খুঁজুন
রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুভ নববর্ষ:স্বাগত ১৪২৭

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ
শুভ নববর্ষ:স্বাগত ১৪২৭

‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)। আজ পহেলা বৈশাখ; নতুন বছরের প্রথম দিন। করোনাভাইরাসের প্রকোপে টালমাটাল বিশ্বে একটি নতুন বছরের শুভ সূচনা। শুভ নববর্ষ। স্বাগত ১৪২৭।

বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও গর্বিত ঐতিহ্যের রূপময় ছটায় বৈশাখ পুরনো বছরের সব গ্লানি, অপ্রাপ্তি, বেদনা ভুলে নব আনন্দে জাগবে গোটা জাতি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবার ঘরে বসে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে’ পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হবে।

সারাবিশ্বের মানুষ যখন করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যস্ত; তখন প্রকৃতি তার নিজস্ব গতিতে চলছে। করোনায় লকডাউনে চৈত্রের রুদ্র দিনের পরিসমাপ্তি শেষে আজ গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে সব বয়সের মানুষ। দেশের সব বয়সী মানুষের জীবনের অন্যতম আনন্দের এবং মহিমান্বিত দিন এই পহেলা বৈশাখ। আজ শুরু হবে আগামী দিনের পথচলা। করোনাভাইরাসে ছুটি এবং বাধ্যতামূলক ঘরে থাকার নির্দেশনার মধ্যেই ঘরোয়াভাবে পালিত হবে দিনটি। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য বাংলা সন গণনার শুরু মোঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন। ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে; পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।

মূলত ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তান শাসনামলে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। তবে ষাটের দশকের শেষে থেকে রমনা বটমূলে ছায়ানট বর্ষবরণের আয়োজন করে।

দেশ স্বাধীনের পর মানুষের অসা¤প্রদায়িক চেতনার প্রতীকে পরিণত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও আসে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম শোভাযাত্রা। পরবর্তীতে সেখানে প্যাঁচা, হাতি ইত্যাদি জড়ানোর মধ্য দিয়ে বিজাতীয় অপসংস্কৃতি চর্চা শুরু হয়।

মানুষের যাপিত জীবনের বাস্তবতায় নববর্ষ উদযাপন পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসবে। পহেলা বৈশাখের ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে মেতে ওঠে সারা দেশ। বর্ষবরণের উৎসব আমেজে মুখরিত হয়ে উঠে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া। গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে দেশের মিলিত হয় তার সর্বজনীন এই অসা¤প্রদায়িক উৎসবে। দেশের পথে-ঘাটে, মাঠে-মেলায়, অনুষ্ঠানে থাকে লাখো মানুষের প্রাণের চাঞ্চল্য, আর উৎসব মুখরতার বিহ্বলতা। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই কোথাও কোনো আয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।

করোনার কারণে ছায়ানটের রমনা বটমূলের ভোরের আয়োজন বন্ধ। রমনাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে কানেও আসবে না সুরের ঝঙ্কার। মানুষ ঘরবন্দি তবু থেমে থাকবে না উৎসব। অনলাইনে বর্ষবরণের কথা জানিয়েছেন ছায়ানটের সহ-সভাপতি শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন। তারা জানান, বলেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতির কারণে উৎসব করার চেয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। যাতে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখবেন ছায়ানট সভাপতি ড. সন্জীদা খাতুন।

অন্যদিকে জনসমাগম না করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আপনা-মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়’ প্রতিপাদ্য করে বর্ষবরণের আয়োজন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। প্রতিবারই মূল প্রতিপাদ্যের ওপর একটি পোস্টার বের করা হয় অনুষদ থেকে। এবার সেই পোস্টারটি ভার্চুয়ালি প্রকাশ করা হবে। জানতে চাইলে চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছরই আমরা পোস্টার করি। এবারও করেছি। তবে সেটা প্রতিপাদ্যের ব্যাখ্যাসহ। প্রতিবার প্রতিপাদ্যটি আমরা নানা মোটিভের মাধ্যমে তুলে ধরি। এবার সেটি হবে না বলে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ‘দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’ থেকে ‘মানুষকে ধ্বংস করা যায় কিন্তু পরাজিত করা যায় না’- এ লাইন নেয়া হচ্ছে।

প্রতীকীভাবে পহেলা বৈশাখ পালনের পরিকল্পনা করছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। শিশুপার্কের সামনে সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ দীর্ঘদিন ধরে নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন করলেও সংগঠনটির প্রধান ফকির আলমগীর জানান, এবার তারা ধারণ করে টেলিভিশনে প্রচারের মাধ্যমে বিকল্প উপায়ে অনুষ্ঠান করবেন।

‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)। আজ পহেলা বৈশাখ; নতুন বছরের প্রথম দিন। করোনাভাইরাসের প্রকোপে টালমাটাল বিশ্বে একটি নতুন বছরের শুভ সূচনা। শুভ নববর্ষ। স্বাগত ১৪২৭। বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও গর্বিত ঐতিহ্যের রূপময় ছটায় বৈশাখ পুরনো বছরের সব গ্লানি, অপ্রাপ্তি, বেদনা ভুলে নব আনন্দে জাগবে গোটা জাতি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবার ঘরে বসে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে’ পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হবে।

সারাবিশ্বের মানুষ যখন করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যস্ত; তখন প্রকৃতি তার নিজস্ব গতিতে চলছে। করোনায় লকডাউনে চৈত্রের রুদ্র দিনের পরিসমাপ্তি শেষে আজ গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে সব বয়সের মানুষ। দেশের সব বয়সী মানুষের জীবনের অন্যতম আনন্দের এবং মহিমান্বিত দিন এই পহেলা বৈশাখ। আজ শুরু হবে আগামী দিনের পথচলা। করোনাভাইরাসে ছুটি এবং বাধ্যতামূলক ঘরে থাকার নির্দেশনার মধ্যেই ঘরোয়াভাবে পালিত হবে দিনটি। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য বাংলা সন গণনার শুরু মোঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন। ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে; পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।

মূলত ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তান শাসনামলে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। তবে ষাটের দশকের শেষে থেকে রমনা বটমূলে ছায়ানট বর্ষবরণের আয়োজন করে।

দেশ স্বাধীনের পর মানুষের অসা¤প্রদায়িক চেতনার প্রতীকে পরিণত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও আসে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম শোভাযাত্রা। পরবর্তীতে সেখানে প্যাঁচা, হাতি ইত্যাদি জড়ানোর মধ্য দিয়ে বিজাতীয় অপসংস্কৃতি চর্চা শুরু হয়।

মানুষের যাপিত জীবনের বাস্তবতায় নববর্ষ উদযাপন পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসবে। পহেলা বৈশাখের ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে মেতে ওঠে সারা দেশ। বর্ষবরণের উৎসব আমেজে মুখরিত হয়ে উঠে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া। গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে দেশের মিলিত হয় তার সর্বজনীন এই অসা¤প্রদায়িক উৎসবে। দেশের পথে-ঘাটে, মাঠে-মেলায়, অনুষ্ঠানে থাকে লাখো মানুষের প্রাণের চাঞ্চল্য, আর উৎসব মুখরতার বিহ্বলতা। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই কোথাও কোনো আয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।

করোনার কারণে ছায়ানটের রমনা বটমূলের ভোরের আয়োজন বন্ধ। রমনাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে কানেও আসবে না সুরের ঝঙ্কার। মানুষ ঘরবন্দি তবু থেমে থাকবে না উৎসব। অনলাইনে বর্ষবরণের কথা জানিয়েছেন ছায়ানটের সহ-সভাপতি শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন। তারা জানান, বলেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতির কারণে উৎসব করার চেয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। যাতে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখবেন ছায়ানট সভাপতি ড. সন্জীদা খাতুন।

অন্যদিকে জনসমাগম না করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আপনা-মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়’ প্রতিপাদ্য করে বর্ষবরণের আয়োজন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। প্রতিবারই মূল প্রতিপাদ্যের ওপর একটি পোস্টার বের করা হয় অনুষদ থেকে। এবার সেই পোস্টারটি ভার্চুয়ালি প্রকাশ করা হবে। জানতে চাইলে চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছরই আমরা পোস্টার করি। এবারও করেছি। তবে সেটা প্রতিপাদ্যের ব্যাখ্যাসহ। প্রতিবার প্রতিপাদ্যটি আমরা নানা মোটিভের মাধ্যমে তুলে ধরি। এবার সেটি হবে না বলে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ‘দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’ থেকে ‘মানুষকে ধ্বংস করা যায় কিন্তু পরাজিত করা যায় না’- এ লাইন নেয়া হচ্ছে।

প্রতীকীভাবে পহেলা বৈশাখ পালনের পরিকল্পনা করছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। শিশুপার্কের সামনে সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ দীর্ঘদিন ধরে নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন করলেও সংগঠনটির প্রধান ফকির আলমগীর জানান, এবার তারা ধারণ করে টেলিভিশনে প্রচারের মাধ্যমে বিকল্প উপায়ে অনুষ্ঠান করবেন।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, নতুন বছর মানেই এক নতুন সম্ভাবনা, নতুন আশায় পথ চলা। বুকভরা তেমনি প্রত্যাশা নিয়ে নতুন উদ্যমে ও চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতি ঘরে বসেই দিবসটি পালন করবে।

 

Feb2

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।