লক্ষণ অনুভব করলে নির্ধারিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিজেকে পরীক্ষা করান। মনে রাখবেন দেশের সাধ্য ও সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং চিকিৎসা সরঞ্জামও সর্বত্র সহজলভ্য নয়। বিশ্বব্যাপী বহু উন্নত দেশও এ চিকিৎসা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।

২. যারা বিদেশে অবস্থান করছেন তারা সেখানেই নিরাপদে থাকুন, এই মুহুর্তে দেশে আসা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাংলাদেশের মত দেশে খুবই কঠিন। তাছাড়া আপনাদের কেউ আক্রান্ত থাকলে আপনাদের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হবেন এবং ক্রমে এ রোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।
৩. প্রবাসে কর্মস্থলে নিরাপদে থাকার চেষ্টা করুন এবং একে অন্যকে সাধ্যমত সহযোগিতা করুন। আর্থিক ও দৈনন্দিন জীবন যাপনে পরষ্পর নিরাপদ বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করুন। অবস্থানকারী দেশের আইন ও ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলুন।

৪. জরুরী প্রয়োজনে মিশনের সাথে নিরাপদ মাধ্যমে যোগাযোগ রাখুন। মনে রাখবেন বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মকর্তাসহ কেউই স্বাস্থ্য ঝুঁকির বাইরে নয়।

৫. বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মক্ষেত্রে সমস্যা হলে আবশ্যই মিশনের সাথে যোগাযোগ করুন এবং জরুরি প্রয়োজনে দেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন।

৬. প্রবাসী সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে বিশেষ অনুরোধ, সর্তকতার সাথে যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য পরিবেশন করে প্রবাসী ও দেশবাসীকে সহায়তা করুন। রোগ-প্রতিরোধে জনমত গঠন করুন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আপনাদের অবদান খুবই মূল্যবান। সরকার ও রাষ্ট্রের দোষ-গুণ বিচারের সময় এটি নয়। জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনে সকলকে একসাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। সরকার বা প্রতিষ্ঠানের ঘাটতি ও দুর্বলতাগুলো সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নজরে আনুন। প্রবাস থেকে যারা বিভিন্ন মাধ্যমে খবর প্রচার করছেন তাদেরকে অনুরোধ করছি, খেয়াল রাখবেন যাতে জনমনে অহেতুক ভীতি সৃষ্টি না হয়।

৭. প্রবাসী বন্ধুরা, বর্তমান পরিস্থিতিতে এবং পরবর্তী সময়ে আপনাদের জন্য কি কি আর্থিক ও কর্মসহায়ক পরিকল্পনা নেয়া যায় তা নিয়ে আমরা আমাদের সীমিত কার্যক্ষমতা ও পরিধির মধ্যে থেকে সরকারের সাথে ও বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ রাখছি যাতে কার্যকর একটি পন্থা বের করা যায়। এ ব্যাপারে আপনারাও আপনাদের সুচিন্তিত মতামত ই-মেইলের মাধ্যমে প্রদান করে এ কাজে সহায়তা করতে পারেন। দেশের সম্পদ, সক্ষমতা, বাস্তবায়ন কাঠামো ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে আমরা একটি পন্থা বের করতে চাই যাতে প্রবাসীরা এবং সর্বোপরি আমাদের দেশ উপকৃত হয় এবং নিরাপদ থাকে।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।