খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে জেলেপল্লীতে কর্ম নেই, মানবেতর জীবনযাপন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০, ১১:৩৮ অপরাহ্ণ
লক্ষ্মীপুরে জেলেপল্লীতে কর্ম নেই, মানবেতর জীবনযাপন

অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর:  মার্চ-এপ্রিল দু’মাস অভয়াশ্রম মৌসুমে মেঘনা নদীতে সবধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ রেখেছে সরকার। অপরদিকে করোনা ভাইরাস রোধে স্থলভাগেও দোকানপাটসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ। জলজ ও স্থলভাগ বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর হাট নদীর পাড়ের ভাসমান জেলে সম্প্রদায়। নিষেধাজ্ঞার প্রায় ১ মাসেও ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা পায়নি তারা। এছাড়াও দুর্যোগ মুহুর্তে সরকারের বিশেষ বরাদ্ধের সহায়তাও এখনো পৌঁছেনি দৌড়গোড়ে। দিনমজুর এ জেলে পল্লীতে এখন শুধুই হাহাকার। করোনা প্রতিরোধে চারদিকে সচেতনতা বাড়লেও গুরুত্ব নেই ওই পল্লীতে। এতে করোনা সংক্রামণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে এ অঞ্চল।

ভাসমান জেলে শাহ আলম (৩০)। নদীতে মাছ শিকার করেই ভাসমান নৌকায় পরিবারের বরণ-পোষণ চলে তার। নদীতে মৎস্য শিকার বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে সে। স্থলভাগে বিভিন্ন স্থানে দিনমজুরের কাজ করে চলতো পরিবারের ব্যয়। হঠাৎ করোনা ভাইরাস রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকানপাটসহ সবধরনের কার্যক্রম স্থগিত করায় অসহায়ত্ব সময় পার করছেন চার সন্তানের এ জনক। করোন প্রতিরোধে তার নৌকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নাতা বা সচেতনতার কোন ছোয়া নেই। অভাবের চেয়ে করোনা ভাইরাস রোধে সচেতনতা অর্থহীন।

শুধু শাহ আলম নয়, নদীর পাড়ের ভাসমান জেলেপল্লীর শতাধিক পরিবার এখন খাদ্য ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এ অবসর মূহুর্তে নৌকায়-নৌকায় আড্ডা ও সমাগম থাকায় ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকিও রয়েছে তারা।

জানতে চাইলে ভাসমান জেলে শাহ আলম বলেন, বাজারে একদোকানে বাকীতে চাল, ডাল ও আলু নিয়ে স্ত্রী-সন্তানের মুখে জুটিয়েছি। কিন্তু সব বন্ধ থাকলে দোকানীরা বাকীও দিবে না। করোনা ভাইরাস রোধে সচেতনতার বিষয়ে জেনেছি। কিন্তু খাবারই জোটে না, হাতপা ধোয়ার সাবান, মাস্ক পাবো কই।

একই কথা বলেন ৫ সন্তানের জননী শাহেদা বেগম, তিনি বলেন, বাকীতে বাজার থেকে ১ বস্তা চাল এনেছি। আজ আলু ভর্তা ও ডাল দিয়ে সবার খাবার চলবে। কিন্তু বাকীদিন কিভাবে চলবে।

জনপ্রতিনিধি বা সরকারের কেউই তাদের সচেতনতার জন্য পরিচ্ছন্নতার উপকরণ দেয়নি। এসব সচেতনতা বড়লোকের জন্য আমাদের জন্য নয়। মৃত্যু আসলে তো মরেই যেতে হবে।

জানা যায়, মার্চ-এপ্রিল দু’মাস ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় লক্ষ্মীপুর রামগতি আলেকজান্ডার ষাটনল থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদীতে সবধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এসময় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনি মোহন ইউনিয়নের মজুচৌধীরহাট ভাসমান জেলেরা মৎস্য শিকার থেকে বিরত থেকে স্থলভাগে দিনমজুরের কাজ করে এবং ঋণ করে সংসার চালায়। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের (৪০ কেজি চাল) খাদ্য সহায়তা করা হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার প্রায় ১ মাসেও সরকারের খাদ্য সহায়তা পাইনি তারা। এদিকে মরনঘাতি করোনা ভাইরাস রোধে স্থলভাগসহ সবধরনের কার্যক্রম স্থগিত করায় সম্পূর্ণ ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছে এসব জেলে।

স্থানীয় দু’জন ব্যক্তি জানান, ভাসমান জেলেরা খুবই দরিদ্র। সবসময় তাদের নৌকায় সমাগম করে বসবাস করতে হয়। সচেতন করার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের। চেয়ারম্যান নিজই এলাকায় থাকেন না। থাকেন শহুরের বিলাস বহুল বাড়িতে। করোনা প্রতিরোধে নামমাত্র জীবানু নাশত মেডিসিন ছিটিয়ে ছবি তুলে তিনি চলে যান। জেলেপল্লীর খবর রাখার সময় কই তার।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার চররমনি মোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল বলেন, জেলের বিজিএফ চাল এখনো খাদ্য গুদাম থেকে আনা হয়নি। জনসমাগম সৃষ্টি হবে তাই বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জেলে পল্লীতে জনসচেতনতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল জানান, রেড ক্রিসেন্টকে সাথে নিয়ে করোনা রোধে জীবানু নাশক মেডিসিন ছিটানো হচ্ছে। করোনা রোধে অসহায়দের সরকারের বিশেষ বরাদ্ধ এসেছে। সদর উপজেলার ইউনিয়নগুলোর জন্য ২১ টন চাল ২ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পৌরসভার জন্য ৩ হাজার কেজি চাল ও ৩০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। খুবদ্রুত সহায়তা অসহায়দেও মাঝে বিতরণ করা হবে।

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।