খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবসেবায় এবার স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম!

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ মে, ২০২০, ১:১৫ অপরাহ্ণ
মানবসেবায় এবার স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম!

২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : রাউজানের তরুণ রাজনীতিবিদ, সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর ব্যাবস্থাপনায় আল আমিন কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে কয়েক হাজার প্যাকেট সেহেরির খাবার।

চট্টগ্রাম শহর জুড়ে ব্যতিক্রমী মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে করোনা ভাইরাস রোগীদের সেবা প্রদানে ফ্রন্টলাইনে থাকা চট্টগ্রামের ২ হাজার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয় ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পুরো রমজান মাস জুড়ে সেহরি খাওয়ানোর জন্য এ আয়োজন।

রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, সহ সভাপতি সুমন দে, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি সাইদুল ইসলামসহ খাবার প্যাকেটজাত কাজে ব্যস্ত বেশ কিছু সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা।

করোনা যুদ্ধে প্রাণ হারানো প্রথম চিকিৎসক ডা. মঈনের স্মৃতির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে মানবিক এ কাজে এবার সরাসরি স্বেচ্ছাসেবকের ভুমিকায় রাউজানের সাংসদ, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাত আনুমানিক আটটার দিকে রাউজান উপজেলার দায়ার ঘাটাস্থ আল আমিন কমিউনিটি সেন্টারে হাজির হন তিনি। সাংসদের উপস্থিতিতে গাড়ীর পাশে ছুটে যান নেতাকর্মী ও সেহেরির খাবার তৈরিতে ব্যস্থ স্বেচ্ছাসেবকরা।

সবার সাথে কুশল বিনিময় শেষে সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী সরাসরি চলে যান রান্না ঘরে। একদিকে রান্নার কাজ চলছিল অন্যদিকে লম্বা টেবিলের দুইপাশে দাঁড়িয়ে ত্রিশ জনের মতো স্বেচ্ছাসেবক তখন খাবার প্যাকেট তৈরির কাজে ব্যস্ত।

সাংসদ সেখানে ঢুকেই প্রথমে স্বেচ্ছায় মানবিক এই কাজে অংশ গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জানালেন স্বেচ্ছা সেবকদের। এরপর হাতে গ্লাভস লাগিয়ে তিনি স্বেচ্ছা সেবকদের উদ্দেশ্যে বললেন, আমিও তোমাদের সাথে হাত লাগাই, আমাকে প্যাকেট দাও।

এরপর সাংসদ নিজেই স্বেচ্ছাসেবকদের কাতারে দাঁড়িয়ে খাবারের বক্সে খাবার আইটেমগুলো তুলে দেন। একজন সাংসদ হয়েও ফজলে করিম চৌধুরীকে খাবার প্যাকেটজাত কাজে অংশ নিতে দেখে আপ্লুত হন কমিউনিটি সেন্টারে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবকগণ।

রান্নার কাজ তদারকি করতে আল আমিন কমিউনিটি সেন্টারে সাংসদের আগমনের সংবাদ শুনে সেখানে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ, উপজেলা আ.লীগের সি. সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলার বিভিন্ন চেয়ারম্যান, উপজেলা আ.লীগ ও অঙ্গসংগঠন, স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

সাংসদের মানবিক কাজের মুহুর্তগুলি ফ্রেমবন্দী করতে অনেকেই মোবাইলে ছবি তোলা শুরু করতে দেখে সাংসদ তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছবি তোলার প্রয়োজন নেই। সবাই যদি এসব মানবিক কর্মকান্ডে স্ব স্ব অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করেন তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা সার্থক হবে।

দীর্ঘক্ষণ সাংসদ খাবার প্যাকেট তৈরী শেষে খাবার সরবরাহে নিয়োজিত গাড়ীতে নিজেই খাবার প্যাকেট ও সুপেয় পানির বোতলগুলো তুলে দেন।

এ সময় তিনি সেখানে উপস্থিত মানসিক প্রতিবন্ধী ফারুককে কাছে ডেকে তার মাথায় হাত বুলিয়ে খাবার তৈরী কার্যক্রমে তার জমানো দুই হাজার টাকা প্রদান করায় তাকে ধন্যবাদ জানান।

পাশাপাশি সবাইকে অনুরোধ করেন, কাউকে হেলা করবেননা। কারণ দেশের এই কঠিন সময়ে একজন প্রতিবন্ধী হয়েও ফারুক যে কাজটি করেছে তা সমাজের অনেক সামর্থ্যবান মানুষ করতে পারেনি। ভালো কাজ করতে একটি মহৎ হৃদয় লাগে। প্রতিবন্ধী হলেও ফারুক সেই কাজটি করে দৃষ্টান্তের জন্ম দিয়েছে।

তিনি প্রতিবন্ধী ফারুকের ভবঘুরে জীবনের অবসানকল্পে এবং তার মানবিক কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাকে জমি প্রদান ও ঘর তৈরী করে দেবেন বলে ঘোষণা দেন।

সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী সবার উদ্দেশ্য বলেন, করোনা ভাইরাস শুধু আমাদের দেশে নয় সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা কাজ করছি। মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহবানে আমরা রাউজানের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গরীব, অসহায়, দুস্থ ও নিন্ম আয়ের মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছি।

সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে রাউজানে ৪০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষ যাতে কোনো সমস্যায় না পড়ে সেদিকে আমরা দৃষ্টি রাখছি। শুধু নিন্মবিত্ত নয় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর মধ্যে যারা এই পরিস্থিতিতে কষ্টে আছে আমরা তাদেরকেও সহায়তা প্রদান করছি।

করোনা পরিস্থিতিতে মানবিক কাজে দায়িত্বপালনরত যে সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী হাসপাতালগুলোতে জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে মানবসেবায় নিয়োজিত আছেন তাদের রমজানে সেহেরি খাওয়ানোর জন্য আমার পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী যে উদ্যোগ নিয়েছেন পিতা হিসেবে আমি তাকে নিয়ে গর্ববোধ করছি।

তার আহবানে সাড়া দিয়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ, সেন্ট্রাল বয়েজ, সোশ্যাল সার্ভিসেস ইউনিয়ন অব রাউজানসহ রাউজানের অনেক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেচ্ছায় কাজ করছে। সকলকে মানবিক কাজে এগিয়ে আসায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।

রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী সেচ্ছাসেবকদের সাথে একই কাতারে গিয়ে মানবিক কাজে অংশ নেওয়ার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাংসদের মানবিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

জাতীয় দৈনিক সংবাদের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান, রাউজানের নন্দীপাড়া নিবাসী সাংবাদিক নিরুপম দাশ গুপ্ত তাঁর ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, “বাংলাদেশে এই মূহূর্তে এ ধরনের কোনো মানবিক আয়োজন আর কোনো উপজেলা দূরে থাক, জেলাতেও হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না।’ মাদার তেরেসা বলেছিলেন, যে জীবন অপরের জন্য না, সেটি কোন জীবন না। সত্যিই তা উপলব্ধি করেছেন ফারাজ।”

২৪ ঘণ্টা/নেজাম উদ্দিন রানা/আর এস পি

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।