খুঁজুন
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাযুদ্ধ: মানুষ আপনাদের জন্য শুভ কামনা করুক

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ মে, ২০২০, ৮:৫২ অপরাহ্ণ
করোনাযুদ্ধ: মানুষ আপনাদের জন্য শুভ কামনা করুক

প্রদীপ চৌধুরী:গোটা পৃথিবীই বলা চলে ঘোরতর বিপদে। মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের অদৃশ্য হানায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও সমূহ সংকটে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিশেবে বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র যতোটা সক্ষমতা আছে, তার সবটা দিয়েই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে চলেছে।

রাজনৈতিক বোঝাপড়া, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার অতীত অভিজ্ঞতা, দক্ষ জনবল, অপেক্ষাকৃত অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকলে বর্তমান বাস্তবতায় হয়তো আর একটু ভালো পারফর্ম করা যেতো। তারপরও দেশের বিশেষ করে সরকারি-বেসরকারি গবেষক, সরকারি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জীবনবাজি রেখে যা করছেন, তা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। যে পুলিশ সদস্যদেরকে আমরা কথায় কথায় নানা নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করি, যে চিকিৎসকদের পেশা ও সেবা নিয়ে নানা সমালোচনা করি; আজকের করোনা অকালে তাঁরাই আমাদের সবচেয়ে নির্ভরতার ঠিকানা।

এখন পর্যন্ত মাঠ প্রশাসনে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশ এবং চিকিৎসা সেবার সাথে সংশ্লিষ্টরাই। অনাকাঙ্খিত অকাল মৃত্যুর কাছে হেরে চলেছেন এখনো।

করোনার দুর্যোগের প্রথম থেকে কোন প্রকারের সুরক্ষা ছাড়াই নিজের জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এই জাতির জন্য যা করে চলেছেন; তার ঋণ জাতি শোধ করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।

একজন পেশাদার সংবাদকর্মী হিশেবে বাসায় যতোক্ষণ থাকি ততক্ষণই হয় টেলিভিশন নয় অনলাইনে দেশ-বিদেশের খবরের দিকেই আমার মনোযোগ থাকে বেশি। যখন একজন চিকিৎসক ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে কোন মানবিক প্রতিবেদন দেখি বা পড়ি, সত্যিই তখন চোখে জল এসে যায়। একজন সন্তান সম্ভবা নারী চিকিৎসক, একজন দুধের শিশুকে ঘরে রেখে দিনের পর দিন হাসপাতাল আর হোটেল কোয়ারেন্টিনে কাটিয়ে দেয়া জীবনের কথা কী ভাবা যায়?

আর এসব মানুষকে এই রোজার মাসেও অনেক নিষ্ঠুর বাড়িওয়ালা ও প্রতিবেশীর হাতে চরম নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে।
যখন দেখি করোনায় আক্রান্ত স্বজনকে নিজের সন্তানরাই ছুঁড়ে ফেলছেন, সৎক্রিয়া দূরে থাক, হাসপাতাল থেকে মরদেহ গ্রহণ করার মতো কেউ থাকে না; তখন তো সবার আগে ছুটে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরাই।

ঝড়-বৃষ্টি-রোদ্দুর মাথায় নিয়ে রাতদিন খোলা আকাশের নিচে দায়িত্ব পালনকারী এসব মানুষ আমাদেরই কারো না কারো স্বজন। তাঁদেরও মা-বাবা-সন্তানসহ আমার আপনার মতো পরিবার সমাজ আছে। রক্ত-মাংসের প্রাণি হিশেবে তাঁদেরও পারিবারিক-সামাজিক অনুভূতি আছে।শুধু কী একটি ডিউটি! নাহ. পুুলিশকে সামাল দিতে হচ্ছে অনেকটা ‘জুতা সেলাই থেকে চন্ডী পাঠ পর্যন্ত’।

দেশের সবচেয়ে পয়সাওয়ালা গরিব ‘গার্মেন্টস মালিক’-দের কারো কারো অমানবিক শ্রমিক শোষণের ফলে সৃষ্ট ক্ষতগুলোও উপশম করার দায়িত্ব নিতে হচ্ছে সেই পুলিশকেই। এতোসব দায়-দায়িত্বের বাইরেও পুলিশ বাহিনী দেশে করোনাকালে ত্রাণ কার্যক্রমেও দেখিয়েছে অন্যরকম উদারতা।

জনপ্রতিনিধি-রাজনীতিক-শিল্পপতি আর কর্পোরেট হাউজের মালিকরা (সবাই নয়) যেখানে করোনাকালে করুণার এক অস্বস্তিকর ‘ফটোশেসন’-এ ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন. তখন পুলিশের বিশেষায়িতসহ সবকটি ইউনিট মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে নিরেট মানবিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই।

