খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লোহাগাড়ায় আমিনুল ইসলামের পাঠানো ত্রাণ পেল ৮’শ কর্মহীন শ্রমজীবি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
লোহাগাড়ায় আমিনুল ইসলামের পাঠানো ত্রাণ পেল ৮’শ কর্মহীন শ্রমজীবি

লোহাগাড়া প্রতিনিধি :  প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে নিজ ঘরে আটকে পড়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলামের নিজস্ব অর্থায়নে ১৮’শ কর্মহীন শ্রমজীবি, খেটে খাওয়া ও হতদরিদ্র মানুষদের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় লোহাগাড়ায় দ্বিতীয় কিস্তিতে ৪০০জন কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের কাছে হস্তান্তার করা হয়েছে।

আমিনুল ইসলামের পক্ষে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে এসব ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাশেম মিয়া, ফরিদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক তৈয়বুল হক বেদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা হাজ্বী মাহমুদুল হক, শ্রমিকলীগের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন ও আমিনুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী মিরান হোসেন মিজানসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।

এদিকে, গত বুধবার, বৃহষ্পতিবার ও শুক্রবার আমিনুল ইসলামের পক্ষে সাতকানিয়ায় ১ হাজার কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব মাষ্টার ফারুখ আহমদ, সাতকানিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো: নেজাম উদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক এস.এম আজিজ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: সেলিম উদ্দিন।

ইতোপূর্বেও লোহাগাড়ায় প্রথম কিস্তিতে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ৪০০ জন কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো হয়েছে। বিতরণকৃত এসব খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১কেজি ডাল, ১ কেজি লবন, ১ কেজি পেঁয়াজ ও ১টি সাবান।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জানান, সাম্প্রতিক কালের প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব স্তব্দ হয়ে পড়েছে। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দুরদর্শিতা ও আগাম পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশের আকাশ পথ ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আমার প্রাণপ্রিয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আসা সম্ভব না হলেও টেলিফোনে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে লোকজনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি এবং ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার ঘরে আটকে পড়া ১৮’শ কর্মহীন শ্রমজীবি-হতদরিদ্র মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও কয়েক দফায় দুই উপজেলায় তিন হাজার মাক্স, সাবান, গ্লাভস ও হ্যন্ড স্যানিটাইজারসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করেছি। আশা রাখি এর মাধ্যমে ঘরে আটকে থাকা কর্মহীন হতদরিদ্ররা কিছুটা হলেও খাদ্য সংকট থেকে উত্তোরিত হবে। এছাড়াও প্রিয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়াবাসীকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি চলমান সরকারী সাধারণ ছুটিতে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে বেড়াতে না গিয়ে, দোকান-পাট, হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাটে অযথা ঘুরাঘুরি না করে এই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে নিজ ঘরেই অবস্থান করুন এবং মহান আল্লাহর দরবারে বেশী বেশী প্রার্থনা করুন।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।