খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াসংগঠকদের পাশে দাঁড়ালেন মেয়র

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০, ৬:১৪ অপরাহ্ণ
ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াসংগঠকদের পাশে দাঁড়ালেন মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ক্রীড়াবিদরা আমাদের গৌরব। তাঁরাই আমাদের দেশের সম্মান বিশ্ব দরবারে সমুন্নিত রাখে। দেশের পতাকা মেলে ধরে বিশ্ব দরবারে। এই দূর্দীনে আমরা ক্রীড়াবিদদের পাশে না দাঁড়ালে হারিয়ে যাবে আমাদের অনেক প্রতিভা। তাই ক্রীড়াঙ্গণকে বাঁচিয়ে রাখতে ক্রীড়াবিদ ও সংগঠনকে লালন করতে হবে।

তিনি বলেন, এই দূর্দিন হয়তো কেটে যাবে ততদিন পর্যন্ত খেলোয়াড়দেরকে আমাদের দেখভাল করা জরুরী। এই বিষয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন, ক্রীড়াঙ্গন বাঁচিয়ে রাখার জন্য যখন যা প্রয়োজন তিনি তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।

আজ শুক্রবার (১৫ মে) সকালে নগরীর এম.এ.আজিজ স্টেডিয়ামে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়া তিন শতাধিক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকের কাছে খাদ্যদ্রব্য উপহার সামগ্রী তুলে দেয়ার সময় মেয়র এসব কথা বলেন।

এসময় সিজেকেএস এর যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মশিউর রহমান, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ, এ কে এম আবদুল হান্নান, অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, জি এম হাসান, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ নাছির মিয়া, ডেরী গ্যান্ড লফ, সিজেকেএস কাউন্সিলর মো. সাইফুল আলম বাপ্পী, আবদুল হান্নান মিরন, মো. সালাউদ্দিন আহমদ, ক্রীড়া সংগঠক জাহেদ আমিন তারেক উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মেয়র আরো বলেন, করোনা মহামারিতে ক্রীড়াঙ্গন স্থবির হয়ে আছে। তাদের কথা বিবেচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে থেকে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনের অস্বচ্ছল ক্রীড়াবিদ ছাড়াও আমরা সাধারণ মানুষের কাছে উপহার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনাদের চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে রয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় আমরাও সবসময় আপনাদের পাশে থাকবো।

তিনি বলেন, আমরা বিজয়ের জাতি। যতই ঝড়-ঝাপটা আসুক, যাই আসুক না কেন আমাদরে সব সময় বিজয়ী জাতি হিসেবে একথা চিন্তা করে মাথা উঁচু করে চলতে হবে।

তিনি বলেন, জীবন কখনো অচল হযে থাকতে পারে না। রোজার মাসে অনেকেরই জীবন-জীবিকার প্রয়োজন রয়েছে সেজন্য সরকার কিছু কিছু জায়গা শিথিল করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি জায়গায় মানুষের কষ্ট দূর করতে আপ্রান চেষ্টা করছেন। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারের প্রত্যেককে আড়াই হাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদান, প্রবাসী বেকারদের ঋণ সহায়তা দিতে ২৫০০ কোটি টাকার তহবিল, ঈদের আগে মসজিদ মাদ্রাসায় উপহার বিতরণ, অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবস্থায় স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ২০১৯ সালের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কর্মসূচী চালু করেছে। এতে করে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে বলে মেয়র মন্তব্য করেন।

বেসরকারী সেবা সংস্থা আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পবিত্র কোরআন শরীফ বিরতণ
কোরআন তেলাওয়াতের সুযোগ করে দেওয়া উত্তম কাজ-মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, কোরআন তেলাওয়াতে ফজিলত বেশি। রহমত বর্ষনের পবিত্র এই রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াতের সুযোগ করে দেওয়া উত্তম কাজ। কোরআনের মধ্যে আছে রহমত ও বরকতের অফুরন্ত সম্ভার। যা দ্বারা মানুষের কল্যাণ ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়। আল্লাহ পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছেন যেন তা নিয়ে গবেষণা করে বাস্তবে আমল করা হয়। এই কোরআন বিজ্ঞানেরও এক রহস্যময় ভান্ডার। একজন মানুষের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য এই কিতাব সর্বোত্তম বিধান দান করে। আজ যারা পবিত্র কোনআন শরীফ পেয়েছেন তারা কোরআন শরীফ তোলোয়াত ও আমলে নিজেদের পরিশুদ্ধ করবেন বলে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসময় মেয়র নগরীর কোনো এতিমখানা কিংবা মাদ্রাসা পবিত্র কোরআন শরীফ পেতে আগ্রহী হলে, তাঁর সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান।

আজ বাদ জুমা এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বেসরকারী সেবা সংস্থা আল মানাহিল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৫ হাজার মুসল্লীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ কালে মেয়র এসব কথা বলেন।

এসময় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, মহানগর আওয়ামীলীগের মশিউর রহমান, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ নাছির মিয়া, সাংবাদিক মোহাম্মদ ফারুক, ক্রীড়া সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর চেয়াম্যান হেলাল উদ্দিন জমির জমির উদ্দিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন জমির উদ্দিন, পরিচালক শিহাব উদ্দিন জমির উদ্দিন, প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।