খুঁজুন
সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিরসরাইয়ের আলমগীর রোটারি ক্লাব অব চিটাগং হিলটাউনের সভাপতি নির্বাচিত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৬ জুন, ২০২০, ২:২১ অপরাহ্ণ
মিরসরাইয়ের আলমগীর রোটারি ক্লাব অব চিটাগং হিলটাউনের সভাপতি নির্বাচিত

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ের কৃতি সন্তান ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প অপকা’র ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো: আলমগীর আগামী এক বছরের জন্য রোটারি ক্লাব অব হিলটাউনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুন) অনুষ্ঠিত রোটারি ক্লাব অব চিটাগং হিলটাউনের বোর্ডসভায় ক্লাব ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলমগীরকে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী রোটাবর্ষের(২০২০-২০২১)সভাপতি নির্বাচন করা হয়।

তিনি আগামী ১ জুলাই থেকে ৩০জুন পর্যন্ত (একবছর) এ ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

রোটারি ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি, জেলা গভর্নর, ক্লাব সভাপতি-সেক্রেটারিসহ সকল পদের মেয়াদ একবছর।

সমাজউন্নয়ন সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর দ্য পুওর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্ট(অপকা)’র প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক রোটারিয়ান মোহাম্মদ আলমগীর আমজনতার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

চাকরি-বাকরি ছাড়াও জীবনে প্রতিষ্ঠালাভের নানান পথ রয়েছে। আত্মপ্রত্যয় ও ইচ্ছাশক্তি থাকলে শুধু নিজেকে প্রতিষ্ঠা নয়, সমাজউন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নয়নে যে অবদান রাখা যায় মাতৃভূমির সীমানা ডিঙ্গিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও নিজেকে তোলে ধরা যায়-তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অপকা’র স্বপ্নদ্রষ্টা রোটারিয়ান মোহাম্মদ আলমগীর।

দীর্ঘসময় ধরে সমাজউন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে একজন সফল এনজিও ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছেন। দারিদ্র্য বিমোচন, নিরক্ষরতা দূরিকরণ, বনায়ন, বেকারসমস্যার সমাধান,প্রতিবন্ধী ও উপজাতি লোকজনের অবস্থার উন্নয়ন, ধূমপান ও মাদকতাবিরোধী অভিযান, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, ক্রীড়াসহ বিভিন্ন সমাজউন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলমগীরের হাতেগড়া সংগঠন অপকা এ দেশে বিশেষকরে মীরসরাইসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের আপামর জনগণের মধ্যে শক্তিশালী অবস্থান করে নিয়েছে।

বহু দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত সহায়হীন মানুষ আলমগীরের স্বপ্নের কাছে নানানভাবে ঋণী।

অপকা এখন শুধু একটি সংগঠনের নাম নয়, সামাজিক বিপ্লবের সমার্থক শব্দ হিসেবে জনমনে ঠাঁই করে নিয়েছে।

কালক্রমে অপকা আর আলমগীর এখন একাকার ; আলমগীর এখন শুধু ব্যক্তিবিশেষ নন, প্রতিষ্ঠান।

এদিকে রোটারিয়ান আলমগীর তাঁর জন্মস্থান মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গা ঘেঁষে কয়েককোটি টাকা ব্যয়ে মীরসরাই অটিজম সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। মানবতাবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল এ মহতি উদ্যোগকে সক্রিয় সমর্থন জানিয়েছে। এ বিশাল প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্যে রোটারিয়ান মোহাম্মদ আলমগীর নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

রোটারিয়ান আলমগীর ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ হাজ্বীস্বরাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।বাবা মরহুম সফিউল্যাহ মা জরিনা বেগম। ৩ ভাই ও ১বোনের মধ্যে আলমগীর দ্বিতীয়। তিনি স্থানীয় উত্তর হাজীস্বরাই নিরদাসুন্দরী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি (১৯৮৬) বিজ্ঞানে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।নিজামপুর কলেজ থেকে এইচএসসি (১৯৮৮) ও বিএসএস (১৯৯০) ও চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এমএসএস (১৯৯৫) ডিগ্রি লাভ করেন।

রোটারিয়ান আলমগীর মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমিটি’র উপদেষ্টা, মিরসরাই কবিতা পরিষদের পৃষ্টপোষক, মিরসরাই উপজেলা সৌহার্দ্য সমন্বয় কমিটির সদস্য-সচিব, চট্টগ্রাম পিইইআর এর টীমলিডার, সিএএইচডি নেটওয়ার্কএর মহাসচিব, উত্তর হাজিস্বরাই জামে মসসিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য, মিরসরাই সড়ক যোগাযোগ ও নিরাপত্তা কমিটি, উপজলা জন্মনিবন্ধন টাক্সফোর্স, মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রম, উপজেলা প্রতিবন্ধী ও এসিডদগ্ধ কমিটি উপকূলীয় বনায়ন কমিটির সদস্য।

এছাড়া তিনি বারইয়াহাট জন্মনিবন্ধন টাক্সফোর্স, মিরসরাই উপজেলা স্যানিটেশন কমিটি, দুর্নীতি দমন কমিটি ও বারইয়াহাট ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য।অন্যদিকে তিনি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক ম্যাগাজিন ‘উন্নয়ন’ এর সম্পাদক ও মিরসরাই বার্তা’র ম্যানেজিং পার্টনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যক্তিগতজীবনে আলমগীর এককন্যা ও একপুত্র সন্তানের জনক। সহধর্মিনীর নাম নুরসাত জাহান কলি। তাদের মেয়ে ইসরাত জাহান আকিকা আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ ফার্স্ট সেমিস্টার-এ আর ছেলে মুহাম্মদ আহনাফ আবরার ইস্পাহানি স্কুল এন্ড কলেজে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

রোটারিয়ান আলমগীর ভারত, নেপাল, জাপান, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, জার্মানী, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করেন।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।