খুঁজুন
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার করোনা হেল্প ডেস্ক মেডিক্যাল টীম চালু করলেন ফারাজ করিম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ জুন, ২০২০, ১০:১৬ অপরাহ্ণ
এবার করোনা হেল্প ডেস্ক মেডিক্যাল টীম চালু করলেন ফারাজ করিম

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:কখনো মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী। কখনোবা ভ্যানে করে পাঠিয়েছেন মাছ ও শাকসবজি। ১০০ জন ডাক্তারের সমন্বয়ে চালু করেছিলেন টেলি-মেডিসিন সেবা। ইতোমধ্যে প্রায় ৬৫ হাজার গরিব ও দুস্থ পরিবারকে দিয়েছেন খাদ্যসামগ্রী।

সর্বশেষ গত রমজান মাস জুড়ে প্রতিদিন ২ হাজার ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ সাধারণ মানুষকে দিয়েছেন সেহেরীর খাবার। ঈদের পর নিজেদের তৈরী করা মাস্কও দিচ্ছেন পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে।

এরই মধ্যে আরো এক ব্যতিক্রমী হেল্প ডেস্ক মেডিক্যাল টীম নিয়ে হাজির হলেন রাউজানের সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.বি.এম. ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান, তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী।

আজ রবিবার (৭ জুন) রাতে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে রাউজানবাসীর জন্য করোনা মোকাবেলায় হেল্প ডেস্ক মেডিক্যাল টীম এর কার্যক্রম সম্পর্কে ঘোষণা দেন ফারাজ করিম চৌধুরী।

যেখানে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিদিন ১০ জন ডাক্তার রাউজানের মানুষকে করোনা সম্পর্কে যাবতীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। এই মেডিক্যাল টীমের চিকিৎসকরা শুধু পরামর্শ দিবেন তাই নয় তারা একদিন পর ফোন করে রোগীদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবরও নিবেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফারাজ করিম চৌধুরীর এই কার্যক্রমটি সম্পর্কে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হতে থাকেন তিনি।

তার দেওয়া সেই স্ট্যাটাসটি ছিল নিম্নরূপ,

“পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আপনাদের জন্য সম্মানিত ডাক্তারদের নিয়ে করোনার হেল্প ডেস্ক মেডিক্যাল টীম চালু করতে যাচ্ছি। ১০ জন সম্মানিত ডাক্তারের সমন্বয়ে গঠিত একটি টীম প্রতিদিন রাত ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত আপনাদেরকে বিরতিহীন বিনামূল্যে সেবা দিয়ে যাবেন। আপনার মনের ভয়ভীতি দূর করার জন্য, আপনার শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা তা জানার জন্য কিংবা কোন উপসর্গ (জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া) দেখা দিলে বা আপনার করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন কিনা তা জানার জন্য আমাদের সম্মানিত এই ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করুন। এরমধ্যে কারো যদি করোনার লক্ষণ দেখা দেয় ও পরীক্ষার প্রয়োজন হয় তবে আমরা তাকে পরীক্ষা করানোরও ব্যবস্থা করবো।

তাছাড়া, রাউজানের বাইরের কারো যদি জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তবে তারা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন। তারা অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করে ডাক্তারি পাশ করে এই পর্যায়ে এসে বিনামূল্যে মানুষের সেবা করার জন্য এগিয়ে এসেছেন। প্রত্যেকেই ডাক্তার সাহেবদের সাথে সম্মান ও বিনয়ের সাথে কথা বলবেন।

১০ জন ডাক্তারের সমন্বয়ে গঠিত এই মেডিক্যাল টীমের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডাঃ রিয়াজ উদ্দিন বিপ্লব। যারা ফেসবুক ব্যবহার করে না তাদের নিকট আমাদের এই কার্যক্রমটি সম্পর্কে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ রইল। তারা যেন এই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারে।রাউজানের জনসাধারণ যারা দেশে ও প্রবাসে অবস্থান করছেন তারা এই স্ট্যাটাসটি শেয়ার করে সকলের নিকট পৌঁছে দিন। আমার প্রিয় রাউজানবাসী সবসময় সুস্থ থাকুক, ভালো থাকুক। এই প্রত্যাশা করি।

