খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আস্থা রাখুন, বাংলাদেশ হার মানবে না : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০, ৯:৪৯ অপরাহ্ণ
আস্থা রাখুন, বাংলাদেশ হার মানবে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রতি জনগণকে আস্থা ও বিশ্বাসে অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ কোন কিছুর কাছেই হার মানবে না, এমনকি করোনা ভাইরাসের কাছেও নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই আমাদের মানুষের মধ্যে যেন একটা আস্থা থাকে, বিশ্বাস থাকে, সেই বিশ্বাস-আস্থাটা ধরে রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা হার মানবো না, মৃত্যু তো হবেই, মৃত্যু যেকোনো সময় যেকোনো কারণে হতে পারে। কিন্তু তার জন্য ভীত হয়ে হার মানতে হবে? এ ধরনের একটা অদৃশ্য শক্তির কাছে, এটাতো হতে পারে না। সেজন্য আমাদেরও সেভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে একথা বলেন।

দেশ ডিজিটাইজেশনের সুবাদে ভিডিও কনফারেন্স আয়োজনের কারণে জনসমাগমে না গিয়েও সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সুবিধার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল পদ্ধতি আছে বলে আমি মানুষের কাছে যেতে পারছি, কথা বলতে পারছি এবং বার বার যাচ্ছি।’

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যা যা নির্দেশনা আছে, সেগুলো মেনে চলে নিজের জীবনকে চালাতে হবে। কারণ, নিজেকে সুরক্ষিত রাখা মানেই অপরকেও সুরক্ষিত রাখা। সেটাও মাথায় রাখতে হবে, সেটা যেন সবাই করেন।’

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এসএসএফ সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বাহিনী আমাদের সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনী এবং আনসার ও ভিডিপি সকলের মিলিত একটি সংগঠন। যেহেতু, সকলের মিলিত একটি সংগঠন, তাই, এখানে একে অপরকে জানার ও বোঝার সুযোগ রয়েছে, কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমি মনে করি, এটা একটা চমৎকার কম্বিনেশন।’

তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এই বাহিনীর সদস্যদের সন্তানতুল্য আখ্যায়িত করে স্নেহমাখা কন্ঠে সরকার প্রধান তাঁদের ‘তুমি’ সম্বোধন করেন এবং বলেন, ‘তোমরা যেমন আমার নিরাপত্তার জন্য চিন্তা করো আমিও ঠিক তোমাদের নিরাপত্তার জন্য সবসময় চিন্তা করি।’

তিনি বলেন, ‘তোমরা সুরক্ষিত থাক, সেটাই আমি চাই। কারণ, তোমাদের জীবনের মূল্যটা অনেক বেশি, তোমাদেরতো ভবিষ্যত সামনে পড়ে রয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমরা নিরাপদ থাক, সেজন্য সব সময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি। কারণ, তোমরা যেভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করো তাতে তোমাদের কর্ম দক্ষতায় সবাই মুগ্ধ।’

করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে যেভাবে পালন করতে সেভাবে হয়তো করা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মটা মেনে যতটুকু উৎসব করা যায় তোমরা করবে। সেটাই চাই, কারণ, জীবন মৃত্যু খুব পাশাপাশি।’

তিনি সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং সর্বশেষ সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহাম্মদ কামরানের মৃত্যুর কথা স্মরণ করে বলেন, ‘একদিকে যেমন আমরা মুত্যুর খবর পাই অন্যদিকে অন্য কাজও করতে হয়। এটাই আমাদের জীবন।’

অতীতে দু’বার গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন কামরান-সেকথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাতও কামনা করেন।

যেকোন পরিস্থিতিতেই প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে এ বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য মহাপরিচালক এসএসএফকে তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশিক্ষণটা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ, নিজেকে সুরক্ষিত করতে হলে অথবা ভিআইপিদের সুরক্ষিত রাখতে হলে প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখাটা সবসময় জরুরী, সেজন্য যা যা করার আমি করে দিয়েছি।’
‘নিজেদের শারিরীকভাবে সুস্থ রাখা, ফিট রাখা এবং এক একজন আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হয়ে তৈরী হবে, সেটাই আমি আশা রাখি,’যোগ করেন তিনি।

এসএসএফ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, অনুষ্ঠানে এসএসএফ-এর মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ এবং কল্যাণ তহবিলের জন্য সকল এসএসএফ সদস্যদের পক্ষ থেকে তাঁদের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ এবং এক কোটি টাকার একটি চেক প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পিএমও সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এই অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।

এসএসএফ সদস্যদের পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মেলাতে উন্নত প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিতে সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জনের ও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, ক্রাইমের ধরণটাও বদলে যাচ্ছে। আগে এক ধরনের হতো (অপরাধ সংগঠন) এখন অন্যভাবে হয়। প্রতিনিয়ত আমরা এটাও দেখতে পাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে, প্রযুক্তি যেমন ভালো কাজে ব্যবহার হয়, আবার মন্দ কাজেও ব্যবহার হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কি ধরনের ক্রাইম হচ্ছে সেটা জেনে নিয়ে সেই ক্রাইম কিভাবে প্রতিরোধ করতে হবে, তার জন্য যেমন প্রশিক্ষণ প্রয়োজন তেমনি ইক্যুইপমেন্টসও দরকার।’

