খুঁজুন
শনিবার, ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিপিএলে সাকিবের বার্বাডোজের শিরোপা জয়

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ
সিপিএলে সাকিবের বার্বাডোজের শিরোপা জয়

টানা ১১ জয়ের পর হারের মুখ দেখল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। আর এই একটি পরাজয়ই গায়ানার জন্য হয়ে দাঁড়াল শিরোপা হাতছাড়ার কারণ। জোনাথন কার্টার, জনসন চার্লসদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের দাপুটে বোলিং শিরোপা এনে দিল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসকে। গায়ানাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতল বার্বাডোজ।

প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ রান করে বার্বাডোজ। রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৪৪ রানে থামে গায়ানার ইনিংস। এর ফলে ২৭ রানের জয়ে ২০১৪ সালের পর আবারও সিপিএলের শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় বার্বাডোজ। আর নিজেদের পঞ্চম সিপিএল ফাইনালেও শিরোপা অধরাই থেকে যায় গায়ানার!

ফাইনালে দলের দুর্দান্ত জয়ের দিন ব্যাট-বল হাতে কিছুটা ম্লান ছিলেন সাকিব আল হাসান। ১৫ রান করে রান-আউট হওয়ার পর থেকেছেন উইকেট-‘শূন্য’। ২ ওভার বল করে দিয়েছেন ১৮ রান।

ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বার্বাডোজ। দলকে ভালো শুরু এনে দেন জনসন চার্লস ও অ্যালেক্স হেলস। ২৪ বলে ২৮ রানে হেলস ফিরলে ভাঙ্গে দু’জনের মধ্যকার ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।

সাকিবের বদলে ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা ফিলিপ সল্ট ফাইনালে সুবিদে করতে পারেননি একদমই। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেন তিনি। দ্রুত দুই উইকেট হারানো বার্বাডোজকে এরপর টেনে নিয়ে চলেন চার্লস। তবে তা স্থায়িত্ব পায়নি বেশিক্ষণ। ২২ বলে ৩৯ রানের ক্যামিও খেলে আউট হন তিনি। তার ৬ চার ও ১ ছক্কার ইনিংস শেষে ফের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় বার্বাডোজ।

গায়ানার বোলারদের বোলিং তোপের চেয়ে নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝিতে বেশি খেসারত দিতে হয় দলটিকে। জেসন হোল্ডার (১) ও সাকিবের (১৫) রান আউটে দলীয় ১০৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। যা তৈরী করে বড় সংগ্রহ না পাওয়ার সম্ভাবনা।

শেষ পর্যন্ত তা আর হতে দেননি কার্টার ও অ্যাশলে নার্স। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩১ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়ে ২০ ওভার শেষে দলকে ৬ উইকেটে ১৭১ রানের পুঁজি এনে দেন তারা। সমান ৪ চার ও ছক্কায় কার্টারের ২৭ বলের ৫০ রানের ঝড় ও নার্সের ১৫ বলের ১৯ রানে চড়ে শেষ পর্যন্ত এ সংগ্রহ পায় বার্বাডোজ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে গায়ানা। বার্বাডোজের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ারে সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্রেন্ডন কিং আজও লড়ে যান অনেকটা একাই। তবে আজ আর বার্বাডোজকে কাঁদিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। ৩৩ বলে ৪৩ রান করা কিংকে আউট করেন নার্স।

তার বিদায়ের পর দলের হাল ধরে খেলতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। যার ফলে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় গায়ানার। রেইমন রেইফারের বোলিং তোপে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৪৪ রানে থামে দলটির ইনিংস। বার্বাডোজের বোলারদের মধ্যে রেইফার রানে নেন ৪টি উইকেট। এছাড়া হ্যারি গুরনে ও নার্স লাভ করেন দুটি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস: ১৭১/৬ (২০ ওভার)
কার্টার ৫০*, চার্লস ৩৯, হেলস ২৮; তাহির ৪-০-২৪-১।

গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স: ১৪৪/৯ (২০ ওভার)
কিং ৪৩, পল ২৫, পুরান ২৪, রেইফার ৪-০-২৪-৪, নার্স ৪-০-১৭-২।

ফল: বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ২৭ রানে জয়ী ও সিপিএল ২০১৯ আসরের চ্যাম্পিয়ন।

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তা জানিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই বিমানে কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন।

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।