এদেশের বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি (বিশেষ করে মাননীয় সংসদ সদস্য) নিজ এলাকায় কখন আসছেন আর কখন যাচ্ছেন; সেটি সাধারণ জনগণ জানতেই পারছেন না। অনেকে এলাকায় থাকলেও জনগণের পাশে কতোটা আছেন. তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে মূল ধারার গণমাধ্যমগুলোতে।
আর এসব কারণেই দেশে পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের অন্য এক ভালোবাসার নাম উচ্চারিত হচ্ছে ‘মানবিক পুলিশ’।

দেশের এই দুর্যোগে সরকার একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটি হলো পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হবার আগেই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী মাঠে নামিয়ে। যেকোন দেশেতো বটেই অধিকন্তু আমাদের দেশে যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী সক্ষমতা ও দক্ষতা বর্হিবিশ্বেই স্বীকৃত। করোনাযুদ্ধে সেটি আরো একবার প্রমাণ হতে চলেছে।

সারাদেশে মাঠে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজেদের অর্থায়নে সেনাবাহিনীর ব্যতিক্রমী ‘এক মিনিটের বাজার’ অভাবী মানুষের দারুণ আস্থা অর্জন করেছে।

আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক হোক আর সামরিক। সব শাসনামলেই জনগণের কাছে সবচেয়ে বেশি জবাবদিহিতার মুখোমুখে হতে হয় সিভিল প্রশাসনকে। এবারও কোনো জানি সরকার জনপ্রতিনিধির চেয়ে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপরই বেশি ভরসা রেখেছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এখন পর্যন্ত সবকটি ভিডিও কনফারেন্সে তার প্রতিফলনই দেখতে পেয়েছেন দেশবাসী। এই উদ্যোগটিও সাধারণ মানুষ বেশ ভালোভাবেই নিয়েছেন। তবু দেশের অনেক জনপ্রতিনিধি (মাননীয় মন্ত্রী- সংসদ সদস্য -সিটি মেয়র-জেলা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান-পৌর মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান) নিজের এলাকার মানুষ-দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী সক্রিয় আছেন। যাঁরা সক্রিয় আছেন-ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন; তাঁদের প্রতি মানুষের শুভ কামনা বাড়বে বৈই কমবে না।

আমার নিজের পেশার কলম সৈনিকরা যাঁরা এরিমধ্যে অকালে পরপারে চলে গেলেন. তাঁদের আত্মার সদগতি কামনা করা ছাড়া তো আর কিছুই দিতে পারবো না। কিন্তু যাঁরা এখনো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সংবাদ ক্ষুধা, পাঠকের সংবাদ চাহিদা মেটাতে নিরন্তর পথ পাড়ি দিচ্ছেন… নিশ্চয়ই মানুষ তাঁদেরকেও মন থেকে শুভ কামনা জানাবেন।

সবশেষে একটি আবেদন, এই লেখার যাঁদের চোখে পড়বে তাঁদের প্রতি। আপনি যেই ধর্মের অনুসারী হোন নিশ্চয়ই সপ্তাহের-দিনের কোন না কোন সময় একটু হলেও পরম সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করেন। আর রাত পোহালেই তো পবিত্র ঈদের নামাজ। পবিত্র কোরান শরীফে রোজার মাসকে ‘রহমত-ফযিলতের মাস’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই বাংলার কোটি কোটি মানুষ পুরো একটি সংযম সাধন করে কাটিয়েছেন। দেশের প্রতিটি মসজিদে কোটি কোটি হাত পাতা হবে পরম দয়ালের কাছে রহমত-বরকতের জন্য।

সেই প্রার্থনার উছিলায় দেশের করোনা যোদ্ধাদের জন্য সৃষ্টিকর্তার সামান্যতম করুণাও যদি মেলে তাহলেই আমরা সবাই ভালো থাকবো। ভালো থাকবে স্বদেশের জীবনবাজি রাখা করোনা যোদ্ধা ও তাঁদের প্রিয়তম স্বজনরা।

এই মুর্হুতে আমি-আপনি কোন ধর্মাবলম্বী সেটার চেয়ে বড়ো পরিচয় হোক, ‘আমরা সবাই মানুষ, একই রক্তমাংসে এক সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি’।

আর যাঁরা আমাদের বাঁচাতে অকালে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এবং এখনো যাঁরা জীবনের নিশ্চিত ঝুঁকি জেনেও আমাদের পাশে আছেন; তাঁদের জন্য সম্মিলিতভাবে পরম দয়ালের কাছে শুভ কামনা চাইছি।

প্রদীপ চৌধুরী: খাগড়াছড়ির সংবাদকর্মী।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।