খুঁজুন
শনিবার, ৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা জেনেও যারা জেগেও ঘুমিয়ে আছে তারাই বড় সমস্যা:চসিক মেয়র

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ২১ জুন, ২০২০, ৫:৪০ অপরাহ্ণ
করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা জেনেও যারা জেগেও ঘুমিয়ে আছে তারাই বড় সমস্যা:চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন রেডজোন চিহ্নিত এলাকায় লকডাউন কার্যকর করণে সক্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদের যুদ্ধের ময়দানের পদাতিক যোদ্ধা হিসেবে অবহিত করে বলেন, অদৃশ্য শত্রু ও মরণঘাতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীব করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হতে মানুষকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে প্রশিক্ষিত ও সুশৃংখল স্বেচ্ছাসেবকরাই প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় সরকার সংস্থা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সহায়ক শক্তি।

আজ সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আইইডিসিআর ও সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম এর সহযোগিতায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত রেডজোন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকদের কোভিড-১৯ কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি চলমান ক্রমঅবনতিশীল করোনার সামাজিক সংক্রমণ পরিস্থিতির মারাত্মক প্রভাব ও এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করে বলেন, আমরা একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছি। পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা জানি। এ পরিস্থিতি প্রত্যেকের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই নিজের সুরক্ষা নিজেরই হাতে। এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেও তাকে অনেকেই আমলে আনছেন না। এই উদাসিনতাও একটি মারাত্মক ব্যাধি। যারা জেগে ঘুমায় তাদের জাগানো যায় না। এই আত্মঘাতি ঘুমের ভান স্বেচ্ছাসেবকরাই ভাঙ্গাতে পারেন।

তিনি একাজটি করতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের স্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদেরকে সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারের কাছে শারীরিকভাবে সরাসরি যেতে হবে না। এক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হবে। রোগী যেখানেই থাকুক দুর থেকে মোবাইল বা ভিডিও কলে রোগীর স্বাস্থ্য অবস্থা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা,ওষুধপত্র ও চাহিদা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া যাবে। সুতরাং স্বেচ্ছাসেবক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তার ঝুঁকির বিন্দুমাত্র আশংকার অবকাশ নেই।

সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোরতা অবলম্বন ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, জীবনতো সবার আগে এবং তা কখনো থেমে থাকে না। জীবন থাকলে জীবিকার কথা চলে আসে। তাই জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে কাজ করতে হচ্ছে এবং সারা বিশ্ব তাই করছে। যারা খেটে খাওয়া মানুষ দিনে রুজি করে দিনে খায় এদেরতো সঞ্চয় ও সম্পদ বলতে কিছুই নেই। তারা যদি ক্ষুধায় মারা যান- এটাও হত্যার সামিল এবং তা আমরা কিছুতেই করতে পারি না। তবে লকডাউন কোথায় কিভাবে-কখন হবে এবং সংক্রমেণের হার প্রবণ এলাকা সু-নির্দ্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে শুধু সেখানে তা প্রয়োগ করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছে।

তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলাই পজেটিভ ক্যাম্পেইন পাওয়ার হিসেবে অবিহিত করে বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্বের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। আমদেরও ছিল না। তাই পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে সে সম্পর্কে ধারানাও ছিল না। শুরুতেই কোন কোন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত ও সমন্বয়হীনতা ছিল। এসব নিয়ে সমালোচনা থাকতে পারে, তবে পরামর্শও থাকতে হবে। তাই কখন-কোথায়-কী ভুল হয়েছে, কেন হয়েছে সে কথা বার বার না লিখে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়, কী করা যায় সেই পরামর্শ ও পথ বাতলে দিলে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করবো।

তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারটিকে সর্ববৃহৎ করোনা চিকিৎসালয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এখান থেকেই করোনা আক্রান্তরা যাতে সহজলভ্য সু-চিকিৎসা পান সেভাবেই এই সেন্টারটির অবকাঠামো তৈরী সহ চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, নার্স সহ প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং অক্সিজেনের পর্যাপ্ততা,সেন্ট্রাল এসি ব্যবস্থা, ওয়াইফাই সুবিধা সংযোজিত করা হয়েছে। এছাড়াও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা, ওষুধপত্র, খাবার ব্যয় সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্বাহ করা হবে।

আজকে থেকেই কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে যে সমস্ত রোগীর নিজেদের ঘরে আইসোলেশনে থাকার সুযোগ নেই তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এই আইসোলেশন সেন্টারটিতে নন-কোভিড রোগীদেরও প্রয়োজনীয় জরুরী চিকিৎসা দিয়ে পরে বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত এই আইসোলেশন সেন্টারটি চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় একটি কার্যকর ও আশাজাগানিয়া উদ্যোগ হিসেবে সকলের গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তোলা হয়েছে। এই সেন্টারটিকে পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।

সভাপতির ভাষনে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, রেডজোন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকদের কোভিড-১৯ কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার এই কাজটি করার দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তবুও নাগরিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতায় এই কর্মশালাটি হচ্ছে বিধায় এর একটি ইতিবাচক প্রভাব সমাজে প্রতিফলিত হবে।

যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এই মানবিক কার্যক্রমে এগিয়ে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যে দায়িত্ব পালন করছেন এথেকে আপনাদের কাছে সমাজ ঋণী হয়ে থাকবে। এটা পেশা না হলেও একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা। শুধু করোনাকালে নয় আপনাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা সকল ধরনের দূর্যোগ মোকাবেলায় জাতিকে আশার আলো দেখাবে।

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু, শৈবাল দাশ সুমন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম,চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, কর্মশালার আইইডিসিআর এর প্রশিক্ষক ডা. মোহাম্মদ ওমর কাইয়ুম, ডা:তৌহিদুল আনোয়ার প্রমুখ।

চসিকের রাজস্ব কর বাবদ ১০ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা দিল রেলওয়ে
বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের বকেয়া রাজস্ব কর বাবদ ১০ কোটি ৪১ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বরাবরে।

আজ বিকেল চসিক মেয়র দপ্তরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মফিদুল আলম ১০ কোটি ৪১ লক্ষ টাকার এই চেক মেয়র বরাবরে হস্তান্তর করেন।

এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল জোন থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কে বকেয়া কর প্রদান, করেন, মহিউদ্দিন আহমেদ, কর কর্মকর্তা সরোয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।

চেক গ্রহণ করে সিটি মেয়র রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্সের উপর চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা হয়। সময়মত কর পরিশোধ করে রেলওয়ে চসিকের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার সাথী হলেন।
২৪ ঘণ্টা/এম আর

Feb2

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে ছিল নারীরা: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারিতে ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।

৮ মার্চ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে-কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।

ড. ইউনূস বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।

নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তাকর্মীরা পালন করবেন পুলিশের দায়িত্ব, করতে পারবেন গ্রেফতার

রমজান ও ঈদ উপলক্ষে অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর মার্কেট, শপিংমল খোলা থাকে। তবে পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি।

আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করবেন। তাদের ক্ষমতা থাকবে গ্রেফতারের।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজ ৭ রমজান। সন্ধ্যা হতেই মুসল্লিরা মসজিদে যান। দেড়-দুই ঘণ্টা সময় যায় তারাবির নামাজে। ওই সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকে। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, অনুরোধ করতে চাই, আপনারা যখন বাড়ি যাবেন (ঈদে), তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট-দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিজ দায়িত্বে করে যাবেন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। তবে আমাদের পুলিশের স্বল্পতা আছে। আমাদের লোকও অনেকে ছুটিতে যাবে, যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকে, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকে। তাদের একটা পার্সেন্টেজ সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এরিয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।

আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।

বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩২ অপরাহ্ণ
বৈষম্যবিরোধী ও সমন্বয়ক পরিচয়ের কী হবে, জানালে নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী অথবা সমন্বয়ক পরিচয়ের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই। এ সময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দেওয়া নিজের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মর্মে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নিজের দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি। বলেছি পুলিশ যে নাজুক অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থেকে নির্বাচন সম্ভব না। আমরা নির্বাচনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিস কোড হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন এবং অফলাইন কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। তাদের সক্ষমতার পরীক্ষা হয় না দীর্ঘদিন ধরে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবশ্য উন্নত করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীর ওপর সহিংসতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা ও ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।

জেএন/এমআর