খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধৈর্য সংযম শৃংখলা আত্মসচেতনতা শুদ্ধাচারী জীবন যাপনের মাধ্যমে ঘরে থাকুন:চসিক মেয়র

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৪১ অপরাহ্ণ
ধৈর্য সংযম শৃংখলা আত্মসচেতনতা শুদ্ধাচারী জীবন যাপনের মাধ্যমে ঘরে থাকুন:চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস(কোভিড-১৯) সংক্রমণ বিস্তার রোধে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে এক জনসচেতনতা মূলক বার্তায় বলেছেন, ধৈর্য্য,সংযম,শৃংখলা,পরিচ্ছন্নতা ও আত্মসচেতনতা দ্বারা শুদ্ধাচারী জীবনযাপনেরর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সময় ঘরে থাকুন এবং নিজেকে, পরিবার,প্রতিবেশীসহ সকলের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।

আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এই বার্তায় তিনি করোনা ভাইরাসকে মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ ও বর্তমান অবধি অপ্রতিরোধ্য মরণ ব্যাধি হিসেবে অভিহিত করে বলেন, করোনা অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবানু কনিকা। একে দেখা যায় না, ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, এবং এর গতি বাতাসের চেয়ে দ্রুততর। গত ডিসেম্বর মাসের শেষে দিকে চীনের উহান প্রদেশ থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হলেও অতিদ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা অবিশ্বাস্য এবং অপ্রতিরোধ্য।

উন্নত, অনুন্নত ও দরিদ্র নির্বিশেষে বিশ্বের ২৩০টি রাষ্ট্রের মধ্যে ২০৭ টিতে করোনা ভাইরাসের আগ্রাসী থাবা বিস্তৃত হয়েছে। গতকাল অবধি বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ। মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭শত ৮২ জন। করোনা ভাইরাসের বিস্তারের প্রভাব মাসাধিকাল আগে থেকেই বাংলাদেশে পড়েছে। প্রথমে খুবই ধীরে হলেও ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদেরআশংকা মধ্য এপ্রিলেই করোনা ভাইরাসের উর্ধ উল্লস্ফলন ঘটবে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের ক্রম বিস্তারে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টির আশংকা একেবারেই অমুলক নয়।

এতে আমাদের ভয় ও আতঙ্কে মনোবল হারিয়ে কিংবর্তব্যবিমূড় হওয়ার কোন অবকাশ নেই। তাই যে যার অবস্থান থেকে আপদকালীন দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি তাঁর সর্বাধিনায়ক। তাই তাঁর সকল নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে এই যুদ্ধে অবশ্যই বিজয়ী হতে হবে। এই যুদ্ধের ভ্যানগার্ড বা অগ্রবর্তি বাহিনী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রা। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা আক্রান্তদের সেবা দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ঝুঁকি ভাতা ও জীবন বীমার নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন। আপনারা নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করুন।

তিনি আরো বলেন, বিগত কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে এই বাংলায় নানাবিধ প্রাকৃতিক দূর্যোগ-বন্যা,ঘুর্ণিঝড়,জলোচ্ছ্বাস,দূর্ভিক্ষ,মঙ্গা এবং নানান যুদ্ধ বিগ্রহে লক্ষ লক্ষ প্রাণ বলিদান করে রুখে দাঁড়িয়ে আবারও এই জনপদের ভূমিপুত্রগণ কোমর সোজা করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন । ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে এক সশন্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ প্রাণের আত্মবলিদান ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে বাঙালি জাতি সত্তার স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই যুদ্ধের পরও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত ছিল এবং এখনও চলমান আছে। আজ বৈশ্বিক করোনা মহামারি বিশ্ব মানব সভ্যতাকে গ্রাস করতে চায়। ইতোমধ্যে লক্ষ প্রাণ হারিয়ে গেছে। বাংলাদেশেও এই থাবা বিস্তারিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন। সেই যুদ্ধে আমাদের কোন প্রতিপক্ষ নেই। দল-মত-বর্ণ-ধর্ম এবং ভাষা নির্বিশেষে আমরা সকলেই এক পক্ষ। আমাদের হাতিয়ার সুদৃঢ় মনোবল, জনসচেতনতা এবং সরকারি দিক-নির্দেশনা ও নিয়ম কানুন পালন।

