খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাউজানে বাড়তি বিদ্যুৎ বিল নিয়ে এবার উদ্যোগ নিলেন ফারাজ করিম চৌধুরী

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০, ৫:৪৪ অপরাহ্ণ
রাউজানে বাড়তি বিদ্যুৎ বিল নিয়ে এবার উদ্যোগ নিলেন ফারাজ করিম চৌধুরী

২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে জনজীবনে ভোগান্তির শেষ নেই। অনেকের আয়-রোজগার বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে সংসারের ভরণ-পোষণ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ।

দুর্ভোগময় এ দিনে মানুষের ভোগান্তিতে মরার উপর খড়ার ঘাঁ হয়ে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিল। সাম্প্রতিক সময়ে রাউজানের অধিকাংশ বিদ্যুৎ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল নিয়ে তাদের এন্তার অভিযোগের বিষয়টি তুলে ধরেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে রাউজানের সাংসদপুত্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে গ্রাহকদের অসন্তুষ্টির বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর মহা ব্যবস্থাপক আবুল কামাল আজাদের সাথে কথা বলার জন্য সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান’র হেল্প ডেস্ক টিমকে নির্দেশ দেন ফারাজ করিম চৌধুরী।

সাধারণ মানুষের এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের অন্যতম প্রতিনিধি ফারাজ করিম চৌধুরীর নির্দেশনায় আজ চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মহা ব্যবস্থাপক আবুল কামাল আজাদের সাথে সাক্ষাত করেন সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান’র হেল্প ডেস্ক টিম।

এ সময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ পরিচালনা কমিটির সভাপতি তসলিম উদ্দিন, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব উপস্থিত ছিলেন।

সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি মনগড়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি এই বিষয়ে রাউজানের সাংসদপুত্র, তরুণ প্রজন্মের প্রিয়মুখ ফারাজ করিম চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

পরে বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজারের সাথে কথা বলার নির্দেশ দেন ফারাজ করিম চৌধুরী। উনার নির্দেশে আমরা গ্রাহকদের অভিযোগগুলোর বিষয়টি চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর মহা ব্যবস্থাপক আবুল কামাল আজাদের কাছে তুলে ধরেছি।

প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর মহা ব্যবস্থাপক আবুল কামাল আজাদ বলেছেন, যাদের এই ধরণের অভিযোগ আছে তাদের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি২ এর পক্ষ থেকে “বিদ্যুৎ বিল সমন্বয়ক সেল” নামের একটি টিম গঠন করা হয়েছে।

যারা হেল্প ডেস্ক টিমের মাধ্যমে অভিযোগ নিয়ে গেছে তাদের সকলের বিলের ভুলত্রুটি গুলো সংশোধন করা হয়েছে, এবং পরবর্তীতে গ্রাহকদের অভিযোগ বিদ্যুৎ বিল সমন্বয় সেল টিমের মাধ্যমে সুরহা করা হবে।

২৪ ঘণ্টা/নেজাম উদ্দিন রানা/আর এস পি

Feb2

প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার শোক, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ

মাগুরায় নিপীড়নের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুপুরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি মারা গেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।