’৯৬ সালে যখন প্রথমবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান তখন ভিআইপিদের নিরাপত্তা দেওয়ার মত সেরকম অবস্থা সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর ছিল না উল্লেখ করে তিনি এসময় এএসএফ-এর আধুনিকায়নে তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা যতদূর পেরেছি এসএসএফ-এর জন্য সব কিছু করেছি। সব ধরনের ব্যবস্থা, যখন যেটা আধুনিক আসে আমরা সংগ্রহ করার চেষ্টা করি।’

যারা নিরাপত্তায় নিয়োজিত তাদের জন্য নিজের চিন্তার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাঝে মাঝে চিন্তা করি, যাঁরা আমার নিরাপত্তায় নিয়োজিত তাঁদের জীবনটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘এখানে শুধু যাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে শুধু তাদেরটা নয়, যারা নিরাপত্তা দেবে তাদেরটাও আমার চিন্তা করতে হয়।’

একজন জননেত্রী এবং সরকার প্রধান হিসেবে তাঁকে সবসময় যে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আবদ্ধ থাকতে হয় সেটাও তাঁকে নিরাপত্তা প্রদানকারীদের সুরক্ষার জন্যই অনেক সময় তাঁকে মেনে নিতে হয়েছে, এমনও ইঙ্গিত করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সেটা যদি চিন্তা না করতাম তাহলে এগুলো কিছুই আমি মেনে নিতাম না, এটা হলো বাস্তবতা। কারণ, আমি যখন বাংলাদেশে এসেছিলাম তখন আমার বাবা, মা এবং ভাইয়ের খুনীরা ক্ষমতায়।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘খুনীরা দল করছে, ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, দূতাবাসে চাকরি করছে, তারা তখন অত্যন্ত শক্তিশালী। একদিকে যেমন ক্ষমতায় যুদ্ধাপরাধীরা আরেকদিকে তেমনি খুনীরা।’

তিনি বলেন, ‘সেই পরিবেশে বাংলাদেশে যখন এসেছি তখন তো আমরা কিছুই ছিল না। আলাদা গাড়িও ছিল না। আমি সেটা চিন্তাও করিনি। বাস ভাড়া করে চলেছি, রিক্সা-ভ্যানে চলেছি, নৌকায় চলেছি, সারা বাংলাদেশ ঘুরেছি।’
‘কি কারণে করেছি- একটাই কারণ এদেশের জন্য কিছু করতে হবে। আমার বাবা যে কাজটা সম্পূর্ণ করতে পারেননি সেটা আমাকে সম্পূর্ণ করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, বাংলাদেশের মানুষের কাছে তারা আমাকে ভোট দিয়েছে, নির্বাচিত করেছে, সুযোগ দিয়েছে তাদের সেবা করার।’

তাঁর সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও যথাযথ পদক্ষেপের কারণে এবং মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে উন্নত অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার অনেক কম বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এই প্রাণঘাতী ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিহত করা এবং অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় আমি ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছি এবং ব্যক্তিগতভাবে মাঠপর্যায়ে এর বাস্তবায়ন তদারকি করছি।
ইতোমধ্যেই তাঁর সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে যার মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রদান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখাসহ নানাবিধ আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম অন্যতম, বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের পরিকল্পিত আর্থিক প্রণোদনা এবং মানবিক সহায়তার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। যা জিডিপি’র প্রায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে মানুষকে বাঁচানো, আবার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, শিক্ষার ব্যবস্থা সেগুলো যাতে ঠিক থাকে সেদিকেও আমরা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখছি।’

২৪ ঘণ্টা/এম আর

 

Feb2

শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শরণার্থী শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে।

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’ তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্ট ও টি২০ থেকে আগেই অবসর নেওয়ায় শুধু ওয়ানডে খেলতেন ৩৯ বছর বয়সী এ ব্যাটার। আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ঘোষণায় ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বললেন তিনি। তাঁর ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হলো- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে।’

আগের দিন মঙ্গলবার জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি এ দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মার্চ মাস থেকে চুক্তিতে না রাখার অনুরোধ করেছেন মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলায় এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাবেন তিনি। ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম মার্চ থেকে অবনমিত হবেন ‘বি’ ক্যাটেগরিতে। মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা না দিলেও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ হতে পারে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছেন না।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার আগে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজাও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। মাশরাফি আনুষ্ঠানিক বিদায় না বললেও তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশফিক।

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ড. এম আমিনুল ইসলাম।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাইছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকারের চাওয়া অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

গত প্রায় সাত মাসে কয়েক দফায় উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা ২৩ জন।

তাদের মধ্যে গত বুধবার অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার) উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এত দিন শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন কেবল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত নভেম্বরে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৩ জনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই তিন বিশেষ সহকারী স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সহযোগিতা করছেন। এই তিনজনের মধ্যে শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম।