খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থ : মির্জা ফখরুল

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০, ৪:১৫ অপরাহ্ণ
সরকার করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থ : মির্জা ফখরুল

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৫ মে) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সমন্বয়হীনতা, অদূরদর্শিতা, অদক্ষতা, অযোগ্যতা, সিদ্ধান্তহীনতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা, চরম ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি ও জনগণের প্রতি জবাবদিহিতার প্রকট অভাব এ সঙ্কট গভীরতর করছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রুহের মাফেরাত কামনা করে তিনি বলেন, করোনার কারণে মৃত্যুর মিছিল একদিকে জনমনে বিভীষিকাময় আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে, অপরদিকে সরকারি অব্যবস্থাপনার কারণে তৈরি হয়েছে একটা দুর্ভিক্ষ অবস্থা। তার সাথে তথ্যের অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শিকার হচ্ছে নজিরবিহীন দমনপীড়নের। সারা দেশের মানুষ অস্থির এক যন্ত্রণায় ছটফট করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে ৩ মে নতুন করে ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে ৬৬৫ জন। উদ্বেগের কারণ হলো এর আগে এক দিনে এত মানুষ আক্রান্ত হওয়ার খবর মানুষ পায়নি। এর আগে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ৬৪১ জন। ৩ মে পর্যন্ত মোট মৃত্যু ১৭৭ জন। অন্যদিকে সুস্থ হওয়াদের সংখ্যা এক লাফে ১৭৭ থেকে বেড়ে ১০৬৩ জন দাবি করা হয়েছে। কীভাবে এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বেশি রোগী সুস্থ হলো তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির দেয়া নতুন গাইডলাইন অনুসরণ করা হয়েছে।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে রোগ পরীক্ষার মূল সমন্বয়ের দায়িত্ব থেকে আইইডিসিআরকে সরিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে দায়িত্ব দেয়ায় সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, হঠাৎ পরীক্ষার দায়িত্বে বড় পরিবর্তনকে ঝুঁকিপূর্ণ, পরিকল্পনার অভাব এবং সমন্বয়হীনতার জের বলে আখ্যায়িত করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে নতুন পরীক্ষায় দীর্ঘসূত্রতায় সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অস্বচ্ছতা ও এর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় খোদ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরাই প্রশাসনিক হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন,করোনা টেস্ট কিটসহ সরবরাহকৃত মালামালের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগ করায় কমপক্ষে ২টি হাসপাতালের পরিচালক দু’জন চিকিৎসককে ওএসডি বা বদলি করা হয়েছে। যদিও পরে সরকারি অনুসন্ধানেই সরবরাহকৃত মাস্ক, পিপিই ত্রুটিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত হয়েছে এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষমা চেয়েছে। তাহলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলো কেন? অথচ এসকল ত্রুটিপূর্ণ মাস্ক, পিপিই পরিধান করেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখ সমরে যুদ্ধে নামিয়ে দেয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ইতোমধ্যে করোনা চিকিৎসার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ৪১৯ জন ডাক্তার, ২৪৩ জন নার্স, ৩২৪ জন অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবাকর্মীসহ সর্বমোট ৯৮৬ জন কোভিড-১৯-এর নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন এবং দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন। অপরদিকে পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ন্যূনতম সুরক্ষা সামগ্রী নিয়েই সামনের সারিতে দেশের চিকিৎসক ও পুলিশ বাহিনী। কিন্তু করোনার ভয়াল থাবা তাদেরকে গ্রাস করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিকরা যখন ত্রাণ বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের খবর তুলে ধরছেন, তখনই সরকার তাদের গলা চেপে ধরছে। আবার সরকার করোনা সংক্রান্ত তথ্য জানার সুযোগ সাংবাদিকদের জন্য সীমিত করছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলার নামে সমালোচনাকারীদের কন্ঠরোধে ব্যবহার করা হচ্ছে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। প্রকৃত গুজব প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্নমত প্রকাশকারীদের ওপর খড়গহস্ত হচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, তথ্যের অধিকার, ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, সাংবাদিকদের প্রতি সহিংসতাসহ ২০টি ক্যাটাগরিতে ১৫৭টি ঘটনা পর্যবেক্ষণ ও রেকর্ড করা হয়। এসকল ঘটনায় আক্রান্ত, ভুক্তভোগী ও অধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন ১৭৪ জন। ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এমন আলোচিত ২৬টি ঘটনায় জড়িত ছিলেন ৪৫ জন যাদের সিংহভাগই সরকারি দলের সাথে সম্পৃক্ত। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মতপ্রকাশের কারণে মামলা হয়েছে ২৫ জনের নামে। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার ও জরিমানা করা হয়েছে ৫৪ জনকে।