হেল্প ডেস্ক মেডিক্যাল টীমের ডাক্তারদের নাম্বার –
♦রাউজান (উত্তর)- রাউজান পৌরসভা, হলদিয়া ইউনিয়ন, ডাবুয়া ইউনিয়ন, চিকদাইর ইউনিয়ন, গহিরা ইউনিয়ন, বিনাজুরী ইউনিয়ন, রাউজান ইউনিয়ন ও নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন।
*০১৬৭৩৭৯৬০৩৩
*০১৮৮৯১৮৫৮০২
*০১৮৭৪১৫২১৮৯
*০১৮৪৫৬০০০২৩
*০১৩১৯২১১০১৪

♦রাউজান (দক্ষিণ)- কদলপুর ইউনিয়ন, পাহাড়তলি ইউনিয়ন, পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন, উরকিরচর ইউনিয়ন, নোয়াপাড়া ইউনিয়ন ও বাগোয়ান ইউনিয়ন।
*০১৮৩০৯২৯২৯৪
*০১৬৭৯৪৬৭৬৩৯
*০১৬৩২৭২৩৮৮৩
*০১৫৩৩০৯২৭৩৭
*০১৮৭১৬৯৬৩৫৪

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগের নাম ছিল আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। ২০০০ সালে নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই যুগ পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাতে সর্বশেষ আসরে পাকিস্তানের কাছে হারানো শিরোপা এবার পুনরুদ্ধার করল তারা।

দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। তাছাড়া ফিফটি পেয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন রোহিত।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। বিশেষ করে রোহিত, ব্যাট হাতে তিনি রীতিমতো ঝড় তোলেন। বড় ম্যাচে এসে নিজের সেরাটা দেখালেন ভারত অধিনায়ক।

দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৪ রান তোলে ভারত। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন রোহিত। তার তুলনায় কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলেছেন গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানে উদ্বোধনী জুটি।

ওপেনারদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা বিরাট কোহলি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২ বলে করেছেন ১ রান। কোহলি ফেরার পর রোহিতও আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছেন ৭৬ রানে।

১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে তখন কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর চাপ পড়ে। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে হিসেব-নিকেষ করে শট খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। বিশেষ করে রাচিন। এই ইনফর্ম ব্যাটার পেসারদের বেশ স্বাছন্দ্যেই খেলছিলেন। যদিও সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ শামিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছিলেন।

তবে ভারত স্পিন আক্রমণে যাওয়ার পর বেশ ভুগেছেন রাচিন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বরুণকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন রাচিন। এবারও বল হাতে পেয়ে জমাতে পারেননি ফিল্ডার। তাতে আরো একবার জীবন পান এই ওপেনার।

রাচিন জীবন পেলেও একই ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন উইল ইয়াং। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে করেছেন ১৫ রান।

ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে দুইবার জীবন পেয়েও বেশি দূর এগোতে পারলেন না রাচিন। এগারোতম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই রাচিনকে ফিরিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের গুগলিতে বোকা বনে যান রাচিন। বোল্ড হওয়ার আগে ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।

বড় ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই রান পান উইলিয়ামসন। তবে আজ সেই রীতি ভাঙলেন তিনি নিজেই। বাজে এক শটে রীতিমতো আত্মহত্যা করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার! রাচিন ফেরার পর বড় দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। তবে আজ আর পারলেন না। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ১৪ বলে করেছেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩০ বলে করেছেন ১৪ রান। ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন ড্যারিল মিচেল। ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে করেছেন ৩৪ রান।

বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। দেখে-শুনে খেলায় প্রচুর ডট বল খেলেছেন। তাই ব্যক্তিগত ফিফটির পর গিয়ার পরিবর্তন করেন। তাতেই বাড়ে বিপদ। ৬৩ রান করে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

মিচেল ফিরলে দলের হাল ধরেন ব্রেসওয়েল। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় দল। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার।

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ১:০১ অপরাহ্ণ
মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ

মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই শিশুর ছবি সরিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসির) দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে তথ্য জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান।

তিনি বলেন, মাগুরাসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায়, আজ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করার পর, মাগুরার সেই শিশু সমস্ত ছবি ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে, আবেদনের পর এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।

এর আগে, শনিবার ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।