খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঙালি মাছের ঝোল এখনো মিস করি : পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ২০ মে, ২০২০, ৭:২৮ অপরাহ্ণ
বাঙালি মাছের ঝোল এখনো মিস করি : পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম

২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেটের ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবালের নিয়মিত ফেসবুক লাইভে যোগ দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম।

লাইভে তিনি বলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সাথে খেলাধুলার নানান স্মৃতিচারণ করেন তিনি। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, বাঙালি সেই মাছের ঝোল (ফিশ ব্রোথ) আমি এখনো খুব মিস করি।’

আজ ২০ মে, তামিম ইকবালের নিয়মিত ফেসবুক লাইভে পাকিস্থানি সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক তিন অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন, আকরাম খান ও খালেদ মাসুদ পাইলট।

এসময় ওয়াসিম আকরাম বলেন,তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেটে বাংলাদেশ দীর্ঘ পথ এগিয়েছে এবং অনেক উন্নতি করেছে। আমি (মিনহাজুল, আকরাম ও পাইলট) সাথে অনেক ক্রিকেট খেলেছি এবং অবশ্যই আমি তাদের খুব ভালো করে জানি।

আমি যখন আবাহনীর হয়ে বাংলাদেশে খেলি তখন তাদের সাথে খেলতাম, আমি তাদের বিপক্ষেও খেলেছি। মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমরা সবসময়ই খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। আমি যখন বাংলাদেশে ধারাভাষ্য দিতে আসি তখন তাদের সাথে আড্ডা দেই। বাংলাদেশ সবসময় আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি ছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে যাওয়া সবসময়ই সুন্দর ছিল। ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপুল উন্নতি আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। গত দশ থেকে ১২ বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। এখন, তারা বিশ্বের শীর্ষ দলের মতো খেলে। তোমার মতো (তামিম) অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে যেমন- সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান।’

তিনি বাংলাদেশের সাবেক তিন অধিনায়কের সাথে মজা করে বলেন, ‘তারা যখন বাংলাদেশের হয়ে খেলেন তখন তাদের ফিল্ডিং তেমন দুর্দান্ত ছিল না, তবে এখন বাংলাদেশের ফিল্ডিং সত্যই দুর্দান্ত। ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দলের একটি।’

১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেট অবকাঠামো তেমন উন্নত না থাকলেও ওয়াসিম ঢাকা লীগে আবাহনীর হয়ে খেলেন। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও ওয়াসিম বাংলাদেশে এসে খেলার কারণ জানতে চাওয়া ছিল তামিমের প্রথম প্রশ্ন।

ওয়াসিম বলেন, ‘প্রথমত আমি দেখতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশিরা ক্রিকেটে কেমন আগ্রহী। আর্থিক লাভের কোনো চিন্তা ছিল না। আমি এসেছি কারণ কয়েকজন বাংলাদেশি বন্ধু আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং তাদের কথার না করা অসম্ভব ছিল।

আমি আবাহনীর হয়ে প্রথম যখন খেলি (মিনহাজুল, আকরাম এবং পাইলট সবাই আমার সতীর্থ ছিল)। আমি দেখলাম দর্শকে মাঠ ভরে গেছে। আমি কখনই ভাবিনি যে বাংলাদেশে ক্রিকেটের এত উন্মাদনা।’

সতীর্থ মুশফিকুর রহিমের সাথে প্রথম ফেসবুক লাইভ শুরু করেছিলেন তামিম। আর তাতে যোগ দেয়া চতুর্থ বিদেশি ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব ছিলেন ওয়াসিম আকরাম। ফাফ ডু প্লেসি ছিল প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার, এরপর রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিও এই শোতে অংশ নেন।

তামিমের পরের লাইভ শোতে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সাথে কথা বলবেন। অনুষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় (বাংলাদেশ সময়) প্রচারিত হবে।

২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।