আমি লক্ষ্য করছি যে, এই আপদকালীন সময়ে আমাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি এখনও অনেকের মাথায় ঢোকেনি। আজ সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা ও জীবনাচরণ অনুসরণ করা। করোনা নামক ভাইরাসমুক্ত হতে এখনও পর্যন্ত কোন কার্যকর প্রতিষেধক, ঔষধপত্র ও ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়নি। তবে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা প্রতিষেধক আবিস্কারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তাঁরাই বলেছেন এই প্রতিষেধক আবিস্কার করতে গেলে কম করে হলেও দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে। তাই বলতেই হয় বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং যতবেশি সময় ঘরে থাকা- এই প্রক্রিয়াটি আমাদের আপদকালীন ক্রান্তিকাল অতিক্রমের প্রধান অবলম্বন।

তিনি এই প্রসঙ্গে আরো বলেন, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের অধিকাংশই সামাজিক সংক্রমণ থেকে। তাই প্রত্যেককেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজেকে অন্যের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, এই দূর্যোগকালীন সময়েও লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, একটি অসাধু চক্র ত্রাণের জিনিসপত্র লুটপাট করার অপচেষ্টা চলাচ্ছে। এমনকি সরকারি বরাদ্দের চাল কৌশলে আয়ত্ব করে খোলা বাজারে বিক্রী করে মুনাফা লুটছে। এরা পাষন্ড। করোনা ভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর। এদের দমন করা সময়ে দাবী। এই অশুভ শক্তিটিকে সরকারের খাদ্য বিভাগের কিছু অসত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং খাদ্য পরিবহণ ঠিকাদারদের কেউ কেউ ইন্ধন যোগাচ্ছে। এরাই ভয়ঙ্কর অপশক্তি। তাদের আইনের আওতায় এনে অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারা যতক্ষণ সময় ঘরে থাকবেন এবং জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কখনই বের না হয়ে নিজেকে সুরক্ষা করুন – এটাই আমার প্রত্যাশা। শুধু রাষ্ট্র ও সরকার নয়, সামাজিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং জনকল্যাণমুখী প্রচেষ্টার ফলে আমরা আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারব ইনশা আল্লাহ। জনসমাগম হয় এমন কোন সামাজিক,ধর্মীয়,সাংস্কৃতিক এমনকি বিয়ে-শাদি সহ যে কোন উৎসব ও অনুষ্ঠানাদী পরিহার করুন।

তিনি তাঁর সচেতনতা মূলক বার্তায় আরো বলেন যে, এই সময়টা হলো মশা উপদ্রুত হওয়ার। মশক নিধনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ক্রাশ প্রোগ্রাম চলমান রয়েছে। আমি একটা কথা বলতে চাই, শুধু ওষুধ ছিটিয়ে মশক নিধন সম্ভব নয়। মশক উৎপত্তি ও প্রজনন ক্ষেত্রগুলো ব্যক্তি ও সামাজিক উদ্যোগে চিহ্নিত করে ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করে এই নগরীকে মশা মুক্ত করা সম্ভব। আরো একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি মেগা প্রকল্প চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন। এর পূর্ত কাজ করছে সেনাবাহিনী। দেখা যাচ্ছে চাক্তাই খালে এই কাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ আটকে দেয়া হয়েছে। এই জমাট পানি মশা প্রজননের অন্যতম ক্ষেত্র। এই জমাট পানি পাইপ লাইন বসিয়ে সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন এবং সেনাবাহিনীও তা করতে চান। তবে সময় ক্ষেপণ করলে মশক নিধন কার্যক্রম সফল হবে না।

তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গুরোগ এডিস মশা থেকেই ছড়িয়ে পড়ে। এবং এডিস প্রজনন হয় পরিস্কার জমাট পানিতে। বাড়ীর যেখানেই এই জমাট পানি থাকে সেখান থেকে তা দুই-একদিন পরপরই সরিয়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও ঝোপ ঝাড় এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ তৈরী হবে তা সরিয়ে ফেলতে প্রত্যেক নাগরিককেই সচেতন হতে হবে।

Feb2

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এ সময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া নিজের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মর্মে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিজের দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

জেএন/এমআর