খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিসিবিকে জনগণের দোরগোড়ায় পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে সুজনের আহবান

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২০, ৮:৩৯ অপরাহ্ণ
টিসিবিকে জনগণের দোরগোড়ায় পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে সুজনের আহবান

টিসিবিকে জনগনের দোরগোড়ায় পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারী নির্দেশনা মেনে বাসায় অবস্থান করা সুজন গতকাল শনাবার (৪ এপ্রিল) রাত ৯টায় উত্তর কাট্টলীস্থ নিজ বাসভবনে তার ফেসবুক পেইজে লাইভে নগরবাসীর সাথে আলাপচারিতায় উপরোক্ত আহবান জানান।

এ সময় সুজন বলেন বিশ্ব আজ কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। এক অদৃশ্য ভাইরাস পুরো বিশ্ব শাসন করছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত। এ পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক কিংবা টিকা আবিস্কার না হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সচেতনতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা রুমাল ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বলেছেন করোনাভাইরাস মোকাবিলাও একটা যুদ্ধ, এ যুদ্ধে মানুষের দায়িত্ব ঘরে থাকা। তিনি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ এবং সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই নিয়মিতভাবে করোনাভাইরাস কেন্দ্রিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন। এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই পালনীয় ৩১ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তাই জনগণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং ঘরে থাকার আহবান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন টিসিবি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। আপদকালীন সময়ে জনগনের চাহিদা পূরণ করা এ প্রতিষ্ঠানের প্রধাণতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বর্তমান পরিস্থিতিতেও টিসিবি তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তবে দেখা যাচ্ছে যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সরকার সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আইন শৃংখলা বাহিনীও জনগনকে ঘরে রাখার সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে জনগনও সচেতন হয়ে অধিকতর প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না। কিন্তু টিসিবি’র মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রির যে উদ্যোগ সেটা কেবল মূল সড়কেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এতে করে প্রকৃত ভোক্তাগণ ন্যায্যমূল্যে পণ্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই টিসিবি’র পণ্য সামগ্রীর গাড়ীগুলো যদি মূল সড়ক বাদ দিয়ে নগরীর বিভিন্ন অলি গলি কিংবা পাড়া মহল্লায় অবস্থান করে তাতে করে জনগনের কাছে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রির সরকারী যে উদ্দেশ্য তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া পণ্য বিক্রির সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখারও আহবান জানান জনাব সুজন। তাছাড়া অসাধু ডিলাররা পণ্য সামগ্রী জনগনের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রি না করে রমজানের জন্য মজুদ করছেন কিনা তাও নিয়মিত মনিটরিং করার আহবান জানান তিনি।

লাইভে নগরবাসী বিভিন্ন দুর্ভোগের কথা সুজনকে অবহিত করেন। বেশীরভাগ নগরবাসীই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা, অলি গলিতে আড্ডা মারা বন্ধ রাখা, সরকারী ত্রাণসামগ্রী সঠিকভাবে বিলি বন্টন করা, প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসকদের উপস্থিতি বাড়ানো সহ বিভিন্ন জনদুর্ভোগ দূরীকরণে সুজনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

তিনি সামাজিক দুরত্ব বজায় এবং ঘরে থাকার সরকারী নির্দেশনা মানার জন্য সকলের নিকট উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন বাঙ্গালি বীরের জাতি। ১৯৭১ সালে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা এ দেশকে স্বাধীন করেছি। নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনকারী বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর বুকে মাথা উচুঁ করে দাড়িয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে চলেছে সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠার ফলে। ১৯৭১ সালে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ দিনের পর দিন খেয়ে না খেয়ে অর্ধাহারে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এ দেশকে স্বাধীন করেছে। এ সময়টিও বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি মুক্তিযুদ্ধ। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন পুরো বিশ্বই আপনার হাতের মুঠোয়। ইন্টারনেটের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আপনি সারাদিন পড়ালেখা, জ্ঞানার্জন, খবরাখবর এবং বিনোদনে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন। যে কোন পণ্যের প্রয়োজনে অনলাইনে অর্ডার করলেই পেয়ে যাচ্ছেন কাংখিত পণ্য। এছাড়া জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের হেল্প লাইনে যোগাযোগ করলেও আপনি অনায়াসেই যে কোন অসুবিধা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

তিনি নগরবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নগরীর বিভিন্ন অলিগলিতে আড্ডা মারা বন্ধ, সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার জন্য নগর পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ কমিশনার ও আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে কথা বলেন এবং উপরোক্ত বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান। তবে তিনি এও বলেন বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় যেভাবে জটলা প্রকট আকার ধারণ করছে তা সরানো পুলিশ প্রশাসনের একার পক্ষে সম্ভব নয় যদি না জনগন সজাগ হয়। এক্ষেত্রে প্রশাসনের পাশাপশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং মহল্লাবাসীকেও এগিয়ে আসার বিনীত অনুরোধ জানান তিনি। দেখা যাচ্ছে যে যেসব এলাকায় জটলা বেশি সেসব এলাকায় করোনাভাইরাসটি ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন আমরা যদি নিজেরাই অতিমাত্রায় সচেতন না হই তাহলে এজন্য পুরো দেশবাসীকে চরম খেসারত দিতে হবে। তিনি যে কোন মূল্যে জনগনকে ঘরে থাকার বিনীত আহবান জানান।

তিনি নগরীর বিভিন্ন এলাকার ত্রাণ বিতরণকে প্রচারমূখী না করে মানবতামূখী করার জন্য অনুরোধ জানান। এছাড়া ত্রাণ সামগ্রী জেলা প্রশাসন অথবা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বিলি করার আহবান জানান। তাছাড়া বেশী মানুষ জড়ো করে ত্রাণ বিতরণকে অনুৎসাহিত করে প্রয়োজনে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সকলের নিকট বিনীত আহবান জানান তিনি। সরকারি ত্রাণসামগ্রীও সঠিকভাবে বিলি বন্টন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিদের নিকট বিনীত অনুরোধ জানান সুজন।

তিনি আরো বলেন দেশের বেশির ভাগ সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা করোনাভাইরাসের কারণে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ঠান্ড-সর্দি, জ্বর-কাশির কোনো রোগীকে তারা স্পর্শও করছেন না। বেসরকারি হাসপাতালগুলো এসব রোগীকে সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করছেন। এতে অনেক রোগী বিনা চিকিৎসায় শংকটপন্ন অবস্থায় পড়ছেন। এছাড়া বিভিন্ন চিকিৎসকগণও প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা থেকে বিরত থেকেছেন। এতে করে ডাক্তারদের উপর রোগীদের এক প্রকার অনাস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। জাতীয় যেকোন দুর্যোগে আমাদের দেশের চিকিৎসকগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। বর্তমান সময়েও আমাদের চিকিৎসকগণ কাধে কাধ মিলিয়ে এগিয়ে এসে জনগনের পাশে দাড়াবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সুজন।

জনাব সুজন পূণরায় নগরবাসীর যে কোন সমস্যা, দূর্যোগ কিংবা ভোগান্তি নাগরিক উদ্যোগের ফেইসবুক পেইজ Nagorik Uddog Chattogram অথবা ০১৭৭২-৫০০৭০০ এই নাম্বারে জানানোর জন্য সবিনয় অনুরোধ জানান।

ফেসবুক লাইভের লিঙ্ক:

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=535032500765725&id=1445104285781340

 

 

Feb2

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এ সময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া নিজের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মর্মে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিজের দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

জেএন/এমআর