খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ কি মৃত্যুপুরীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে?

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ কি মৃত্যুপুরীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে?

অ আ আবীর আকাশ:খুব দ্রুতই বুঝি বাংলাদেশ মৃত্যুপুরীতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে? মানুষের হেয়ালিপনায় মহামারী ভাইরাস ঝড়ের বেগে ছুটছে। করোনা জাল বিস্তার লাভ করছে দেশের আনাচে-কানাচে, পল্লী-গ্রাম-গঞ্জের পরতে পরতে,চর- চরাঞ্চল, নদীতে বসবাস করা বেদে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। কোন শ্রেণি-পেশার মানুষ বাদ যাচ্ছে না এই ছোঁয়াচে বালাই থেকে। চরম দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে ঈদ-উল ফিতরের দিনেই খবর এসেছে একদিনে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এই ঘাতক ভাইরাসের সংক্রমিত হয়ে। মহান আল্লাহর রহমত ছাড়া আর কোন উপায় নেই। করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে মর্মে প্রতিদিনই খবরে আসতে থাকে। এদেশ ওদেশ করে প্রকৃতপক্ষে এখনো চূড়ান্ত প্রতিষেধক কোন দেশেই আবিষ্কৃত হয়নি। তবে আভাস যে হারে আসছে তাতে করে খুব শিগগিরই আশা করা যাচ্ছে যে এ প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হবেই ইনশাল্লাহ।

অতীতে এরকম বহু প্রাণঘাতী ভাইরাস ছিল, তার সবগুলো ভাইরাস এখন মূল্যহীন হয়ে পড়েছে প্রতিষেধক আবিষ্কারের মাধ্যমে। আল্লাহর রহমতে বিশ্বের সব নামিদামি গবেষণাগারেই রাতদিন করে এই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের নিরন্তর প্রয়াস চলছে।

সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রশাসনিক নির্দেশনা মেনে চলার মন ও মানসিকতা আমাদের হারিয়ে গেছে। তবে কেন তা বোঝা যায় না। তাহলে কি আমরা চোখের সামনে চরম অবহেলায় আত্মীয়-স্বজনদের মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তী চরম অবহেলা দেখতে যাচ্ছি? পরম আপন জনের মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত প্রকাশ না করে আতঙ্কের মাধ্যমে দিনযাপন করতে যাচ্ছি? আমাদের মন-মানসিকতা ভালোবাসা স্নেহ মায়া-মমতাকে বিসর্জন দিয়ে দিনকে দিন পাথরে পরিণত হতে যাচ্ছি? তবে কি হবে আমাদের! কি হবে পরিবার-পরিজনের? কি হবে সমাজ ব্যবস্থার? কি হবে রাষ্ট্রব্যবস্থার? এর থেকে উত্তরণের পথ কী আমাদের জানা আছে?

একদিকে যেমন জনগণ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না, কোন বাধা, নিষেধ মানতে চায় না অপরদিকে সরকার ব্যবস্থায় যেসব নির্দেশনা দেয়া হয় তা জনগণের মাঝে তেমন একটা প্রয়োগ হতে দেখা যায় না। যেমন লকডাউন দিনে কোনরকম থাকলেও রাতে তেমনটা মানা হয়না। হোম কোয়ারেন্টিন মানা হয়না। ঘরে থাকে না, জনগণ দলাদলি-জমায়েত, দোকানপাট, প্রকাশ্যে চলাফেরা, কোনটাই ঠেকানো সম্ভব হচ্ছেনা। আইন-কানুন যেমন মানা হচ্ছে না তেমনি চলাফেরা স্ববিরোধী হওয়াতে নিজের বিপদ, পরিবার-পরিজনের বিপদ, পরম আপনজনের বিপদ হাতে ধরে নিজেরাই আনছে ডেকে। এতে করে অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হবে! স্বাধীনতার সময়ে পশ্চিমাদের হামলায় এদেশে মানুষের মৃত্যু হয়েছিল নির্বিচারে পাখির মতো, লাশের পর লাশ পড়েছিল, কবরস্থ করার কেউ ছিলনা। শেয়াল কুকুরের আহারে পরিণত হয়েছিল মানুষ! আমরা কি সেরকম পরিস্থিতির দিকে অগ্রসর হচ্ছি?

শপিং মল মার্কেট দোকানপাট খোলার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা শিথিল করার সিদ্ধান্ত খুবই বিপদজনক হয়েছে। যে বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে এমন সিদ্ধান্ত শিথিল করা হয়েছে তা মোটেও সঠিক হয়নি। গার্মেন্টস মালিক সমিতির চাপে হোক বা শিল্পপতিদের চাপেই হোক এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা সরকারের ঠিক হয়নি। ২৪ ঘন্টায় যেখানে পুরো দেশে প্রায় শ’খানেক করোনা শনাক্ত হতো সেখানে গার্মেন্টস শপিংমল মার্কেট খোলার সাথে সাথেই দুই হাজার ছাড়িয়ে যায় করোনা শনাক্ত রোগী।এ বড় খারাপ খবর নিঃসন্দেহে।

পুঁজিবাদ সুদি ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের আরো মোটা লাভের জন্য লকডাউন শিথিল করে আপামর জনসাধারণকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে বৈকি। এর প্রতিবাদ করার ক্ষমতা কারোর নেই এই দুঃসময়ে। তবে কেউ কেউ হয়তো বিষয়টি টের পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বোধহয়।

ঈদের ছুটি ঘোষণা করে সরকারি সিদ্ধান্ত এসেছে গণপরিবহন বন্ধ তবে ব্যক্তিগত পরিবহনে মানুষ বাড়ি যেতে পারবে। এ সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে এইজন্য, যে মন্ত্রী বলেন -‘ নিজস্ব পরিবহনে বাড়ি যাওয়া যাবে তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।’ অপরদিকে পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ বলেছেন -‘ কেউ যেন ঈদের ছুটিতে বাড়ি না যায়। যে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে।’ তবে কার নির্দেশনা মানবে জনগণ?