শুরু থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে এক ক্ষমাহীন উদাসিন্য পরিলক্ষিত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রলয় এলে প্রলয় ঠেকাতে না পারলেও অন্তত আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করা অপরিহার্য। শুরুর দিকেই যারা দেশের বাইরে থেকে এসেছেন বিশেষ করে চীন, কোরিয়া, সৌদি আরব তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়টি সরকার নিশ্চিত করতে পারেনি। ওই সময় সরকারের মন্ত্রীরা যেসব গলাবাজি,

দম্ভোক্তি করে বেড়িয়েছে তাতেই বোঝা যায় তারা কতটা অযোগ্য ও অদূরদর্শী। তিনি বলেন, চীন ও কোরিয়ায় করোনার প্রকটতার সময় থেকে সরকার পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের যথেষ্ট সুযোগ পেয়েও কোনো কার্যকর প্রস্তুতি গ্রহণ না করেই বরং মিথ্যা ঘোষণা দিয়েছিল যে করোনা প্রতিরোধে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে যা পরবর্তীকালে ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা সঙ্কট প্রকট হলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি এমনকি ভারতসহ বিশ্বব্যাপী যখন কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয় তখন বাংলাদেশ সরকার কোনো লকডাউন ঘোষণা এবং গণপরিবহন বন্ধ না করে ২৬ মার্চ থেকে পাবলিক হলিডে ঘোষণা করে যা পরে কয়েক ধাপে বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে বিপর্যয় যা ঘটার ঘটে গেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ কাজে আসেনি। মানুষ দলে দলে গ্রামমুখী হয়েছে। সঙ্গে বেড়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। পরে তুঘলকি কান্ড ঘটানো হলো গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাজে যোগদানের নির্দেশনা দিয়ে। যতই বিজেএমইএ এবং সরকারের সমন্বয়হীনতার কথা বলা হোক না কেন, এ জন্য সরকার দায় এড়াতে পারে না।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্য ৫০০০ কোটি টাকার ঋণ প্যাকেজ ঘোষণা করা হলেও অধিকাংশ শ্রমিকই এখনো তাদের বেতন পায়নি অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শ্রমিকদের বেতন না পাওয়া এবং চাকরিচ্যুতির হুমকিতে অনেকেই দিশেহারা হয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অঘোষিত আংশিক লকডাউনের কারণে এই দেশের কোটি কোটি দিন আনে দিন খায় এ শ্রেণির দরিদ্র মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। আমাদের খেয়াল রাখা আবশ্যক যে, পশ্চিমা উন্নত দেশের মতো লকডাউন বা ছুটির ঘোষণা দিয়েই শ্রমিকদের বাড়িতে অবস্থান নিশ্চিত করা আমাদের মতো আর্থ-সামাজিক কাঠামোতে সম্ভব নয়। খাবারের নিশ্চয়তা না থাকলে ক্ষুধার্ত মানুষকে ঘরে ধরে রাখতে পারার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, সুষ্ঠুভাবে করোনা সঙ্কট মোকাবেলার জন্য সম্পদশালী রাষ্ট্র হওয়াটা জরুরি নয়। বৈশ্বিক অভিজ্ঞতার দেখা যায় যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তুলনায় ভিয়েতনাম, দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দেশ নেপাল, ভুটান এমনকি ভারতের কেরালা রাজ্যে তাদের আন্তরিকতা, দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং দরিদ্র মানুষের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে সরাসরি আর্থিক-মঞ্জুরি তুলে দেয়ার মাধ্যমে এ সাফল্য অর্জন করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি প্রথম থেকেই করোনা বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা ও নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারকে বলে আসছে। গত ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উপনির্বাচনগুলোকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের একটি উৎস বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশনকে তা স্থগিত করার আহবান জানিয়েছিল বিএনপি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিভিন্ন জনসচেতনামুলক কর্মসূচী বিএনপি গ্রহণ করেছিল। রাজধানীসহ দেশব্যাপী লিফলেট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বিতরণ করেছে। বিএনপির সহযোগী সংগঠন ড্যাব জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সাথে যৌথ উদ্যোগে ডাক্তার, নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যসেবী যারা এই করোনা যুদ্ধের ফ্রন্ট যোদ্ধা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। পিপিইসহ সাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম তাদের মধ্যে বন্টন করা হয়েছে। যা এখনো চলছে। পাশাপাশি টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে ড্যাবের ডাক্তাররা রোগীদেরকে টেলিফোনে চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে চলছেন। রাজধানীসহ দেশের প্রত্যস্ত অঞ্চলে কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে জরুরি খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ পর্যবেক্ষণ সেলের হিসেব অনুযায়ী বিএনপি নেতাদের থেকে ত্রাণ গ্রহণকারীদের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১২ লাখে পৌঁছেছে বলেও জানান তিনি।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।