খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধ্যপ্রচ্যে থেকে ১৫ হাজার বাংলাদেশি ফিরে আসতে পারে : মোমেন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ৯:২৪ অপরাহ্ণ
মধ্যপ্রচ্যে থেকে ১৫ হাজার বাংলাদেশি ফিরে আসতে পারে : মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আজ পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব চাকরির বাজারে মারাত্মক আঘাত হানায় প্রাথমিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সর্বোচ্চ ১৫ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে ফিরে আসতে পারেন।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ গত দুই সপ্তাহ ধরে কারাগারে আটকদেরসহ অনিবন্ধিত কর্মীদের ফিরিয়ে আনার জন্য ঢাকার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে এবং এই পর্যায়ে আমরা প্রত্যাশা করছি যে, আমাদের ফিরিয়ে আনা কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার হতে পারে।

মোমেন বলেন, নীতিগতভাবে বাংলাদেশ তার নাগরিকদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। তবে, ঢাকা সংশ্লিষ্ট মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলোকে জানিয়েছে, ‘আমরা তাদেরকে পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো, আমরা ফিরিয়ে এনে তাদেরকে কোরেন্টাইনে রাখার প্রস্তুতি নিাচ্ছি এবং তাদের আবাসনের জন্য যথাযথভাবে সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হচ্ছে।’

মোমেন বলেন, ৩৬৬ জন বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকের প্রথম ব্যাচটি গতরাতে সৌদি আরব থেকে রাজকীয় ব্যয়ে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে পৌঁছেছে।

প্রক্রিয়াটির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ জন সৌদি কারাগারে ছিলেন, ১৩২ জন পবিত্র ওমরাহ পালন করতে গিয়ে আটকা পড়েছিলেন এবং বাকিরা অনিবন্ধিত বেকার শ্রমিক।

মোমেন বলেন, দেশগুলো বাংলাদেশী শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যয়ে ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়েছে, তারা বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৫০ জন কুয়েত থেকে এবং ৪৪০ জনকে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রথম পর্যায়ে ফিরে আসতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ওমান, লেবানন এবং কাতারের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মহামারী বিবেচনায় অনিবন্ধিত বাংলাদেশী শ্রমিকদের বের করে দিতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, তাদের সংখ্যা যা-ই হোক না কেন প্রত্যেককে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মেডিক্যাল চেকআপ করানো হবে এবং তারপরে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে প্রেরণ করা হবে।

মোমেন বলেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ বর্তমানে ৫ হাজারেরও বেশি লোকের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সুবিধা চূড়ান্তকরণের জন্য কাজ করছে এবং তাদের কাজ সম্পন্ন করার পরে ‘আমরা প্রতি সপ্তাহে ৩০০০ থেকে ৪০০০ জনকে নিরাপদে কোয়ারেন্টানে পাঠাতে সক্ষম হবো’।

মন্ত্রী জানান, এর আগে গতকাল প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তৃতীয় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, বেকার প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে ফেরত আনার জন্য সরকার ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেবে।

সিদ্ধান্ত অনুসারে, প্রত্যেক প্রত্যাবাসী বিমানবন্দরে পৌঁছে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন এবং করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকদের পরিবার ৩ লাখ টাকা করে পাবেন।

বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এম ইমরান আহমেদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপল স্টাফ অফিসার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রথম বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় চার থেকে পাঁচটি দেশ ঢাকাকে জানিয়েছে, করোনাভাইরাস অনেক বাংলাদেশী কর্মীকে বেকার করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এই দেশগুলো বাংলাদেশকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

সরকারি হিসেবে মনে করা হচ্ছে, মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলোতে নথিভুক্ত ও অনিবন্ধিত বাংলাদেশী শ্রমিকের সংখ্যা ৪০ লাখের বেশি হতে পারে, এদের বেশিরভাগ উপসাগরীয় অঞ্চলের ৬টি দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত।
দেশগুলো হচ্ছে- সৌদি আরব, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন এবং ওমান। যেখানে রিপোর্টে দেখা গেছে, তাদের কোভিড-১৯ বিরোধী পদক্ষেপের কারণেই চাকরির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) দু’দিন আগে এক বিবৃতিতে বলেছে, কাজের জগতে কোভিড-১৯-এর তীব্র অর্থনৈতিক প্রভাবগুলোর মধ্যে কেবল মাত্র তিনমাসের মধ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন চাকরি হারাতে পারে।’

জাতিসংঘের এই শ্রম সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের সর্বশেষ মূল্যায়নে বলেছে, সারা বিশ্বের দেশগুলোতে পুরো বা আংশিক লকডাউনগুলোর কারণে প্রায় ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন শ্রমিককের কাজে প্রভাবিত করেছে। যা বিশ্বের শ্রমিকদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজন।

আইএলও জানিয়েছে, ‘প্রায় ২ বিলিয়ন লোকের জন্যও উদ্বেগ বাড়ছে যারা অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ করেন, তাদের বেশিরভাগই উদীয়মান এবং উন্নয়নশীল দেশের শ্রমিক।

Feb2

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।