খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেএসআরএম’র সহায়তা : ৩ হাজার পরিবারে ক্রাণ বিতরণ শুরু করেছে সিএমপি’র দক্ষিণ জোন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ মার্চ, ২০২০, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
কেএসআরএম’র সহায়তা : ৩ হাজার পরিবারে ক্রাণ বিতরণ শুরু করেছে সিএমপি’র দক্ষিণ জোন

২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : দেশের শীর্ষ স্থানীয় লোহার রড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম’র সহায়তায় নগরীর ৩ হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ জোন।

প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, দেড় কেজি পেয়াজ-রসুন, আধা কেজি লবন, ১ লিটার তেল ও ১টি সাবানসহ সর্বমোট ১৯ কেজি খাদ্য সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।

আজ সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুর ১২টায় নগরীর লাভলেইনস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান।

এসময় তিনি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে সরকার নির্ধারিত কর্মসূচি সবাইকে মেনে চলতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার যে কয়দিন সাধারণ ছুটি ঘোষনা সবাইকে ঘরে অবস্থান করতে বলেছেন তা মেনে চললে সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে আমরা রক্ষা পাবো।

তিনি শিল্পগ্রুপ কেএসআরএম’র প্রশংসা করে সমাজের অন্যান্য যারা বিত্তশালী আছেন তাদেরকে গরীব, অসহায়, কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

সিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা চাইলে সবাইকে ডেকে একসাথে ত্রাণ সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দিতে পারতাম। কিন্তু নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি বিবেচনায় আমাদের ফোর্স কষ্ট করে আপনাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। আপনারা ঘরে থাকুন। নিরাপদ থাকুন, দেশকে নিরাপদ রাখুন।কেএসআরএম ৩ হাজার পরিবারে সহায়তা

সিএমপিতে চালু করা ভ্রাম্যমাণ বাজার নিয়ে তিনি বলেন, আমরা ২৪ ঘন্টা হটলাইন সেবা চালু রেখেছি। প্রতিটি থানায় একটি করে হটলাইন আছে। তাছাড়া নগর পুলিশের একটি হটলাইন আছে, যার নাম্বার ০১৪০৪০০৪০০। আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন হটলাইনে ফোন পেয়ে আমাদের থানার ওসির গাড়ি গিয়ে রোগীকে হাসপাতাল পৌঁছে দিয়েছে।

যার যেখানে যা প্রয়োজন আমাদের বলুন। তবুও ঘরে অবস্থান করুন। করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা কর্মহীন ৩ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, কেএসআরএম সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর সাতকানিয়া কর্মহীন ২ হাজার ৩শ পরিবারের কাছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারকে ১ হাজার টাকা করে প্রেরণ করেছে। এর আগে ঘরে ঘরে গিয়ে কেএসআরএম প্রতিনিধরা সবার মোবাইলে নগর একাউন্ট চালু করে ডাটাবেইজ প্রস্তুত করেছিল।

ত্রাণ বিতরণের বিষয়ে কেএসআরএম’র মিডিয়া এডভাইজর মিজানুল ইসলাম বলেন, কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ নীরবে দান করতে অভ্যস্থ। নগর পুলিশ প্রস্তাব দেওয়ার সাথে সাথেই কেএসআরএম ত্রাণের ব্যবস্থা করেন। চার দিকে সব বন্ধ। কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের পাশে থাকতে পেরে কেএসআরএম ধন্য।

ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফ, জোনের চারটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণসহ পুলিশের অন্যান্য উধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

২৪ ঘন্টা/আর এস পি

Feb2

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।