খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ ও বাণিজ্য প্রটোকলে ২য় সংযোজন স্বাক্ষর

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ২০ মে, ২০২০, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ ও বাণিজ্য প্রটোকলে ২য় সংযোজন স্বাক্ষর

বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার করে ট্রানজিট এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত একটি দীর্ঘস্থায়ী ও কালোত্তীর্ণ প্রটোকল রয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত এই প্রটোকল দু’দেশের মধ্যকার অভিন্ন ইতিহাস, বন্ধুত্ব, আস্থা এবং পারস্পরিক লাভজনক অংশীদারিত্বের প্রতিফলন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পাঁচ বছরের জন্য এই প্রটোকলটি নবায়ন করা হয়েছিল যাতে আরও পাঁচ বছর মেয়াদে এটির স্বয়ংক্রিয় পুনর্নবীকরণের বিধান রাখা হয় বিভিন্ন অংশীদারদের দীর্ঘমেয়াদী আশ্বাস প্রদানের জন্য।

২) প্রটোকল সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং নৌসচিব পর্যায়ের আলোচনা হলো প্রটোকলটিকে আরও কার্যকর করার জন্য দুই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা। ২০১৮ সালের অক্টোবরে নয়াদিল্লীতে এবং ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার বৈঠকে আলোচনার সময় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহজতর করা, প্রটোকল রুট সম্প্রসারণ, নতুন রুটের অন্তর্ভুক্তি এবং কল অফ পোর্ট ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রটোকলটিতে আজ দ্বিতীয় সংযোজন স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করা হয়েছে। উভয়পক্ষের দ্বারা সম্মত নির্দিষ্ট বিষয়গুলি নিচে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

(ক) রুটসমূহ: ইন্দো-বাংলাদেশ প্রটোকল (আইবিপি) রুটের সংখ্যা ৮ থেকে বাড়িয়ে ১০ করা হচ্ছে এবং বিদ্যমান রুটে নতুন স্থানও যুক্ত করা হয়েছে: –
১. গোমতী নদীর সোনামুড়া-দাউদকান্দি (৯৩ কিমি) আইবিপির ৯ম ও ১০ম রুট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি ত্রিপুরা এবং সংলগ্ন রাজ্যগুলির সাথে ভারত-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলির যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে এবং উভয় দেশের নদী-দূরবর্তী অঞ্চলেও সহায়তা করবে। এই রুটটি ১ থেকে ৮ পর্যন্ত বিদ্যমান অকল আইবিপি রুটকে সংযুক্ত করবে।

২. রাজশাহী-ধুলিয়ান-রাজশাহী রুটগুলো পরিচালনা এবং আরিচা (২৭০ কিমি) পর্যন্ত সম্প্রসারণ বাংলাদেশের অবকাঠামো বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে কারণ এই পথ দিয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে পাথর পরিবহণসহ সামগ্রিক পরিবহণ ব্যয় হ্রাস পাবে। এছাড়াও, এটি উভয় দেশের স্থল বন্দরগুলোর উপর চাপ কমাবে।
৩. ১ ও ২নং [কলকাতা-শিলঘাট-কলকাতা] রুটের পাশাপাশি ৩ ও ৪ নং [কলকাতা-করিমগঞ্জ-কলকাতা] রুটে ভারতের কোলাঘাট যুক্ত করা হয়েছে।

৪. ৩ ও ৪ নং [কলকাতা-করিমগঞ্জ-কলকাতা] এবং ৭ ও ৮ নং [করিমগঞ্জ-শিলঘাট-করিমগঞ্জ] রুট ভারতের বদরপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এই রুটে বাংলাদেশের ঘোড়াশালও যুক্ত হয়েছে।

(খ) পোর্ট অফ কল সমূহঃ বর্তমান প্রটোকলের অধীনে বিদ্যমান ছয়টি পোর্ট অফ কল হলোঃ ভারতের কলকাতা, হলদিয়া, করিমগঞ্জ, পাণ্ডু, শিলঘাট এবং ধুবড়ি এবং বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, মংলা, সিরাজগঞ্জ, আশুগঞ্জ ও পানগাঁও। ভারতের পক্ষ থেকে নতুন যুক্ত হওয়া পাঁচটি বন্দর হলো: ধুলিয়ান, মাইয়া, কোলাঘাট, সোনামুড়া এবং যোগিগোফা এবং বাংলাদেশের বন্দরগুলো হলো: রাজশাহী, সুলতানগঞ্জ, চিলমারী, দাউদকান্দি এবং বাহাদুরাবাদ। এছাড়াও, এই সংযোজনের মাধ্যমে ভারতের ত্রিবেলি (ব্যান্ডেল) ও বদরপুর এবং বাংলাদেশের ঘোড়াশাল ও মুক্তারপুর এই দু’টি বন্দর সম্প্রসারণের ফলে দুই দেশের পোর্ট অফ কল ও সম্প্রসারিত পোর্ট অফ কলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এগারটি ও দুইটিতে।

