লক্ষ্মীপুরে ইফতারি দ্রব্যের দ্বিগুণ দাম

অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি::লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে রমজান আসার আগেই মুড়ির বাজার চড়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুড়ির দাম কেজিতে বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। গত বছরের রমজানে এই সময়ে যে মুড়ির দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবারে রমজান আসার আগেই সেই মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
শুধু তাই নয়, হাতে ভাজা মুড়ি বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে মেশিনে প্রক্রিয়াকরণ করে ভাজা মুড়ি। দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ১শ’ টাকা। গত রমজানে এই মুড়ি বিক্রি হয়েছিল কেজি প্রতি ৫৫ টাকা করে।
তবে এক বিক্রেতা জানান, চালের দাম তিনগুণ বেড়ে যাওয়ায় মুড়ির দামও বেড়ে গেছে। শুধু মুড়ি নয় গত ৭ দিন ধরে মোটা চালের কৃত্তিম সঙ্কটসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা মুড়ির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে মুড়ির দাম বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বচসা লেগেই আছে। খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বিআর-২৮ চালের মুড়ি ৮০ থেকে থেকে ৯০, বিআর-২৯ চালের মুড়ি ৭৫ থেকে ৮০, গুঠি স্বর্ণা চালের মুড়ি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বিভিন্ন ব্রান্ডের প্যাকেটবদ্ধ মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১শ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি কেজি মুড়ি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাড়তি দামের কারণে ক্রেতারা দুষছেন খুচরা বিক্রেতাদের। খুচরা বিক্রেতা দুষছেন সরবরাহকারীদের। সরবরাহকারীরা দুষছেন মিলার ও ফ্যাক্টরি মালিকদের। আর মিলার ও ফ্যাক্টরি মালিকরা বলছেন মুড়ির উপাদান ধান চালের বাজার চড়া। তাছাড়া মহামারী করোনার প্রদূর্ভাবের কারণে বাজারে চালের সংকট হচ্ছে। তাই চাহিদা মেটাতে পারছেন না তারা। এছাড়া ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ থাকায় মুড়ির উৎপাদনও কমে গেছে অনেক। যে কারণে মুড়ির দাম বেড়েছে।
উপজেলার কয়েকজন মিল মালিক ও পাইকার জানান, উৎপাদন পর্যায়ে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে। একটি উৎপাদন কারখানায় এক সপ্তাহ আগেও দৈনিক যেখানে উৎপাদন হতো ২২০ থেকে ২৩০ বস্তা মুড়ি (প্রতি বস্তা ৫০ কেজি) সেখানে শ্রমিক সঙ্কটের কারণে বর্তমানে তা নেমে এসেছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ বস্তায়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে। পাইকার থেকে যে মুড়ি কেজিপ্রতি ছাড়া হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়, খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।
উপজেলা বণিক সমিতির সভাপতি শফিক পাঠান বলেন, কয়েকজন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে । এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।
আপনার মতামত লিখুন