খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাউজানের হরিসখান পাড়ায় কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৯ মে, ২০২০, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
রাউজানের হরিসখান পাড়ায় কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা

নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম):::সূর্যের প্রচন্ড তাপ ও গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তার উপর পবিত্র মাহে রমজানের রোজা। তপ্ত দুপুরে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম ও তাপদাহ উপেক্ষা করে চট্টগ্রামের রাউজান ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের হরিসখান পাড়ায় কামলা সংকটে মাঠে পাকা ধান ঘরে তুলতে না পারা কৃষক খোরশেদ আলমের ধান কাটতে মাঠে নেমেছেন রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের ধান কাটা কর্মসূচিতে উদ্বোধক হিসেবে তাদের সাথে ধান কাটায় যোগ দেন রাউজান পৌর প্যানেল মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ।

সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তীব্র গরমে মাঠে কাস্তে হাতে নিয়ে ধান কাটার পর আটি বেঁধে কাটা ধানগুলো মাথায় করে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দেন তারা।

নিজের জমিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের ধান কাটতে দেখে খুশীতে উজ্জল হয়ে উঠে কৃষক মোঃ খোরশেদ এর মুখ।

এ সময় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ ধান মাড়াইসহ অন্যান্য খরচের জন্য কৃষক খোরশেদকে পাঁচ হাজার টাকার অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।

রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, করোনা ভাইরাসের এই সংকটকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে, রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর পরামর্শে ও সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ একজন কৃষকের পাশে যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন এটি অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। এই ধরনের কর্মকান্ডের কারণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি দিন দিন সমুজ্জল হচ্ছে। এই ধরণের কর্মসূচিতে অংশ নিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।

দলীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কৃষকের ধান কাটা প্রসঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ বলেন, রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ও সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর আহবানে আমরা রাউজানে করোনাকালীন সময়ে কোনো কৃষক যাতে কষ্ট না পায় সে জন্য উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী প্রস্তুত আছি ।আজকে কৃষক খোরশেদ এর আহবানে আমরা উনার জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। রাউজানের কোথাও কোন কৃষক যদি কামলা অথবা অর্থের সমস্যার কারণে জমির ধান ঘরে তুলতে না পারেন আমরা খবর পেলেই নিজেদের উদ্যোগে কৃষকদের জমির ধান কেটে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেবো।

নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে কৃষক মোঃ খোরশেদ বলেন, আজকে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা আমার জমির ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। আমি খুব খুশী হয়েছি।আমি ওদের জন্য দোয়া করছি।

এ সময় ধানকাটা কর্মসূচীতে মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী পিবলু,মো. এখতেয়ার উদ্দিন মেম্বার, সহ-সভাপতি মনির তালুকদার, তানভীর হোসেন চৌধুরী, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসিফ, নাছির উদ্দিন, রাউজান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ,আকাশ বড়ুয়া রাজ, ইকবাল হোসেন ইমন,রিপন দাশ, জিসান, মো. সাফাত, রোমেন ম্যাক্স।কামলার অভাবে মাঠের ধান ঘরে তুলতে না পারা একজন কৃষকের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়ানোয় ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি আরো উজ্জল হলো প্রান্তিক জনপদে।

২৪ ঘণ্টা/এম আর/রানা

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।