অপরদিকে বড় দুঃখ জাগিয়েছে মানুষের হৃদয়ে। অর্থাৎ শ্রমজীবী অসহায় মানুষগুলো এসব সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। ধনীরা নিজস্ব গাড়ী হাঁকিয়ে অসহায় মানুষের চোখে মুখে ধুলো উড়িয়ে গ্রামে যাবে শরীর জুড়াতে, ছেলেমেয়ে মা-বাবা ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজনের কাছে যেতে না পেরে শ্রমজীবী অসহায় মানুষেরা হাঁসফাঁস করবে, নিজেকে ধিক্কার দেবে ‘কেন তারা গরীব হয়ে জন্মেছে’? এই কি তবে দেশ? এই কি তবে রাষ্ট্রব্যবস্থা? যাদের নিজস্ব গাড়ি আছে তারাই বাড়ী যাবে যাদের নেই তারা যেতে পারবেনা গ্রামে। প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় সরকারের ভেতরে এমন সিদ্ধান্ত কে দিয়েছেন ও কেমন করে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তিনি? সাধারণ মানুষের কথা একটুও ভাবেননি। তিনি কি বাংলাদেশে কতজন মানুষের গাড়ি আছে তার হিসাব রাখেন?

এই বিষয়ে একটা গল্পের কথা মনে পড়ে। এক রাজ্যের রাজা ও মন্ত্রীর কথার সাথে মিলে যায় এমন সিদ্ধান্তগুলো। রাজা তার মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন -‘মন্ত্রী আপনি তো রাজ্যের সকল কিছুর হিসেব রেখেছেন ঠিকঠাক? মন্ত্রী মাথা নাড়িয়ে জবাব দিলেন -‘জি হুজুর’। রাজা প্রশ্ন করলেন তাহলে বলুনতো -এ রাজ্যে কতগুলো পাখি আছে? মন্ত্রী খানিকটা থ বনে গেলেন। চতুর মন্ত্রী পরক্ষণেই সরব হয়ে বলে উঠলেন -‘সে হিসেবেও আমি দেখেছি হুজুর,আপনার রাজ্যে বেতাল্লিশ হাজার তেতাল্লিশ’শ চোতাল্লিশটি পাখি আছে। এর চেয়ে একটা কম হলে বুঝবেন অন্য এলাকায় বেড়াতে গিয়েছে আর একটা বেশি হলে বুঝবেন অন্য এলাকা থেকে এলাকায় বেড়াতে এসেছে।’

এমন চতুর মন্ত্রী বাংলাদেশে অনেকেই রয়েছেন। মুক্তমত প্রকাশে সেসব মন্ত্রী সবসময় বাধা হয়ে দাঁড়ান। তারা আইনজারি করেন একের পর এক। গলা টিপে ধরেন মুক্তমনাদের, যেন দ্বিতীয় কেউ আর সাহস না করে মত প্রকাশে।

হোম কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন শব্দ দুটো করোনাভাইরাস এর সাথে নতুন করে বাংলাদেশের মানুষ শুনতে শুরু করেছে। এর আগে বোধ হয় এত প্রচলিত ছিল না। আগে অনেক কলামে আমি এ শব্দদুটো নিয়ে বলেছি। বাঙালি শব্দ-দু’টো তেমন বোঝেনা। না বুঝলে দেশে করোনা ভাইরাস ছড়াবে দ্রুত গতিতে। সত্যিই, তাই হয়েছে। বাঙালিকে বোঝাতে হলে কারফিউ জারি করতে হবে। অনির্দিষ্টকালীন সময়ের জন্য যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে তেমনি করে গার্মেন্টস শপিং মল মার্কেট কল কারখানা সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করে দেশে কি পুরো এক মাসের জন্য কারফিউ জারি করা যাবে না? যদি পুরো একমাস কারফিউ জারি করা যায় তাহলে শীঘ্রই করোনা শনাক্ত শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। এক মাসের আহারের অভাবে কোন ব্যক্তি মারা যাবে না। কমবেশ সবার ঘরেই অন্তত এক মাসের খাদ্য মজুদ আছে। যদি নেহাত প্রয়োজন হয় প্রশাসনকে জানালে তা যদি ব্যবস্থা করা যায়, আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ করোনা পূর্বের পরিবেশে ফিরে যেতে পারবে। মানুষ না খেয়ে থাকতে রাজি তবু পুঁজিবাদের লালসায় গার্মেন্টস কলকারখানা শপিং মল খুলে চরম অবহেলায় দুর্ভাগ্য নিয়ে মরতে চায় না।

লেখক : কবি প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট ও সাংবাদিক।
সম্পাদক : আবীর আকাশ জার্নাল
২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।