নতুন পোর্ট অফ কল হিসেবে যোগিগোফা (ভারত)এবং বাহাদুরাবাদ (বাংলাদেশ) এর অন্তর্ভুক্তি মেঘালয়, আসাম এবং ভুটানকে সংযুক্ত করবে। যোগিগোফাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কারণ সেখানে একটি মাল্টিমোডাল লজিস্টিক পার্ক স্থাপনের প্রস্তাব রয়েছে। নতুন কল অফ পোর্টগুলি ইন্দো-বাংলাদেশ প্রটোকল রুটে পরিবহণ করা কার্গো লোডিং এবং আনলোডিং করতে সক্ষম হবে যা দুইদেশের অর্থনৈতিক বিকাশে গতি সঞ্চার করবে।

(গ) অগভীর নৌযান চলাচল: উভয় পক্ষই চিলমারী (বাংলাদেশ) এবং ধুবরির (ভারত) মধ্যে অগভীর নৌযান ব্যবহারের মাধ্যমে বাণিজ্য প্রবর্তন করতে সম্মত হয়েছে, তবে প্রটোকলের ১.৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নৌযানগুলি অভ্যন্তরীণ বাংলাদেশের নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ বা ভারতের ইনল্যান্ড ভ্যাসেলস অ্যাক্ট, ১৯১৭ এর অধীনে নিবন্ধিত হতে হবে এবং সুরক্ষার শর্ত পূরণ করতে হবে। এই উদ্যোগের ফলে পাথর এবং অন্যান্য ভুটানিজ ও উত্তর-পূর্ব কার্গো বাংলাদেশে রপ্তানি হবে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবসায়ীদের সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে বাংলাদেশের স্থানীয় অর্থনীতি এবং আসামের নিম্নাঞ্চলে উন্নতি ঘটাবে।

(ঘ) কার্গো চলাচলের নতুন সুযোগসুবিধা: এই প্রটোকলের আওতায় উভয় দেশের অভ্যন্তরীণ নৌযানগুলি নির্ধারিত প্রটোকল রুটে চলাচল এবং দুই দেশের পোর্ট অফ কল-এ নোঙর করে পণ্য উঠা-নামা করতে পারে। প্রটোকল রুটে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ট্রানজিট কার্গো এবং বাংলাদেশে রপ্তানি কার্গো চলাচলে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ভারতীয় ট্রানজিট কার্গোর পণ্যসমূহ হলো মূলত উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য কয়লা, ফ্লাই-অ্যাশ, পিওএল এবং ওডিসি। চলাচলের অন্যান্য সম্ভাব্য কার্গো পণ্য হলো সার, সিমেন্ট, খাদ্যশস্য, কৃষিপণ্য, কন্টেইনার কার্গো ইত্যাদি। ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি কার্গো মূলত ফ্লাই-অ্যাশ যা প্রতি বছর ৩০ লক্ষ মে.টন। প্রায় ৬৩৮টি অভ্যন্তরীণ নৌযান (৬০০ বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজসহ) বার্ষিক প্রায় ৪০০০ যাত্রা সম্পন্ন করে।

আশা করা যায়, প্রটোকলে এই সংযোজনগুলি ব্যবসায়ীদের এবং উভয় দেশের জনগণের জন্য নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি ও এবং ব্যয় সংকোচনের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।

বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এবং সদ্য সংযুক্ত প্রটোকল রুটের মাধ্যমে যোগাযোগ উভয় দেশের বাণিজ্য ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য অর্থনৈতিক, দ্রুত, নিরাপদ এবং দূষণমুক্ত পরিবহণ ব্যবস্থায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং এই অঞ্চলের পরিবেশগত সুবিধাও পাওয়া যাবে।

বুধবার (২০ মে) ঢাকায় ভারতের পক্ষে হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ এবং বাংলাদেশের পক্ষে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত প্রটোকলের ২য় সংযোজনটি স্বাক্ষর করেন।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ও টি২০ থেকে আগেই অবসর নেওয়ায় শুধু ওয়ানডে খেলতেন ৩৯ বছর বয়সী এ ব্যাটার। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ঘোষণায় ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বললেন তিনি। তাঁর ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হলো- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে।’

আগের দিন মঙ্গলবার জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি এ দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মার্চ মাস থেকে চুক্তিতে না রাখার অনুরোধ করেছেন মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলায় এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাবেন তিনি। ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম মার্চ থেকে অবনমিত হবেন ‘বি’ ক্যাটেগরিতে। মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা না দিলেও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ হতে পারে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছেন না।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার আগে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজাও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। মাশরাফি আনুষ্ঠানিক বিদায় না বললেও তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশফিক।

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।